ইবি খালেদা জিয়া হলে বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ

সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে এবং নৃত্য ও প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আশা করি তোমরা অনেক-অনেক ভালো কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবে না। তিনি বলেন, মেয়েদের অনেক দায়িত্ব। তাদেরকে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিবার এবং রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতে হবে।উপ-উপাচার্য নবীনদের ভালো জিনিস গ্রহণ ও খারাপ জিনিস বর্জন এবং পরিবার ও রাষ্ট্রকে সহযোগিতার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, নিজে ভালো থাকবো, অন্যকেও ভালো রাখবো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই হোক আমাদের প্রত্যয়। ব্যতিক্রমী ও হৃদয়গ্রাহী এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উপ-উপাচার্য খালেদা জিয়া হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই চমৎকার আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ব্যবহারিক জীবনে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছ। কর্মক্ষেত্রে তোমরা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে পরবর্তী প্রজন্ম তোমাদের হাত ধরে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি নবীনদের সুন্দর একাডেমিক জীবন কামনা করেন। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আজ আর কোনো অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন, শাপলা ফোরামের সভাপতি পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা প্রমুখ। আবাসিক শিক্ষক মাহবুবা সিদ্দিকা স্বাগত বক্তব্য দেন।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ, বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. শেখ মহা. রেজাউল করিম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আকতার, প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ইন-চার্জ) ড. আমানুর রহমান, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্চালনায় ছিলেন শেখ ফারাহ শারমিন বিন্দু। অনুষ্ঠানে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তামান্না খাতুনকে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ উপলক্ষে হল আলোকসজ্জিত করা হয়।
এমবিএইচ/এসএস

ইবি খালেদা জিয়া হলে বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ

সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে এবং নৃত্য ও প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আশা করি তোমরা অনেক-অনেক ভালো কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবে না। তিনি বলেন, মেয়েদের অনেক দায়িত্ব। তাদেরকে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিবার এবং রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতে হবে।উপ-উপাচার্য নবীনদের ভালো জিনিস গ্রহণ ও খারাপ জিনিস বর্জন এবং পরিবার ও রাষ্ট্রকে সহযোগিতার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ৪৪তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, নিজে ভালো থাকবো, অন্যকেও ভালো রাখবো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই হোক আমাদের প্রত্যয়। ব্যতিক্রমী ও হৃদয়গ্রাহী এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উপ-উপাচার্য খালেদা জিয়া হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, অপর বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই চমৎকার আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ব্যবহারিক জীবনে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছ। কর্মক্ষেত্রে তোমরা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে পরবর্তী প্রজন্ম তোমাদের হাত ধরে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি নবীনদের সুন্দর একাডেমিক জীবন কামনা করেন। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আজ আর কোনো অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন, শাপলা ফোরামের সভাপতি পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা প্রমুখ। আবাসিক শিক্ষক মাহবুবা সিদ্দিকা স্বাগত বক্তব্য দেন।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ, বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. শেখ মহা. রেজাউল করিম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সাহিদা আকতার, প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ইন-চার্জ) ড. আমানুর রহমান, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্চালনায় ছিলেন শেখ ফারাহ শারমিন বিন্দু। অনুষ্ঠানে ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তামান্না খাতুনকে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। সব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ উপলক্ষে হল আলোকসজ্জিত করা হয়।
এমবিএইচ/এসএস