অযত্ন-অবহেলায় ডাস্টবিন, অপরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবহনকারী একটি বাসের পাশেই ময়লার স্তুপ। ছবি: দৈনিক বাংলা

সাড়ে সাত একরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পদচারণা। তবে ক্যাম্পাসের সীমিতসংখ্যক জায়গায় চোখে পড়ে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। যার অনেকটিই ভাঙা, আবার অধিকাংশই নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু ভবনের কোনায় জমে রয়েছে ময়লার স্তূপ। এ ছাড়া যত্রতত্র ফেলা হয়েছে কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল আর পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ড্রেনগুলোর ঢাকনা না থাকায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।

নোংরা ক্যাম্পাস নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুফিয়ান শুভ বলেন, ‘ডাস্টবিনগুলোর ময়লা নিয়মিত অপসারণ করা হয় না। এতে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আবার অনেকেই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন না, যেখানে-সেখানে ফেলেন। এ জন্য ক্যাম্পাস সব সময় অপরিচ্ছন্ন থেকে যায়। আমাদের সবারই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা উচিত।’

আগে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ডাস্টবিন ছিল মাত্র একটি। তবে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, এর অনেকটিই অব্যবহৃত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন, কলা ও বিজ্ঞান অনুষদ, ক্যাফেটেরিয়ার পশ্চিম পাশে ও প্রশাসনিক ভবনের কোনায় থাকা ডাস্টবিনে কেউ ময়লা ফেলেন না। আর বাকি কিছু ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেও এগুলোর পাশেই ময়লার স্তূপ জমে থাকতে দেখা গেছে।

ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতিদিন সকালে ও রাতে পুরো ক্যাম্পাস ঝাড়ু দিতে দেখা যায়। কিন্তু দিনের অন্য কোনো সময় ময়লা পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা জমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সুইপারের সংকটও বিদ্যমান। সীমিতসংখ্যক কর্মী দিয়ে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করছি। শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেললে ক্যাম্পাস নোংরা কম হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এ বিষয়ে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেললে ক্যাম্পাস নোংরা হবে না। সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। পরিচ্ছন্নতার জন্য আমরা একটা কমিটিও করে দিয়েছি। তারাও কাজ করছে।’

অযত্ন-অবহেলায় ডাস্টবিন, অপরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবহনকারী একটি বাসের পাশেই ময়লার স্তুপ। ছবি: দৈনিক বাংলা

সাড়ে সাত একরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পদচারণা। তবে ক্যাম্পাসের সীমিতসংখ্যক জায়গায় চোখে পড়ে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। যার অনেকটিই ভাঙা, আবার অধিকাংশই নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু ভবনের কোনায় জমে রয়েছে ময়লার স্তূপ। এ ছাড়া যত্রতত্র ফেলা হয়েছে কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল আর পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ড্রেনগুলোর ঢাকনা না থাকায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।

নোংরা ক্যাম্পাস নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুফিয়ান শুভ বলেন, ‘ডাস্টবিনগুলোর ময়লা নিয়মিত অপসারণ করা হয় না। এতে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আবার অনেকেই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন না, যেখানে-সেখানে ফেলেন। এ জন্য ক্যাম্পাস সব সময় অপরিচ্ছন্ন থেকে যায়। আমাদের সবারই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা উচিত।’

আগে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ডাস্টবিন ছিল মাত্র একটি। তবে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, এর অনেকটিই অব্যবহৃত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন, কলা ও বিজ্ঞান অনুষদ, ক্যাফেটেরিয়ার পশ্চিম পাশে ও প্রশাসনিক ভবনের কোনায় থাকা ডাস্টবিনে কেউ ময়লা ফেলেন না। আর বাকি কিছু ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেও এগুলোর পাশেই ময়লার স্তূপ জমে থাকতে দেখা গেছে।

ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতিদিন সকালে ও রাতে পুরো ক্যাম্পাস ঝাড়ু দিতে দেখা যায়। কিন্তু দিনের অন্য কোনো সময় ময়লা পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা জমে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সুইপারের সংকটও বিদ্যমান। সীমিতসংখ্যক কর্মী দিয়ে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন করছি। শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেললে ক্যাম্পাস নোংরা কম হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এ বিষয়ে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেললে ক্যাম্পাস নোংরা হবে না। সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। পরিচ্ছন্নতার জন্য আমরা একটা কমিটিও করে দিয়েছি। তারাও কাজ করছে।’