গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় ডিনের ব্যাখ্যা চেয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ

প্রতিনিধি, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্য  অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী

উপাচার্য শিরীণ আখতারকে নিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীকে ব্যাখা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার এক চিঠিতে গণমাধ্যমে দেয়া তার বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখা দেয়ার জন্য তিন কর্মদিবস সময় দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা চিঠিটি গত রোববার (৬ অক্টোবর) ইস্যু করা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে উপাচার্য-ডিন বিতন্ডা’ শিরোনামে আপনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। পুরো কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে জড়িত। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই অনিয়ম হচ্ছে’। প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে এই ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী এবং উপাচার্যের মানহানিরও সামিল। আপনার এই বক্তব্যের পক্ষে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রমাণসহ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমি ৬ তারিখ ছুটিতে ছিলাম৷ আজ চিঠি হাতে পেয়েছি। আমি জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণমাধ্যমে আমি আমার বক্তব্যে যা বোঝাতে চেয়েছিলাম তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাড়ে তিন বছর ধরে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেন না, তিনি কি আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন? পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, সেগুলো কি পত্র-পত্রিকায় ছাপানো হয়নি? এতদিন তিনি যা করেছেন তা কি ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে? তিনি উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে সভা পরিচালনা করলে এতে কি কারও মান ক্ষুণ্ন হয়নি?’

তিনি আরও বলেন, ‘এই জাতীয় চিঠি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও আইনের শাসনের অন্তরায়। আইনের শাসনে শ্রদ্ধাশীল হলে এই ধরনের চিঠি কেউ লিখতে পারে না। আমি সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এইভাবে চিঠি দিয়ে কাউকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা কোনো অন্যায় ও আইন পরিপন্থী কাজকে আর প্রশ্রয় দিতে পারি না।’

গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য ও ডিনদের বৈঠকে সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হেলাল উদ্দিন নিজামীর সঙ্গে উপাচার্য শিরীণ আখতারের বাগবিতণ্ডা হয়।

গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় ডিনের ব্যাখ্যা চেয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ

প্রতিনিধি, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্য  অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী

উপাচার্য শিরীণ আখতারকে নিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীকে ব্যাখা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার এক চিঠিতে গণমাধ্যমে দেয়া তার বক্তব্যের পক্ষে ব্যাখা দেয়ার জন্য তিন কর্মদিবস সময় দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা চিঠিটি গত রোববার (৬ অক্টোবর) ইস্যু করা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে উপাচার্য-ডিন বিতন্ডা’ শিরোনামে আপনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। পুরো কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে জড়িত। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই অনিয়ম হচ্ছে’। প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে এই ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী এবং উপাচার্যের মানহানিরও সামিল। আপনার এই বক্তব্যের পক্ষে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রমাণসহ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমি ৬ তারিখ ছুটিতে ছিলাম৷ আজ চিঠি হাতে পেয়েছি। আমি জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণমাধ্যমে আমি আমার বক্তব্যে যা বোঝাতে চেয়েছিলাম তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাড়ে তিন বছর ধরে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেন না, তিনি কি আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন? পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, সেগুলো কি পত্র-পত্রিকায় ছাপানো হয়নি? এতদিন তিনি যা করেছেন তা কি ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে? তিনি উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে সভা পরিচালনা করলে এতে কি কারও মান ক্ষুণ্ন হয়নি?’

তিনি আরও বলেন, ‘এই জাতীয় চিঠি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও আইনের শাসনের অন্তরায়। আইনের শাসনে শ্রদ্ধাশীল হলে এই ধরনের চিঠি কেউ লিখতে পারে না। আমি সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এইভাবে চিঠি দিয়ে কাউকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা কোনো অন্যায় ও আইন পরিপন্থী কাজকে আর প্রশ্রয় দিতে পারি না।’

গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য ও ডিনদের বৈঠকে সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হেলাল উদ্দিন নিজামীর সঙ্গে উপাচার্য শিরীণ আখতারের বাগবিতণ্ডা হয়।