আগামী বছর থেকে ইউনিক আইডি চালুর উদ্যোগ

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ ডিজিটের ইউনিক আইডি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ইতিমধ্যে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ভর্তিবিষয়ক কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউজিসি এ ব্যাপারে বৈঠক করেছে। প্রয়োজনীয় পরিমার্জন শেষে আগামী বছর থেকেই এই ইউনিক আইডি চালু করতে চায় ইউজিসি।

ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউনিক আইডি চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের সব রকমের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, সঠিকভাবে শিক্ষার্থী নির্ণয়, ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো বন্ধ, ক্রেডিট ট্রান্সফারের নামে জালিয়াতি বন্ধ করাসহ নানা প্রশাসনিক কাজেও তা সহায়ক হবে।

জানা যায়, গত বছর কভিড-১৯ ভাইরাসের টিকাদানের ব্যবস্থাপনা শুরুর প্রাক্কালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি চালুর প্রস্তাব আসে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। এরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইউনিক আইডি চালুর পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি ও সংরক্ষণ করবে ইউজিসি।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৬ ডিজিটের একটি ইউনিক পরিচিতি নম্বর (Unique Identification Number) থাকবে। এতে যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমিক, ভর্তির বছর, ভর্তির সেমিস্টার, হল, প্রোগ্রাম নম্বর এবং শিক্ষার্থীর রোল নম্বর থাকবে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি থেকে দেওয়া একটি ক্রমিক নম্বর থাকবে। এ ক্রমিক ৩ ডিজিটের হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালের ভিত্তিতে ইউজিসির দেওয়া কোড সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড হিসেবে বিবেচিত হবে। এই কোড সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। ইউনিক আইডিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ভর্তির বছর কোড। এ ক্ষেত্রে যে ক্যালেন্ডার বছরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, সেই বছরের শেষ দুই ডিজিট বসবে। এরপর থাকবে ভর্তির সেমিস্টার কোড। এরপর থাকবে হল কোড। এরপর আইডিতে স্থান পাবে প্রোগ্রাম কোড। ইউজিসি নির্ধারিত কোড এখানে বসবে। এরপর শিক্ষার্থীর ক্রমিক। সংশ্লিষ্ট কোর্সে/প্রোগ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রমিক নম্বর যা ৩ ডিজিটের হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে হবে।

ইউজিসি জানিয়েছে, এখন থেকে ইউনিক শিক্ষার্থী পরিচিতি নম্বর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম/কোর্স সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, ইউনিক আইডিতে শিক্ষার্থীদের সব তথ্য আমব্রেলা আকারে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া দেশের এবং বিশ্ববাজারের চাহিদা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিবেচনায় গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা নিরূপণ করা; অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রোগ্রাম এবং আসন সংখ্যার বিপরীতে ভর্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভেরিফিকেশন এবং সনদ ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা যাবে। ভবিষ্যতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও সনদের ভেরিফিকেশনও ইউনিক আইডির মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

আগামী বছর থেকে ইউনিক আইডি চালুর উদ্যোগ

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ ডিজিটের ইউনিক আইডি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ইতিমধ্যে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ভর্তিবিষয়ক কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউজিসি এ ব্যাপারে বৈঠক করেছে। প্রয়োজনীয় পরিমার্জন শেষে আগামী বছর থেকেই এই ইউনিক আইডি চালু করতে চায় ইউজিসি।

ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউনিক আইডি চালুর ফলে শিক্ষার্থীদের সব রকমের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, সঠিকভাবে শিক্ষার্থী নির্ণয়, ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো বন্ধ, ক্রেডিট ট্রান্সফারের নামে জালিয়াতি বন্ধ করাসহ নানা প্রশাসনিক কাজেও তা সহায়ক হবে।

জানা যায়, গত বছর কভিড-১৯ ভাইরাসের টিকাদানের ব্যবস্থাপনা শুরুর প্রাক্কালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি চালুর প্রস্তাব আসে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। এরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইউনিক আইডি চালুর পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডাটাবেস তৈরি ও সংরক্ষণ করবে ইউজিসি।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৬ ডিজিটের একটি ইউনিক পরিচিতি নম্বর (Unique Identification Number) থাকবে। এতে যথাক্রমে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমিক, ভর্তির বছর, ভর্তির সেমিস্টার, হল, প্রোগ্রাম নম্বর এবং শিক্ষার্থীর রোল নম্বর থাকবে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি থেকে দেওয়া একটি ক্রমিক নম্বর থাকবে। এ ক্রমিক ৩ ডিজিটের হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালের ভিত্তিতে ইউজিসির দেওয়া কোড সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড হিসেবে বিবেচিত হবে। এই কোড সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। ইউনিক আইডিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ভর্তির বছর কোড। এ ক্ষেত্রে যে ক্যালেন্ডার বছরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, সেই বছরের শেষ দুই ডিজিট বসবে। এরপর থাকবে ভর্তির সেমিস্টার কোড। এরপর থাকবে হল কোড। এরপর আইডিতে স্থান পাবে প্রোগ্রাম কোড। ইউজিসি নির্ধারিত কোড এখানে বসবে। এরপর শিক্ষার্থীর ক্রমিক। সংশ্লিষ্ট কোর্সে/প্রোগ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রমিক নম্বর যা ৩ ডিজিটের হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্রম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে হবে।

ইউজিসি জানিয়েছে, এখন থেকে ইউনিক শিক্ষার্থী পরিচিতি নম্বর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম/কোর্স সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানান, ইউনিক আইডিতে শিক্ষার্থীদের সব তথ্য আমব্রেলা আকারে সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া দেশের এবং বিশ্ববাজারের চাহিদা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিবেচনায় গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা নিরূপণ করা; অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রোগ্রাম এবং আসন সংখ্যার বিপরীতে ভর্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভেরিফিকেশন এবং সনদ ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা যাবে। ভবিষ্যতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও সনদের ভেরিফিকেশনও ইউনিক আইডির মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।