তখন তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি রাসুল (সা.)-কে প্রতিবেশীর হকের বিষয়টি এত বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলতে শুনেছি যে, আমাদের আশঙ্কা হয়েছে, প্রতিবেশীকে মিরাসের হকদার (উত্তরাধিকার সম্পদের অংশীদার) বানিয়ে দেওয়া হবে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ, বুখারি, হাদিস : ১২৮)
মুসলিম হোক বা অমুসলিম, কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গেই মন্দ আচরণ করা যাবে না। অনেক নামাজ-রোজা করেও অনেক মানুষ পরকালে জাহান্নামে যাবে প্রতিবেশীর সঙ্গে মন্দ আচরণের কারণে। বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে নবীজী (সা.)-কে বলল, ‘এক নারী অনেক বেশি নফল নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, দুই হাতে দান করে। কিন্তু জবানের দ্বারা তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়; তার অবস্থা কী হবে?’
নবীজী (সা.) বললেন, ‘সে জাহান্নামে যাবে।’ আচ্ছা, আরেক নারী খুব বেশি নফল নামাজও পড়ে না, খুব বেশি রোজাও রাখে না আবার তেমন দান-সদকাও করে না; সামান্য দু-এক টুকরা পনির দান করে। তবে সে জবানের দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না; এই নারীর ব্যাপারে কী বলেন? নবীজী (সা.) বললেন, ‘সে জান্নাতে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, বুখারি, হাদিস : ১১৯)