ক্যাম্পাসে আসলেন ভুক্তভোগী ছাত্রী, নিরাপদে ফিরলেন বাড়ি

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশব্যাপী আলোচিত নির্যাতিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরি খাতুন তার নির্যাতনের লৌহমর্ষক বর্ণনা দিতে নিজ ক্যাম্পাসে আসলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের নবীন শিক্ষার্থী। ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলার সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে এসেছেন। এবং সন্ধ্যার আগে তিনি নিরাপদে বাসায় চলে যান বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

ক্যাম্পাসে ফেরার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক থেকে নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট হলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে প্রশাসন ও হলের তদন্ত কমিটি তদন্ত করে। এ সময় তারা চার জায়গায় তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালায়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তারা এ তদন্ত কার্যক্রম চালায়। এ সময় তারা সংশ্লিষ্ট কক্ষে যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তাদের অনেকেরই সাক্ষাৎকার নিয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল তাদেরকে আগামী সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার মধ্যে হলে থাকার জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধার আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার পরিবারের সাথে নিরাপদে বাসায় গিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে তদন্ত মিটিং করেছি। পরে হলে এসে সরেজমিনে সব কিছু পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কক্ষের অনেকেরই বক্তব্য নিয়ছি৷ আমাদের তদন্ত অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সঠিক সময়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

ভুক্তভোগী ফুলপরি বলেন, ‘আমি এখন নিরাপদে আছি। তদন্ত কমিটি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছে এবং আমার স্বাক্ষর সম্বলিত ৪-৫ পেজের লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। আমি আজ বাসায় যাচ্ছি। পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে আবার ডাকলে আসবো। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সুষ্ঠু তদন্তের পর ন্যায়বিচার করা হবে। আমরা এখন বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত নিরাপদে আছি। আমি চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। যাতে এমন কোনো ঘটনা দেশে, এমনকি সারা বিশ্বে আর না ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘সারাদিন ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে যা যা করণীয় আমরা তাই করেছি। দুপুরে মেয়েটি তার পরিবারসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার আগে বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি ও তার পরিবার নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

এমবিএইচ/এসএস

ক্যাম্পাসে আসলেন ভুক্তভোগী ছাত্রী, নিরাপদে ফিরলেন বাড়ি

ফরহাদ খাদেম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশব্যাপী আলোচিত নির্যাতিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরি খাতুন তার নির্যাতনের লৌহমর্ষক বর্ণনা দিতে নিজ ক্যাম্পাসে আসলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের নবীন শিক্ষার্থী। ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলার সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে এসেছেন। এবং সন্ধ্যার আগে তিনি নিরাপদে বাসায় চলে যান বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

ক্যাম্পাসে ফেরার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটক থেকে নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট হলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে প্রশাসন ও হলের তদন্ত কমিটি তদন্ত করে। এ সময় তারা চার জায়গায় তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালায়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তারা এ তদন্ত কার্যক্রম চালায়। এ সময় তারা সংশ্লিষ্ট কক্ষে যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তাদের অনেকেরই সাক্ষাৎকার নিয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল তাদেরকে আগামী সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার মধ্যে হলে থাকার জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধার আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার পরিবারের সাথে নিরাপদে বাসায় গিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে তদন্ত মিটিং করেছি। পরে হলে এসে সরেজমিনে সব কিছু পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কক্ষের অনেকেরই বক্তব্য নিয়ছি৷ আমাদের তদন্ত অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সঠিক সময়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

ভুক্তভোগী ফুলপরি বলেন, ‘আমি এখন নিরাপদে আছি। তদন্ত কমিটি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছে এবং আমার স্বাক্ষর সম্বলিত ৪-৫ পেজের লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। আমি আজ বাসায় যাচ্ছি। পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে আবার ডাকলে আসবো। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সুষ্ঠু তদন্তের পর ন্যায়বিচার করা হবে। আমরা এখন বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত নিরাপদে আছি। আমি চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। যাতে এমন কোনো ঘটনা দেশে, এমনকি সারা বিশ্বে আর না ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘সারাদিন ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে যা যা করণীয় আমরা তাই করেছি। দুপুরে মেয়েটি তার পরিবারসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার আগে বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি ও তার পরিবার নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

এমবিএইচ/এসএস