উপাচার্যহীন বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এস এম আল-ফাহাদ

দুই সপ্তাহ হলো উপাচার্যহীন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ ।

গত ১৮ নভেম্বর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ অথবা রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদটি অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ও গবেষণার কাজটি মূলত উপাচার্যের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে থাকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের‌ সূত্র বলছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। পদ খালি হলে তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই নিয়োগ দেবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য ও নতুন নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০১৭ এর উপধারা-১০ (৩) এ বলা আছে যে মেয়াদ শেষ হবার কারণে শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপ-উপাচার্য অথবা ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি পদই শূন্য রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো।

আগামী মেয়াদে কে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল, তা নিয়েও আলোচনা চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সেই আলোচনায় উঠে আসছে উপাচার্য হিসেবে যোগ্যতার নানা দিকও। প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হলেও দ্বিতীয়বার উপাচার্য হবার দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবার নতুন উপাচার্য আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপাচার্য হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক, কলামিস্ট, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. এম মেসবাহউদ্দীন সরকার । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থী বান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসকের নিয়োগ চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে হতে যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির দ্বিতীয় উপাচার্য সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এমবিএইচ/এসএস

উপাচার্যহীন বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এস এম আল-ফাহাদ

দুই সপ্তাহ হলো উপাচার্যহীন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ ।

গত ১৮ নভেম্বর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ অথবা রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদটি অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ও গবেষণার কাজটি মূলত উপাচার্যের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে থাকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের‌ সূত্র বলছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। পদ খালি হলে তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই নিয়োগ দেবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য ও নতুন নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন -২০১৭ এর উপধারা-১০ (৩) এ বলা আছে যে মেয়াদ শেষ হবার কারণে শূন্য পদে নবনিযুক্ত উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপ-উপাচার্য অথবা ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি পদই শূন্য রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো।

আগামী মেয়াদে কে ধরছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল, তা নিয়েও আলোচনা চলছে ক্যাম্পাসজুড়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সেই আলোচনায় উঠে আসছে উপাচার্য হিসেবে যোগ্যতার নানা দিকও। প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হলেও দ্বিতীয়বার উপাচার্য হবার দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবার নতুন উপাচার্য আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।

উপাচার্য হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক, কলামিস্ট, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. এম মেসবাহউদ্দীন সরকার । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থী বান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসকের নিয়োগ চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে হতে যাচ্ছেন বশেফমুবিপ্রবির দ্বিতীয় উপাচার্য সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এমবিএইচ/এসএস