এমন অবহেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

সরকারি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়
সম্পাদকীয়

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ের দক্ষিণ অংশে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীন পরিচালিত বিদ্যালয় দুটির অবস্থান। স্বতন্ত্র একটি ভবনেই দুই বিদ্যালয়ের পাঠদান।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে ফেলে সেখানে তোলা হয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ের ভবন। আর বিদ্যালয় দুটি নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি সেমি পাকা ভবনে। জায়গাটি বড় বড় ঘাস ও আগাছাভর্তি হওয়ায় সেখানে শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে, প্রতিবন্ধীদের জন্য তো আরও নয়। পরবর্তী সময়ে সেই অস্থায়ী বিদ্যালয়ও পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এখন আবাসিক ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।

যেখানে বাস, সেখানে পাঠদান, সেখানেই খাওয়াদাওয়াসহ সব। বৃষ্টি হলে প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পানিতে তলিয়ে যায়। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। সাত বছর ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় দুটিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

সেখানে ৩৬ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও ৫৭ জন বাক্-শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ৭ জন শিক্ষকসহ মোট ১৩ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৩ জন শিক্ষক। বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জন্য ১১ জন শিক্ষার্থীর কথা থাকলেও ১ জনও নেই, নেই কোনো কর্মচারীও।

প্রতিবন্ধীরা পড়াশোনা করে কী করবে, তাদের তো কোনো ভবিষ্যৎ নেই—এমন ধারণাই কি তাহলে সমাজসেবা কার্যালয় পোষণ করে? প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়টিতে পদে পদে এমন ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও অবহেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজেদের ভবন করার আগে কেন বিদ্যালয় দুটির ভবন নিশ্চিত করা হলো না?

কেন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না? এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আর কত বছর চলবে বিদ্যালয় দুটি? প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সমাজসেবা কার্যালয়ের এমন দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতায় আমরা হতাশ। বিদ্যালয় দুটির ভবন নির্মাণের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হোক। সেই সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এমন অবহেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

সরকারি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়
সম্পাদকীয়

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড়ের দক্ষিণ অংশে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীন পরিচালিত বিদ্যালয় দুটির অবস্থান। স্বতন্ত্র একটি ভবনেই দুই বিদ্যালয়ের পাঠদান।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে ফেলে সেখানে তোলা হয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ের ভবন। আর বিদ্যালয় দুটি নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি সেমি পাকা ভবনে। জায়গাটি বড় বড় ঘাস ও আগাছাভর্তি হওয়ায় সেখানে শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে, প্রতিবন্ধীদের জন্য তো আরও নয়। পরবর্তী সময়ে সেই অস্থায়ী বিদ্যালয়ও পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এখন আবাসিক ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।

যেখানে বাস, সেখানে পাঠদান, সেখানেই খাওয়াদাওয়াসহ সব। বৃষ্টি হলে প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পানিতে তলিয়ে যায়। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। সাত বছর ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় দুটিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

সেখানে ৩৬ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও ৫৭ জন বাক্-শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ৭ জন শিক্ষকসহ মোট ১৩ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৩ জন শিক্ষক। বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জন্য ১১ জন শিক্ষার্থীর কথা থাকলেও ১ জনও নেই, নেই কোনো কর্মচারীও।

প্রতিবন্ধীরা পড়াশোনা করে কী করবে, তাদের তো কোনো ভবিষ্যৎ নেই—এমন ধারণাই কি তাহলে সমাজসেবা কার্যালয় পোষণ করে? প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়টিতে পদে পদে এমন ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও অবহেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজেদের ভবন করার আগে কেন বিদ্যালয় দুটির ভবন নিশ্চিত করা হলো না?

কেন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না? এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আর কত বছর চলবে বিদ্যালয় দুটি? প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সমাজসেবা কার্যালয়ের এমন দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতায় আমরা হতাশ। বিদ্যালয় দুটির ভবন নির্মাণের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হোক। সেই সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।