কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক। ছবি: দৈনিক বাংলা
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া। তার দাবি এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক। যা আগে ছিল ৩০০ টাকা। ফলে অনেক দরিদ্র অভিভাবককে ধার-কর্জ করে ফি দিতে হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অটোপাসের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হলেও নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় বোর্ডের ফির কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক।’
‘২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় সরকারি সহায়তা দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যয়নের নামে ৫০ টাকা আদায় করেন। শুধু তাই নয়, সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রশংসাপত্র, ছাড়পত্র প্রদানের সময় রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে প্রধান শিক্ষক নিজের সুবিধামত এডহক কমিটি গঠন করেছেন। ফলে বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা ও বিশৃঙ্খলা।
উপজেলার বিলবাগ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। তার মেয়ে লামিয়া আক্তার পড়ে বিদ্যালয়টির সপ্তম শ্রেণিতে। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, করোনায় সরকারি সহায়তা পেতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এজন্য ৫০ টাকা খরচ হবে। পরে শিক্ষার্থীরা আর কোনো সহযোগিতাও পায়নি, টাকাও ফেরত পায়নি।’
একই অভিযোগ করেন অভিভাবক রিপন মিয়া, আবদুল জলিল, কাজল মিয়া ও হাকিম উদ্দিন। তারা জানান, প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া তার ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে আসছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

কিশোরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক। ছবি: দৈনিক বাংলা
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পিপলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন অভিভাবক।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া। তার দাবি এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক। যা আগে ছিল ৩০০ টাকা। ফলে অনেক দরিদ্র অভিভাবককে ধার-কর্জ করে ফি দিতে হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অটোপাসের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হলেও নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় বোর্ডের ফির কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক।’
‘২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় সরকারি সহায়তা দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যয়নের নামে ৫০ টাকা আদায় করেন। শুধু তাই নয়, সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রশংসাপত্র, ছাড়পত্র প্রদানের সময় রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে প্রধান শিক্ষক নিজের সুবিধামত এডহক কমিটি গঠন করেছেন। ফলে বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা ও বিশৃঙ্খলা।
উপজেলার বিলবাগ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। তার মেয়ে লামিয়া আক্তার পড়ে বিদ্যালয়টির সপ্তম শ্রেণিতে। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, করোনায় সরকারি সহায়তা পেতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এজন্য ৫০ টাকা খরচ হবে। পরে শিক্ষার্থীরা আর কোনো সহযোগিতাও পায়নি, টাকাও ফেরত পায়নি।’
একই অভিযোগ করেন অভিভাবক রিপন মিয়া, আবদুল জলিল, কাজল মিয়া ও হাকিম উদ্দিন। তারা জানান, প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া তার ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ভূইয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে আসছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’