এইচএসসি ফলাফল ২০২২

ঈর্ষণীয় সাফল্য আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের

আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ

প্রতিবারের ন্যায় এবারও ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। এবারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেওয়া এক হাজার ২০২ জনের সকল পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬৩ জন। গ্রুপভিত্তিক স্টাডি সার্কেল, শৃঙ্খলা ও নিবিড় তদারকিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ঈর্ষণীয় সাফল্য ফলাফল করছে।

দেশের অন্যতম পোশাক রফতানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০০৬ সালে নরসিংদীতে তাঁর নিজের নামে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পখাতের সাফল্যের ন্যায় শিক্ষাও তিনি সফলতা পান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেরা কলেজ হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেয় কলেজটি। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি ২০০৮ সালেই পাসের হার ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে শতভাগ ও ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম, ২০১০ সালে শতভাগ পাশসহ জেলার শ্রেষ্ঠ ২০১১ সালে শতভাগ পাশসহ ঢাকা বোর্ডে সপ্তম। ২০১২ সাল থেকে কলেজটি টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। গত ২০১৫ সাল থেকে সেরাদের তালিকা না হলেও ফলাফলে নিজেদের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেছে।

এইসব সাফল্যের মূল কারিগর থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা। শিল্পখাতে অবদানের জন্য তিনি প্রতিবছর সরকারের সিআইপি (রফতানি) মর্যাদা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ করদাতা, করবাহাদুর উপাধীসহ ইত্যাদি পদকে ভূষিত হন। একইভাবে শিক্ষা খাতে তার তৈরি একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশসেরার খেতাব অর্জন করেছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর আরেক প্রতিষ্ঠান নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস্্ ২৬৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই জিপিএ ৫ পান। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে তিনি মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের অধীনে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস, আবদুল কাদির মোল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি তিনি দেশের স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকেন। শিক্ষাখাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য ও বিশেষ অবদানে তিনি বর্তমানে ‘শিক্ষাবন্ধু’ হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছেন।

শিক্ষাবন্ধু আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, প্রত্যেক সাফল্যের মূলমন্ত্র হচ্ছে পরিশ্রম। আমাদের এক ঝাঁক তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভাল ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থী ভর্তি ইত্যাদি কার্যক্রমে আমরা মানের সাথে আপোষ করি নাই। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে একজন দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে, যাকে এই শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিণত হয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করে।

সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাহমুদুল হাসান রুমি বলেন, ‘আমাদের কলেজের এ সাফল্য শিক্ষকদের মেধা ও শিক্ষার্থীদের মেধার সেতুবন্ধনের ফসল। এই কলেজের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষকের সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত নিরন্তর চেষ্টায় আজকের এই ধারাবাহিক সাফল্য। প্রতি ২০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন দিকনির্দেশক শিক্ষক রয়েছেন। ওই শিক্ষক শুধু লেখাপড়া নয়, তাদের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, বিনোদন থেকে শুরু করে সব ধরনের চাহিদা পূরণে সবসময় শ্রম দিয়ে আসছেন।

এইচএসসি ফলাফল ২০২২

ঈর্ষণীয় সাফল্য আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের

আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ

প্রতিবারের ন্যায় এবারও ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। এবারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেওয়া এক হাজার ২০২ জনের সকল পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬৩ জন। গ্রুপভিত্তিক স্টাডি সার্কেল, শৃঙ্খলা ও নিবিড় তদারকিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ঈর্ষণীয় সাফল্য ফলাফল করছে।

দেশের অন্যতম পোশাক রফতানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০০৬ সালে নরসিংদীতে তাঁর নিজের নামে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পখাতের সাফল্যের ন্যায় শিক্ষাও তিনি সফলতা পান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেরা কলেজ হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেয় কলেজটি। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি ২০০৮ সালেই পাসের হার ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে শতভাগ ও ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম, ২০১০ সালে শতভাগ পাশসহ জেলার শ্রেষ্ঠ ২০১১ সালে শতভাগ পাশসহ ঢাকা বোর্ডে সপ্তম। ২০১২ সাল থেকে কলেজটি টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। গত ২০১৫ সাল থেকে সেরাদের তালিকা না হলেও ফলাফলে নিজেদের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেছে।

এইসব সাফল্যের মূল কারিগর থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা। শিল্পখাতে অবদানের জন্য তিনি প্রতিবছর সরকারের সিআইপি (রফতানি) মর্যাদা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ করদাতা, করবাহাদুর উপাধীসহ ইত্যাদি পদকে ভূষিত হন। একইভাবে শিক্ষা খাতে তার তৈরি একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশসেরার খেতাব অর্জন করেছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর আরেক প্রতিষ্ঠান নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস্্ ২৬৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই জিপিএ ৫ পান। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে তিনি মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের অধীনে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস, আবদুল কাদির মোল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি তিনি দেশের স্বায়ত্বশাসিত, সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকেন। শিক্ষাখাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য ও বিশেষ অবদানে তিনি বর্তমানে ‘শিক্ষাবন্ধু’ হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছেন।

শিক্ষাবন্ধু আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, প্রত্যেক সাফল্যের মূলমন্ত্র হচ্ছে পরিশ্রম। আমাদের এক ঝাঁক তরুণ ও মেধাবী শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভাল ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থী ভর্তি ইত্যাদি কার্যক্রমে আমরা মানের সাথে আপোষ করি নাই। আমি সবসময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে একজন দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে, যাকে এই শিক্ষার্থীরা মানব সম্পদে পরিণত হয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করে।

সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাহমুদুল হাসান রুমি বলেন, ‘আমাদের কলেজের এ সাফল্য শিক্ষকদের মেধা ও শিক্ষার্থীদের মেধার সেতুবন্ধনের ফসল। এই কলেজের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষকের সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত নিরন্তর চেষ্টায় আজকের এই ধারাবাহিক সাফল্য। প্রতি ২০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন দিকনির্দেশক শিক্ষক রয়েছেন। ওই শিক্ষক শুধু লেখাপড়া নয়, তাদের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, বিনোদন থেকে শুরু করে সব ধরনের চাহিদা পূরণে সবসময় শ্রম দিয়ে আসছেন।