‘উচ্চশিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে কর্মশালা করল পাবিপ্রবি

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সাথে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ২০ মে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশন’ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কর্মশালা’ দুটি ব্যাচে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালাটি সকাল দশটায় উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল হোসেন-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন রাজশাহী বিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজির আহম্মাদ তুষার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম এবং সহযোগী অধ্যাপক মো. আসফাকুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হলো জীবনেরই একটি অংশ। সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো স্ট্রেস থাকে। তবে সেই মানসিক চাপকে আমাদের জয় করা এবং স্ট্রেসকে ম্যানেজ করতে হবে। চেষ্টার মাধ্যমেই ভালোকিছু করা সম্ভব। অন্যজনকে বিপদে ফেলে নিজের মানসিক চাপকে কমানোর চেষ্টা করা যাবেনা। কোনো শিক্ষার্থীর সাথে র‌্যাগিং করা যাবেনা এবং সবসময় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শৃঙ্খলা-নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে জীবন-যাপন করতে হবে।”

বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, “স্ট্রেসের লক্ষণগুলোকে আগে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সময় ব্যবস্থাপনা করে দিনের কাজগুলোকে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। টার্গেট ঠিক করে কাজ করলে সফলতা আসবে। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী টার্গেট ঠিক করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির মাঝে অন্তর্নিহিত শক্তি আছে, সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামনে আগাতে হবে।”

উদ্বোধনী কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান’সহ অনেকে।

ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল-এর উদ্যোগে দুটি ব্যাচে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ব্যাচ সকাল ১০টায় এবং দ্বিতীয় ব্যাচ দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগ থেকে পাঁচজন করে শিক্ষার্থী, প্রতিটি অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সহকারী ছাত্র উপদেষ্টাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস

 ‘উচ্চশিক্ষায় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে কর্মশালা করল পাবিপ্রবি

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সাথে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ২০ মে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইন হায়ার এডুকেশন’ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কর্মশালা’ দুটি ব্যাচে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালাটি সকাল দশটায় উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল হোসেন-এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শামীম রেজা। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন রাজশাহী বিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজির আহম্মাদ তুষার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম এবং সহযোগী অধ্যাপক মো. আসফাকুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হলো জীবনেরই একটি অংশ। সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো স্ট্রেস থাকে। তবে সেই মানসিক চাপকে আমাদের জয় করা এবং স্ট্রেসকে ম্যানেজ করতে হবে। চেষ্টার মাধ্যমেই ভালোকিছু করা সম্ভব। অন্যজনকে বিপদে ফেলে নিজের মানসিক চাপকে কমানোর চেষ্টা করা যাবেনা। কোনো শিক্ষার্থীর সাথে র‌্যাগিং করা যাবেনা এবং সবসময় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। শৃঙ্খলা-নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে জীবন-যাপন করতে হবে।”

বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, “স্ট্রেসের লক্ষণগুলোকে আগে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সময় ব্যবস্থাপনা করে দিনের কাজগুলোকে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। টার্গেট ঠিক করে কাজ করলে সফলতা আসবে। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী টার্গেট ঠিক করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির মাঝে অন্তর্নিহিত শক্তি আছে, সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামনে আগাতে হবে।”

উদ্বোধনী কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান’সহ অনেকে।

ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল-এর উদ্যোগে দুটি ব্যাচে শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ব্যাচ সকাল ১০টায় এবং দ্বিতীয় ব্যাচ দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগ থেকে পাঁচজন করে শিক্ষার্থী, প্রতিটি অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সহকারী ছাত্র উপদেষ্টাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

ইবিহো/এসএস