ইবিতে হলে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন 

হলের নানাবিধ সসম্যার সমাধানের দাবি নিয়ে হলের গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীর হলের ডাইনিংয়ে মানহীন খাবার পরিবেষণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকা এবং ইন্টারনেটের সমস্যাসহ হলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়াইফাইয়ের স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধিকরুন’, ‘বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে’, ‘হলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে’, ‘হল প্রভোস্টের দায়িত্বহীনতার জবাবদিহি করতে হবে’, ‘দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ করুন’, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী, জেলখানার কয়েদী নই’, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে হবে, নইলে দায়িত্ব ছাড়তে হবে’, ‘বেতন ভাতা সবই হয়, কাজের বেলায় ফান্ড নাই’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করছেন।

এসময় এক শিক্ষার্থী জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে হলের ডাইনিং ও টয়লেটগুলোতে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ট্যাপের পানি খাওয়ানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে হলে ওয়াইফাই নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এ দিকে আজকে স্যারকে সমস্যাগুলো অবহিত করলে তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যে যাই বলুক আমরা আমাদের মতো হল চালাবো।’

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, হলের খাবারের মান খুবই খারাপ। যদিও বাহিরের খাবারের হোটেলগুলোর খাবারের মান একটু ভালো, কিন্তু যেখানে খাবারের উচ্চমূল্যের কারণে আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই হলের খাবা গ্রহণ করি। এমনিতেই ইন্টারনেটের ধীরগতি তার মাঝে আবার কয়েকদিন ধরে ওয়াইফাই নাই। যার কারনে নেটের জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, হলের ফান্ডে তেমন টাকা নেই। ফান্ড গঠন সাপেক্ষে যতদ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং বন্ধ ছিল৷ ফলে বাকি হলগুলোর ডাইনিংয়ে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ইবিহো/এসএস

ইবিতে হলে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন 

হলের নানাবিধ সসম্যার সমাধানের দাবি নিয়ে হলের গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীর হলের ডাইনিংয়ে মানহীন খাবার পরিবেষণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকা এবং ইন্টারনেটের সমস্যাসহ হলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়াইফাইয়ের স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধিকরুন’, ‘বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে’, ‘হলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে’, ‘হল প্রভোস্টের দায়িত্বহীনতার জবাবদিহি করতে হবে’, ‘দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ করুন’, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী, জেলখানার কয়েদী নই’, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে হবে, নইলে দায়িত্ব ছাড়তে হবে’, ‘বেতন ভাতা সবই হয়, কাজের বেলায় ফান্ড নাই’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করছেন।

এসময় এক শিক্ষার্থী জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে হলের ডাইনিং ও টয়লেটগুলোতে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ট্যাপের পানি খাওয়ানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে হলে ওয়াইফাই নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এ দিকে আজকে স্যারকে সমস্যাগুলো অবহিত করলে তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যে যাই বলুক আমরা আমাদের মতো হল চালাবো।’

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, হলের খাবারের মান খুবই খারাপ। যদিও বাহিরের খাবারের হোটেলগুলোর খাবারের মান একটু ভালো, কিন্তু যেখানে খাবারের উচ্চমূল্যের কারণে আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই হলের খাবা গ্রহণ করি। এমনিতেই ইন্টারনেটের ধীরগতি তার মাঝে আবার কয়েকদিন ধরে ওয়াইফাই নাই। যার কারনে নেটের জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, হলের ফান্ডে তেমন টাকা নেই। ফান্ড গঠন সাপেক্ষে যতদ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং বন্ধ ছিল৷ ফলে বাকি হলগুলোর ডাইনিংয়ে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ইবিহো/এসএস