ইবিতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্যাংক কর্মকর্তা

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার এক কর্মকর্তাকে এক নারী কর্তৃক ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই কর্মকর্তার নাম মঈনুল হোসেন মহিন। তিনি প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার লোন) পদে কর্মরত। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার বড় আইলছাড়ার দক্ষিণ পাড়ায়। এদিকে অভিযুক্ত ওই নারীর নাম শামীমা। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মধ্য বাজার এলাকার আবু বক্করের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা অভিযুক্ত নারীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তার গলায় ছুড়িকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় প্রধান ফটকের সামনে থাকা লোকজন তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এদিকে ওই কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া নার্স মমতাজ বলেন, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিকেলে আসেন। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক গলায় ব্যান্ডেজ করে কুষ্টিয়া পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে তার শ্বাসনালি কাটেনি। ব্লেড দিয়ে গলা কাটা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে ওই নারী (শামীমা) দাবি করেন, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা ভালোবেসে তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘদিন যাবত তাকে অবহেলা করে আসছিলো। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে আজ দীর্ঘসময় তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীকে হত্যাচেষ্টা করতে গেলে উলটো ওই কর্মকর্তার গলায় লেগে কেটে যায়।

ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে চলে আসি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মহিলাকে আটক করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ব্যাংক কর্মকর্তা

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার এক কর্মকর্তাকে এক নারী কর্তৃক ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই কর্মকর্তার নাম মঈনুল হোসেন মহিন। তিনি প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার লোন) পদে কর্মরত। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার বড় আইলছাড়ার দক্ষিণ পাড়ায়। এদিকে অভিযুক্ত ওই নারীর নাম শামীমা। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মধ্য বাজার এলাকার আবু বক্করের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা অভিযুক্ত নারীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তার গলায় ছুড়িকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় প্রধান ফটকের সামনে থাকা লোকজন তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এদিকে ওই কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া নার্স মমতাজ বলেন, তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিকেলে আসেন। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক গলায় ব্যান্ডেজ করে কুষ্টিয়া পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে তার শ্বাসনালি কাটেনি। ব্লেড দিয়ে গলা কাটা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অস্বীকার করে ওই নারী (শামীমা) দাবি করেন, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা ভালোবেসে তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘদিন যাবত তাকে অবহেলা করে আসছিলো। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে আজ দীর্ঘসময় তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীকে হত্যাচেষ্টা করতে গেলে উলটো ওই কর্মকর্তার গলায় লেগে কেটে যায়।

ইবি থানার ওসি আননূর যায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে চলে আসি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মহিলাকে আটক করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

ইবিহো/এসএস