আল-কুরআন ও আল-হাদিস বিভাগ

ইবির ২ বিভাগে গবেষণায় ভর্তি আবেদনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় ভর্তীচ্ছুদের থেকে নীতিমালাবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজ্ঞপ্তির বাইরে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদন ফি প্রদানের পরও আলাদাভাবে বিভাগের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিতে হচ্ছে ভর্তীচ্ছুদের।

রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দেওয়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিধ রসিদের মাধ্যমে এমফিলের ক্ষেত্রে এক হাজার এবং পিএইচডির ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এর বাইরে কোনো টাকা দিতে হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগগুলোতে ভর্তীচ্ছুরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি দিয়ে আবেদন করলেও আল-কুরআন বিভাগে এমফিলে ভর্তীচ্ছুদের থেকে অতিরিক্ত এক হাজার ৫০০ এবং পিএইচডিতে ভর্তীচ্ছুদের থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আল-হাদিস বিভাগে উভয় ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগের ব্যয়ের জন্য এ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিভাগীয় প্রধানরা।

তবে একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার সব ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করে। এর আগেও বিভাগগুলোকে অর্থ দেওয়া হয়েছে, এবারও বিভাগে পরীক্ষা হলে অর্থ দেওয়া হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি বাদে অন্য কোনো ফি গ্রহণ নীতিমালায় নেই।

একাডেমিক শাখার প্রধান এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। কোনো বিভাগ এটি করতে পারে না।

এ বিষয়ে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ফি নেওয়া হলেও বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম করতে হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশন কমিটি (পিএটিসি) থেকে বিভাগকে কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই ফি নেওয়া হয়। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে এটি নেওয়া হয়।

আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান বলেন, আবেদন যাচাইসহ ভর্তি কার্যক্রম বিভাগের ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত এই ফি নেওয়া হচ্ছে। পিএটিসি থেকে বিভাগকে কোনো অর্থ প্রদান করা হলে আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

কয়েকটি বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তাঁরা প্রতিবেদককে বলেন, যাঁরা পরীক্ষার পর ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন তাঁদের থেকে সংশ্লিষ্ট ফি নিয়ে থাকে বিভাগগুলো। ভর্তির আগে যেহেতু তাঁরা শিক্ষার্থী থাকে না, তাই এ সময় তাঁদের থেকে আলাদা কোনো ফি নেওয়া অযৌক্তিক। এ ছাড়া ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো ব্যয় হয়ে থাকলেও পরবর্তী সময়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফি থেকে সেটি সমন্বয় করার সুযোগ থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত একটি ফি থাকার পরও বিভাগ থেকে এমন ফি নেওয়া খুবই অনুচিত। ভর্তির জন্য মনোনীত হলে বিভাগ কিছু ফি নিতে পারে, কিন্তু আবেদনের সময় নেওয়ার কথা নয়। আমি শনিবার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তো তাদের দায়িত্ব থাকে আবেদন যাচাই করার, এ জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতে হবে এমন তো কথা না।

আল-কুরআন ও আল-হাদিস বিভাগ

ইবির ২ বিভাগে গবেষণায় ভর্তি আবেদনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় ভর্তীচ্ছুদের থেকে নীতিমালাবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজ্ঞপ্তির বাইরে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদন ফি প্রদানের পরও আলাদাভাবে বিভাগের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিতে হচ্ছে ভর্তীচ্ছুদের।

রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দেওয়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিধ রসিদের মাধ্যমে এমফিলের ক্ষেত্রে এক হাজার এবং পিএইচডির ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এর বাইরে কোনো টাকা দিতে হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগগুলোতে ভর্তীচ্ছুরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি দিয়ে আবেদন করলেও আল-কুরআন বিভাগে এমফিলে ভর্তীচ্ছুদের থেকে অতিরিক্ত এক হাজার ৫০০ এবং পিএইচডিতে ভর্তীচ্ছুদের থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আল-হাদিস বিভাগে উভয় ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগের ব্যয়ের জন্য এ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিভাগীয় প্রধানরা।

তবে একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার সব ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করে। এর আগেও বিভাগগুলোকে অর্থ দেওয়া হয়েছে, এবারও বিভাগে পরীক্ষা হলে অর্থ দেওয়া হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি বাদে অন্য কোনো ফি গ্রহণ নীতিমালায় নেই।

একাডেমিক শাখার প্রধান এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। কোনো বিভাগ এটি করতে পারে না।

এ বিষয়ে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ফি নেওয়া হলেও বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম করতে হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশন কমিটি (পিএটিসি) থেকে বিভাগকে কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই ফি নেওয়া হয়। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে এটি নেওয়া হয়।

আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান বলেন, আবেদন যাচাইসহ ভর্তি কার্যক্রম বিভাগের ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত এই ফি নেওয়া হচ্ছে। পিএটিসি থেকে বিভাগকে কোনো অর্থ প্রদান করা হলে আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

কয়েকটি বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তাঁরা প্রতিবেদককে বলেন, যাঁরা পরীক্ষার পর ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন তাঁদের থেকে সংশ্লিষ্ট ফি নিয়ে থাকে বিভাগগুলো। ভর্তির আগে যেহেতু তাঁরা শিক্ষার্থী থাকে না, তাই এ সময় তাঁদের থেকে আলাদা কোনো ফি নেওয়া অযৌক্তিক। এ ছাড়া ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো ব্যয় হয়ে থাকলেও পরবর্তী সময়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফি থেকে সেটি সমন্বয় করার সুযোগ থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত একটি ফি থাকার পরও বিভাগ থেকে এমন ফি নেওয়া খুবই অনুচিত। ভর্তির জন্য মনোনীত হলে বিভাগ কিছু ফি নিতে পারে, কিন্তু আবেদনের সময় নেওয়ার কথা নয়। আমি শনিবার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তো তাদের দায়িত্ব থাকে আবেদন যাচাই করার, এ জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতে হবে এমন তো কথা না।