‘উদাসীনতায়’ সেশনজট মূল্যায়ন পদ্ধতির তাগিদ

বেলাল হোসেন, জাবি

‘সকাল ১০টায় ক্লাসের সময়, শিক্ষক আসছেন দুপুর সাড়ে ১২টায়। চার ক্রেডিটের কোর্স আট ক্লাসেই শেষ। ইনকোর্স নম্বর প্রকাশ ছাড়াই চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ। এরপর ফলাফল প্রকাশে অর্ধবছর। এ ছাড়া সারা বছর ধরে উপেক্ষিত থাকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার। শিক্ষকদের এ রকম খামখেয়ালি ও উদাসীনতায় শিক্ষার্থীরা অসহায়।’ এ সব কথা বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী জহির ফয়সাল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি কার্যক্রমে শিক্ষকদের ‘উদাসীনতা’ অন্যান্য অনুষদের চেয়ে বেশি।

জহির ফয়সাল বলেন, ‘শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতার অভাবে সেশনজট বাড়ছে। এ ধরনের ‘খামখেয়ালির’ প্রতিকারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সজাগ হতে হবে। এ জন্য শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা জরুরি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসের সময় শিক্ষকদের দেরিতে আসা, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ছয়-সাত মাস দেরি, টিউটরিয়ালের নম্বর ছাড়াই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ঘটনা। এমনকি চূড়ান্ত পরীক্ষা চলার সময়ও ক্লাস ও টিউটরিয়াল দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে শিক্ষার্থীদের।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, সময়মতো ক্লাসে যান কি না—সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রচলন হলেই স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা উদাসীনতা শেষ হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। তবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মতামত থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রদের দায়িত্বশীল পরিচয় দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে। শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি শুরু হবে। সেটি পর্যবেক্ষণ করে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব।’

‘উদাসীনতায়’ সেশনজট মূল্যায়ন পদ্ধতির তাগিদ

বেলাল হোসেন, জাবি

‘সকাল ১০টায় ক্লাসের সময়, শিক্ষক আসছেন দুপুর সাড়ে ১২টায়। চার ক্রেডিটের কোর্স আট ক্লাসেই শেষ। ইনকোর্স নম্বর প্রকাশ ছাড়াই চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ। এরপর ফলাফল প্রকাশে অর্ধবছর। এ ছাড়া সারা বছর ধরে উপেক্ষিত থাকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার। শিক্ষকদের এ রকম খামখেয়ালি ও উদাসীনতায় শিক্ষার্থীরা অসহায়।’ এ সব কথা বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী জহির ফয়সাল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি কার্যক্রমে শিক্ষকদের ‘উদাসীনতা’ অন্যান্য অনুষদের চেয়ে বেশি।

জহির ফয়সাল বলেন, ‘শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতার অভাবে সেশনজট বাড়ছে। এ ধরনের ‘খামখেয়ালির’ প্রতিকারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সজাগ হতে হবে। এ জন্য শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রচলন করা জরুরি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসের সময় শিক্ষকদের দেরিতে আসা, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ছয়-সাত মাস দেরি, টিউটরিয়ালের নম্বর ছাড়াই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ঘটনা। এমনকি চূড়ান্ত পরীক্ষা চলার সময়ও ক্লাস ও টিউটরিয়াল দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে শিক্ষার্থীদের।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, সময়মতো ক্লাসে যান কি না—সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রচলন হলেই স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা উদাসীনতা শেষ হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। তবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মতামত থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রদের দায়িত্বশীল পরিচয় দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে। শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি শুরু হবে। সেটি পর্যবেক্ষণ করে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব।’