আলো ছড়াচ্ছে পথপাঠাগার

এ পাঠাগারের জন্য প্রায় দুই হাজার বই সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বইয়ের তাকে ৫০০টি করে বই রাখা হয়।

৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, পাঠাগারটির সামনে রয়েছে ৮–১০ জন। তাঁদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাবিব হোসেন ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইবা হক বলে, এক বছর ধরে তারা এ পথপাঠাগারের পাঠক। এখান থেকে বিজ্ঞান ও ভ্রমণবিষয়ক বই তারা বেশি নিয়ে থাকে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইজা আফরিন জানায়, এ পথপাঠাগার থেকে এ পর্যন্ত সে ৯০টি বই পড়েছে।

পাঠাগারটির মূল উদ্যোক্তা গীতিকার ও মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আলাউল হোসেন। তিনি বলেন, পথচারীদের জন্য এমন ব্যতিক্রমী পাঠাগার গড়ে তোলার শুরুতে অনেকে বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। কিন্তু একপর্যায়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ ও পরিচালক ফজলুর রহমান। শুরুতে তিনি (আলাউল) নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহের শতাধিক বই দিয়ে পাঠাগার চালু করেন। পরে কলি প্রকাশনীর কর্ণধার ও কাশিনাথপুরের প্রয়াস পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক দুই শতাধিক বই পাঠাগারে দান করেন। এরই মধ্যে এলাকার অনেকে তাঁদের সংগ্রহে থাকা বই সেখানে দান করেছেন। স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে আট ফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া একটি বইয়ের তাক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। থাই গ্লাসের তৈরি বুকশেলফটি বৃষ্টি প্রতিরোধক। ইতিমধ্যে এই পাঠাগারের জন্য প্রায় দুই হাজার বই সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বইয়ের তাকে পথচারীদের জন্য ৫০০টি করে বই রাখা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক হয়ে পাঠাগারটি সার্বক্ষণিক দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন দুটি দোকানের ব্যবসায়ী। তাঁরা হলেন শিরিন স্টোরের মালিক সুরুজ আলী ও আস্থা মেগাশপের ব্যবস্থাপক আবির মাহমুদ। এ ছাড়া আশপাশের স্কুল-কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীও স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পাঠাগারটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। স্বেচ্ছাসেবকেরা সকাল আটটায় পাঠাগারের তালাবদ্ধ গ্লাস খুলে দেন। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তাঁরা সেটি আবার বন্ধ করে দেন।

ব্যবসায়ী সুরুজ আলী ও আবির মাহমুদ জানান, কাজটি করে তাঁরা খুবই আনন্দ পাচ্ছেন। এই ডিজিটাল যুগে মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ দেখে তাঁরা অভিভূত। আশপাশের অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে বই নিয়ে অবসর সময়ে পড়তে শুরু করেছেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিন উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘পথের ধারের পাঠাগারটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন পথপাঠাগার দেশের প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠলে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনের নেশা দূর হয়ে জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধি পাবে। অনেক বয়স্ক মানুষকে এই পথপাঠাগারের মাধ্যমে বইয়ের নেশায় ফিরে আসতে দেখেছি।’

আলাউল হোসেন বলেন, প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় স্মার্টফোন এখন হাতে হাতে। এর অপব্যবহারে অনেকে অসামাজিক ও বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে উঠছেন। সবার মধ্যে আগের মতো বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।

আলো ছড়াচ্ছে পথপাঠাগার

এ পাঠাগারের জন্য প্রায় দুই হাজার বই সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বইয়ের তাকে ৫০০টি করে বই রাখা হয়।

৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, পাঠাগারটির সামনে রয়েছে ৮–১০ জন। তাঁদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাবিব হোসেন ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইবা হক বলে, এক বছর ধরে তারা এ পথপাঠাগারের পাঠক। এখান থেকে বিজ্ঞান ও ভ্রমণবিষয়ক বই তারা বেশি নিয়ে থাকে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইজা আফরিন জানায়, এ পথপাঠাগার থেকে এ পর্যন্ত সে ৯০টি বই পড়েছে।

পাঠাগারটির মূল উদ্যোক্তা গীতিকার ও মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আলাউল হোসেন। তিনি বলেন, পথচারীদের জন্য এমন ব্যতিক্রমী পাঠাগার গড়ে তোলার শুরুতে অনেকে বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। কিন্তু একপর্যায়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ ও পরিচালক ফজলুর রহমান। শুরুতে তিনি (আলাউল) নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহের শতাধিক বই দিয়ে পাঠাগার চালু করেন। পরে কলি প্রকাশনীর কর্ণধার ও কাশিনাথপুরের প্রয়াস পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক দুই শতাধিক বই পাঠাগারে দান করেন। এরই মধ্যে এলাকার অনেকে তাঁদের সংগ্রহে থাকা বই সেখানে দান করেছেন। স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে আট ফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া একটি বইয়ের তাক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। থাই গ্লাসের তৈরি বুকশেলফটি বৃষ্টি প্রতিরোধক। ইতিমধ্যে এই পাঠাগারের জন্য প্রায় দুই হাজার বই সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বইয়ের তাকে পথচারীদের জন্য ৫০০টি করে বই রাখা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক হয়ে পাঠাগারটি সার্বক্ষণিক দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন দুটি দোকানের ব্যবসায়ী। তাঁরা হলেন শিরিন স্টোরের মালিক সুরুজ আলী ও আস্থা মেগাশপের ব্যবস্থাপক আবির মাহমুদ। এ ছাড়া আশপাশের স্কুল-কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীও স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পাঠাগারটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। স্বেচ্ছাসেবকেরা সকাল আটটায় পাঠাগারের তালাবদ্ধ গ্লাস খুলে দেন। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তাঁরা সেটি আবার বন্ধ করে দেন।

ব্যবসায়ী সুরুজ আলী ও আবির মাহমুদ জানান, কাজটি করে তাঁরা খুবই আনন্দ পাচ্ছেন। এই ডিজিটাল যুগে মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ দেখে তাঁরা অভিভূত। আশপাশের অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে বই নিয়ে অবসর সময়ে পড়তে শুরু করেছেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিন উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘পথের ধারের পাঠাগারটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন পথপাঠাগার দেশের প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠলে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনের নেশা দূর হয়ে জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধি পাবে। অনেক বয়স্ক মানুষকে এই পথপাঠাগারের মাধ্যমে বইয়ের নেশায় ফিরে আসতে দেখেছি।’

আলাউল হোসেন বলেন, প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় স্মার্টফোন এখন হাতে হাতে। এর অপব্যবহারে অনেকে অসামাজিক ও বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে উঠছেন। সবার মধ্যে আগের মতো বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।