ইবির র‍্যাগিংয়ের তদন্তে মুখোমুখি ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা

ফরহাদ খাদেম

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী কর্তৃক নবীন ছাত্রীকে রুমে ডেকে র‍্যাগিংয়ের নামে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত হয়েছে মোট চারটি তদন্ত কমিটি। দফায় দফায় চলছে তদন্ত। তদন্ত কমিটির ডাকে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থবারের মতো ক্যম্পাসে এসেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। উপস্থিত হয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগী তাবাসসুমসহ তদন্তে নাম উঠে আসা আরও তিন অভিযুক্তও।

বেলা ১২টায় ভুক্তভোগী ও তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে উপস্থিত হন। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তায় সহকারী প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে। সেখানে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির তদন্ত চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

পরে বিকাল ৩টায় ভুক্তভোগী ও পাঁচ অভিযুক্তদের নিয়ে একসাথে বসা হয় মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় আইন বিভাগের সভাপতি ও প্রশাসনের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের অফিস কক্ষে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির তদন্ত চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে অভিযুক্তরা কোনো কথাই বলেননি। প্রত্যেকেই মাস্ক অথবা ওড়নায় মুখ গুজে সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে বের হয়ে গেছেন দ্রুতগতিতে। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি তারা। এছাড়া তদন্ত কমিটিও ছিলো একেবারেই নিশ্চুপ। সাংবাদিকরা সময় চাইলেও তাদের মুখোমুখি না হয়ে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যান তদন্ত কমিটি।

এদিকে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘প্রথম দিন যে ঘটনাগুলো শুনেছিল সেটা আজকে লিখিত নিয়েছে। প্রভোস্ট স্যারের রুমে আমার স্বাক্ষর সম্বলিত ১৩ পেজ লিখিত দিয়েছি। আমার শরীরের অবস্থা ভালো না। আমি আশা করছি তদন্ত কমিটির সকলেই সঠিক তদন্ত করবে। আমি অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷ যাতে এরকম ঘটনা আর কারও সাথে না হয়।’

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমি আশা করছি সঠিক বিচার পাব। যদি সঠিক বিচার না পাই, তাহলে আইনের আশ্রয় নিব।’

এমবিএইচ/এসএস

ইবির র‍্যাগিংয়ের তদন্তে মুখোমুখি ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা

ফরহাদ খাদেম

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী কর্তৃক নবীন ছাত্রীকে রুমে ডেকে র‍্যাগিংয়ের নামে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত হয়েছে মোট চারটি তদন্ত কমিটি। দফায় দফায় চলছে তদন্ত। তদন্ত কমিটির ডাকে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থবারের মতো ক্যম্পাসে এসেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। উপস্থিত হয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগী তাবাসসুমসহ তদন্তে নাম উঠে আসা আরও তিন অভিযুক্তও।

বেলা ১২টায় ভুক্তভোগী ও তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে উপস্থিত হন। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তায় সহকারী প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে। সেখানে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির তদন্ত চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

পরে বিকাল ৩টায় ভুক্তভোগী ও পাঁচ অভিযুক্তদের নিয়ে একসাথে বসা হয় মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় আইন বিভাগের সভাপতি ও প্রশাসনের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের অফিস কক্ষে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির তদন্ত চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে অভিযুক্তরা কোনো কথাই বলেননি। প্রত্যেকেই মাস্ক অথবা ওড়নায় মুখ গুজে সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে বের হয়ে গেছেন দ্রুতগতিতে। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি তারা। এছাড়া তদন্ত কমিটিও ছিলো একেবারেই নিশ্চুপ। সাংবাদিকরা সময় চাইলেও তাদের মুখোমুখি না হয়ে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যান তদন্ত কমিটি।

এদিকে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘প্রথম দিন যে ঘটনাগুলো শুনেছিল সেটা আজকে লিখিত নিয়েছে। প্রভোস্ট স্যারের রুমে আমার স্বাক্ষর সম্বলিত ১৩ পেজ লিখিত দিয়েছি। আমার শরীরের অবস্থা ভালো না। আমি আশা করছি তদন্ত কমিটির সকলেই সঠিক তদন্ত করবে। আমি অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷ যাতে এরকম ঘটনা আর কারও সাথে না হয়।’

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমি আশা করছি সঠিক বিচার পাব। যদি সঠিক বিচার না পাই, তাহলে আইনের আশ্রয় নিব।’

এমবিএইচ/এসএস