ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: স্থায়ী বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থী

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীাে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। 

দেশব্যাপী আলোচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ চার সহযোগীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ আগস্ট) উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভার সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আজকে ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেটে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

এর আগে, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামের এক নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, হল কর্তৃপক্ষ, শাখা ছাত্রলীগ ও হাইকোর্ট পৃথক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ নির্যাতনের সত্যতা মেলে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এর নির্দেশনায় দোষী সাব্যস্ত পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থনে শেষবারের মতো সাক্ষাৎকার দিতে ক্যাম্পাসে আসেন তারা।

পরে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইকোর্টের প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোর্ড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ ধারা-৮ মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় পদক্ষেপগুলো ‘যথেষ্ট ও বিধিসম্মত নয়’ বলে মন্তব্য করে গৃহীত শাস্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পুনরায় শাস্তি নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করে আগামী ২৩ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সর্বশেষ আজ অনুষ্ঠিত এই জরুরী সিন্ডিকেটের অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: স্থায়ী বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থী

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীাে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। 

দেশব্যাপী আলোচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ চার সহযোগীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ আগস্ট) উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভার সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আজকে ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেটে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

এর আগে, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামের এক নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, হল কর্তৃপক্ষ, শাখা ছাত্রলীগ ও হাইকোর্ট পৃথক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ নির্যাতনের সত্যতা মেলে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এর নির্দেশনায় দোষী সাব্যস্ত পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থনে শেষবারের মতো সাক্ষাৎকার দিতে ক্যাম্পাসে আসেন তারা।

পরে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইকোর্টের প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোর্ড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ ধারা-৮ মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় পদক্ষেপগুলো ‘যথেষ্ট ও বিধিসম্মত নয়’ বলে মন্তব্য করে গৃহীত শাস্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পুনরায় শাস্তি নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করে আগামী ২৩ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সর্বশেষ আজ অনুষ্ঠিত এই জরুরী সিন্ডিকেটের অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

ইবিহো/এসএস