ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্তদের শাস্তি পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফরহাদ খাদেম

দেশব্যাপী আলোচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সাজা বিধিসম্মত হয়নি, বিধায় তাদের সাজা পুনরায় নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ ও দ্বিতীয় ভাগের ২ (৮) ধারায় সাজা দিয়ে উপাচার্যকে আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মহসীন।

রিটকারী আইনজীবী গাজী মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে স্থায়ী বহিষ্কারের বিধান রয়েছে। তাই বিচারপতি কোড অব কন্ডাক্টের বিধি প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ এবং দ্বিতীয় ভাগের ৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যা আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, তারা (অভিযুক্তরা) আমার উপর যে বর্বরতা চালিয়েছে, আমি চাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হোক। আমি আমার দাবিতে অনড় আছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। আমি এখনও কিছু জানি না। যেহেতু জানা নেই, এজন্য মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট। রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

বহিস্কৃত অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফুলপরী নামের এক নবীন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন, শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রত্যেকটি তদন্তে নির্যাতনের সত্যতার মেলে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাদের (অভিযুক্ত) প্রত্যেককে শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্তদের শাস্তি পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফরহাদ খাদেম

দেশব্যাপী আলোচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সাজা বিধিসম্মত হয়নি, বিধায় তাদের সাজা পুনরায় নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ ও দ্বিতীয় ভাগের ২ (৮) ধারায় সাজা দিয়ে উপাচার্যকে আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মহসীন।

রিটকারী আইনজীবী গাজী মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে স্থায়ী বহিষ্কারের বিধান রয়েছে। তাই বিচারপতি কোড অব কন্ডাক্টের বিধি প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ এবং দ্বিতীয় ভাগের ৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যা আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, তারা (অভিযুক্তরা) আমার উপর যে বর্বরতা চালিয়েছে, আমি চাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হোক। আমি আমার দাবিতে অনড় আছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। আমি এখনও কিছু জানি না। যেহেতু জানা নেই, এজন্য মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট। রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

বহিস্কৃত অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফুলপরী নামের এক নবীন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন, শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রত্যেকটি তদন্তে নির্যাতনের সত্যতার মেলে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তাদের (অভিযুক্ত) প্রত্যেককে শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

ইবিহো/এসএস