ইবিতে বিচারকদের মিলনমেলা
ফরহাদ খাদেম
অনুষ্ঠানে বিচারকবৃন্দ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিচারক সমিতি’র উদ্যোগে বিচারকদের মিলনমেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম ত্বোহা’র সমন্বয়ে বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোছা. সৈয়দা সিদ্দিকা, আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. নাছির উদ্দিন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান।
এছাড়াও, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্যা সাইফুল আলম, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম জাকির হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কবির উদ্দীন প্রামানিক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আরিফুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, চট্টগ্রামের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আরা, কুষ্টিয়ার সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম, যশোরের গোলাম কবির, পাবনা ও ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান, ফরিদপুরের হাফিজুর রহমান, খুলনার আ. ছালাম খান, মেহেরপুরের তহিদুল ইসলাম, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর রকিবুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, স্পেশাল জজ শামসুল হক, সহকারী জজ মিলন আলীসহ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রায় ৬৫ জন বিচারক এবং আইন অনুষদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিচারকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশন আইইউ-এর আহবায়ক দ্বিতীয় শ্রম আদালত, ঢাকার চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) মঞ্জুরুল ইমাম । অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার (বিচার) তোফায়েল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিথুন ওয়াজেদুর রহমান ও আশরাফুন্নাহার রীটা।
বেলা ১১টা থেকে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় বিচারক ও বিভাগের শিক্ষকরা আলোচনা করেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের আলোচনা চলে। পরে বিচারকরা বিভাগকে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং ফটোশেসন করেন। সাড়ে তিনটার দিকে বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে বিকেল ৪টা থেকে মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিচারকরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি, কর্ম জীবনের অবিজ্ঞতা আলোচনা করেন এবং অনুজদের জন্য পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন।
বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার যদি নিজের প্রতি কনফিডেন্স থাকে এবং নিজেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ফিট মনে করেন তাহলে বিচারক বা আইনজীবী পেশায় আসতে পারেন। পর্যাপ্ত আইনের জ্ঞান, আইন প্রয়োগের ক্ষমতা এবং নিজেকে খাপ খাওয়ার মতো গুণগুলো থাকতে হবে, যেগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে অর্জিত হয়।’
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনি যেকোনো পেশায় যান না কেন আপনাকে সৎ থাকতে হবে। সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। বিচারক ও আইনি পেশায়ও আপনাকে সততার পরিচয় দিতে হবে। সৎ না থাকলে আপনার কাছে কোনো ক্লায়েন্ট আসবে না।
এমবিএইচ/এসএস
ইবিতে বিচারকদের মিলনমেলা
ফরহাদ খাদেম
অনুষ্ঠানে বিচারকবৃন্দ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিচারক সমিতি’র উদ্যোগে বিচারকদের মিলনমেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম ত্বোহা’র সমন্বয়ে বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোছা. সৈয়দা সিদ্দিকা, আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. নাছির উদ্দিন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান।
এছাড়াও, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্যা সাইফুল আলম, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম জাকির হাসান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কবির উদ্দীন প্রামানিক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আরিফুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, চট্টগ্রামের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আরা, কুষ্টিয়ার সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম, যশোরের গোলাম কবির, পাবনা ও ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান, ফরিদপুরের হাফিজুর রহমান, খুলনার আ. ছালাম খান, মেহেরপুরের তহিদুল ইসলাম, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর রকিবুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, স্পেশাল জজ শামসুল হক, সহকারী জজ মিলন আলীসহ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রায় ৬৫ জন বিচারক এবং আইন অনুষদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিচারকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশন আইইউ-এর আহবায়ক দ্বিতীয় শ্রম আদালত, ঢাকার চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) মঞ্জুরুল ইমাম । অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার (বিচার) তোফায়েল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিথুন ওয়াজেদুর রহমান ও আশরাফুন্নাহার রীটা।
বেলা ১১টা থেকে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় বিচারক ও বিভাগের শিক্ষকরা আলোচনা করেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের আলোচনা চলে। পরে বিচারকরা বিভাগকে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং ফটোশেসন করেন। সাড়ে তিনটার দিকে বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে বিকেল ৪টা থেকে মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিচারকরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি, কর্ম জীবনের অবিজ্ঞতা আলোচনা করেন এবং অনুজদের জন্য পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন।
বিচারপতি কে এম হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার যদি নিজের প্রতি কনফিডেন্স থাকে এবং নিজেকে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ফিট মনে করেন তাহলে বিচারক বা আইনজীবী পেশায় আসতে পারেন। পর্যাপ্ত আইনের জ্ঞান, আইন প্রয়োগের ক্ষমতা এবং নিজেকে খাপ খাওয়ার মতো গুণগুলো থাকতে হবে, যেগুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে অর্জিত হয়।’
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনি যেকোনো পেশায় যান না কেন আপনাকে সৎ থাকতে হবে। সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। বিচারক ও আইনি পেশায়ও আপনাকে সততার পরিচয় দিতে হবে। সৎ না থাকলে আপনার কাছে কোনো ক্লায়েন্ট আসবে না।
এমবিএইচ/এসএস