কাবিনের টাকার বদলে ১০১টি বই নিয়ে বিয়ে করলেন ইবি ছাত্রী

ইবি প্রতিনিধি
প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে ১০১ বইয়ের দেনমোহরে বিয়ে করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন অন্তরা। ঘর বেঁধেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল মিথুনের সঙ্গে। শনিবার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের আসরেই ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বইগুলো নিয়ে পারিবারিক গ্রন্থাগার গড়ার কথা জানান নতুন এই দম্পতি। এতে অবাক হন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বর-কনে উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়। সুমাইয়া পারভীন অন্তরা বলেন, সবাই ভাবেন বিয়েতে অর্থ ও স্বর্ণালংকারই কেবল দেনমোহর হতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জানতে পারি অন্য কিছুতেও দেনমোহর হতে পারে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিয়েতে ১০১টি বই দেনমোহর হিসেবে চাইব। আমার ইচ্ছের কথা পিতা-মাতাকে জানালে সম্মতি দেন এবং বইয়ের নাম সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। এরপর আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ১০১টি বই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যিনি ভালোবাসে তিনি এমনিতেই সঙ্গে থাকবেন। এছাড়া আমার স্বামীর কাঁধে দেনমোহরের ঋণের বোঝা থাকুক এটাও আমি চাইনি। সমাজে উচ্চাহারে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই দেনমোহরের বেশিরভাগই অপরিশোধিত থাকে। এ জন্যই ছাত্রজীবনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

রুহুল মিথুন বলেন, বিয়ের আগে দুই পরিবারের আলোচনায় আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান এবং ১০১টি বইয়ের তালিকা দেন। বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে, তবে উপভোগ করেছি। আমারও ছোটবেলা থেকে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল, যে কারণে বইপ্রেমী কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইতাম। সৃষ্টিকর্তা সেটি পূরণ করেছেন।

কাবিনের টাকার বদলে ১০১টি বই নিয়ে বিয়ে করলেন ইবি ছাত্রী

ইবি প্রতিনিধি
প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে ১০১ বইয়ের দেনমোহরে বিয়ে করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন অন্তরা। ঘর বেঁধেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রুহুল মিথুনের সঙ্গে। শনিবার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের আসরেই ১০১টি বই হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বইগুলো নিয়ে পারিবারিক গ্রন্থাগার গড়ার কথা জানান নতুন এই দম্পতি। এতে অবাক হন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বর-কনে উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়। সুমাইয়া পারভীন অন্তরা বলেন, সবাই ভাবেন বিয়েতে অর্থ ও স্বর্ণালংকারই কেবল দেনমোহর হতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জানতে পারি অন্য কিছুতেও দেনমোহর হতে পারে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিয়েতে ১০১টি বই দেনমোহর হিসেবে চাইব। আমার ইচ্ছের কথা পিতা-মাতাকে জানালে সম্মতি দেন এবং বইয়ের নাম সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। এরপর আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ শুরু করি। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী ১০১টি বই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যিনি ভালোবাসে তিনি এমনিতেই সঙ্গে থাকবেন। এছাড়া আমার স্বামীর কাঁধে দেনমোহরের ঋণের বোঝা থাকুক এটাও আমি চাইনি। সমাজে উচ্চাহারে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই দেনমোহরের বেশিরভাগই অপরিশোধিত থাকে। এ জন্যই ছাত্রজীবনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

রুহুল মিথুন বলেন, বিয়ের আগে দুই পরিবারের আলোচনায় আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান এবং ১০১টি বইয়ের তালিকা দেন। বইগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে, তবে উপভোগ করেছি। আমারও ছোটবেলা থেকে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল, যে কারণে বইপ্রেমী কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইতাম। সৃষ্টিকর্তা সেটি পূরণ করেছেন।