এইচএসসিতে ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও ৪ মডারেটর চিহ্নিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

এইচএসসি পরীক্ষা। দৈনিক বাংলা ফাইল ছবি
এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রের ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার মডারেটরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম ও পরিচয় জানান।
প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। আর চার মডারেটরের মধ্যে রয়েছেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রশ্নটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রণয়ন হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যশোর শিক্ষা বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষকদের শোকজ করবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে সুপারিশ করবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রনালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক প্রশ্নপত্র হওয়ার অভিযোগ উঠে। ঢাকা বোর্ডের সৃজনশীল প্রশ্নের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়। এতে ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ১ নম্বর সেটের ১১ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’ এই প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে খুঁজে বের করার কাজে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যেই তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত সোমবার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এক অনুষ্ঠানে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এইচএসসিতে ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও ৪ মডারেটর চিহ্নিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

এইচএসসি পরীক্ষা। দৈনিক বাংলা ফাইল ছবি
এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রের ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও চার মডারেটরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম ও পরিচয় জানান।
প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। আর চার মডারেটরের মধ্যে রয়েছেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রশ্নটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রণয়ন হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যশোর শিক্ষা বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষকদের শোকজ করবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে সুপারিশ করবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রনালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক প্রশ্নপত্র হওয়ার অভিযোগ উঠে। ঢাকা বোর্ডের সৃজনশীল প্রশ্নের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়। এতে ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ১ নম্বর সেটের ১১ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’ এই প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে খুঁজে বের করার কাজে নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যেই তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গত সোমবার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এক অনুষ্ঠানে জানান শিক্ষামন্ত্রী।