গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। 

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। গত রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন থেকে মূল ফটক পর্যন্ত রালি শেষ হয় এবং একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আজকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারকে খুব মনে পড়ছে, গতবছর এই দিনে স্যার এই ক্যাম্পাসে অসুস্থ থাকা অবস্থায় এসেছিলেন। স্যার এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন, যার সব তিনি করে যেতে পারেন নি।আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করতেছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা গবিকে পাঁচ নম্বরে দেখতে চাই, এটাই আমার শিক্ষকমন্ডলীর কাছে প্রত্যাশা।

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম বলেন, জাফরউল্লাহ স্যারের আদর্শকে পুজি করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে সবার জন্য একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর মডেল তৈরি করতে হবে তাহলে স্যার যে স্বপ্ন দেখেছিল তা একটি করে বাস্তবায়ন হবে। আর এই ক্যাম্পাসকে আমি রংধনুর সাথে তুলনা করছি, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ ব্যতিক্রমধর্মী দিক রংধনুর মত বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে আমি বিশ্বাস করি।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যতগুলো মিটিং এ জাফরুল্লাহ স্যার এর সাথে ছিলাম তিনি বলতেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডেভলপমেন্ট করতে হবে। তাই আমার বক্তব্যে সর্বদা একাডেমিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি।আপনারা দেখেছেন আমার চাকরির দু’বছরে, ভিসি মহোদয় এসেছেন, রেজিস্ট্রার আছেন তাদের নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের, কর্মকর্তাদের জন্য দুটি বাসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, আশা রাখি আগামি দু’মাসের মধ্যে দুটি এসি বাস আসবে। সামনের বাজেটে ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অল্পদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য মানিকগঞ্জ চন্দ্রা রুটে দুটি গাড়ি দিতে পারব। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা উভয় বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের রিসার্চের মান বৃদ্ধির জন্য ডীন কমিটি গঠন করে ফান্ডসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাগ বিহীন ব্যতিক্রম করে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের আহবান করেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিলো এইবছর অনেক বড় করে আয়োজন করবো কিন্তু আমাদের অভিভাবক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত ১১ এপ্রিল আমাদের ছেড়ে চলে যান। এমন একটা শোকাবহ সময় আমাদের ট্রাস্ট্রির নির্দেশনা মত আমরা আয়োজন করেছি যদিও চাইলে আমরা বড় করে আয়োজন করতে পারতাম। ডা. জাফরউল্লাহ স্যারের অনেক স্বপ্ন ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা স্যারের স্বপ্নগুলো পূরণ করবো। অনেক দিনের প্রতিশ্রুতি আমাদের ছেলেমেয়েদের হোস্টেল তৈরি করা! সেটার কাজও চলছে আমরা আগে মেয়েদের হোস্টেল তৈরি করবো পরে ছেলেদের। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর করোনার পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংকটপূর্ণ সময় পার করে সেখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ক্যান্টিন নিয়ে যে সমস্যা তা কাটিয়ে উঠার জন্য আমরা চেষ্টা করছি একটি পূর্ণাঙ্গ সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে হবে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ জুলাই ১৯৯৮ সালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ৫টি অনুষদ ও ১৭টি বিভাগে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

ইবিহো/এসএস

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা। 

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। গত রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন থেকে মূল ফটক পর্যন্ত রালি শেষ হয় এবং একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আজকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারকে খুব মনে পড়ছে, গতবছর এই দিনে স্যার এই ক্যাম্পাসে অসুস্থ থাকা অবস্থায় এসেছিলেন। স্যার এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন, যার সব তিনি করে যেতে পারেন নি।আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করতেছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা গবিকে পাঁচ নম্বরে দেখতে চাই, এটাই আমার শিক্ষকমন্ডলীর কাছে প্রত্যাশা।

কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম বলেন, জাফরউল্লাহ স্যারের আদর্শকে পুজি করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে সবার জন্য একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর মডেল তৈরি করতে হবে তাহলে স্যার যে স্বপ্ন দেখেছিল তা একটি করে বাস্তবায়ন হবে। আর এই ক্যাম্পাসকে আমি রংধনুর সাথে তুলনা করছি, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ ব্যতিক্রমধর্মী দিক রংধনুর মত বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে আমি বিশ্বাস করি।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যতগুলো মিটিং এ জাফরুল্লাহ স্যার এর সাথে ছিলাম তিনি বলতেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডেভলপমেন্ট করতে হবে। তাই আমার বক্তব্যে সর্বদা একাডেমিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি।আপনারা দেখেছেন আমার চাকরির দু’বছরে, ভিসি মহোদয় এসেছেন, রেজিস্ট্রার আছেন তাদের নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের, কর্মকর্তাদের জন্য দুটি বাসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, আশা রাখি আগামি দু’মাসের মধ্যে দুটি এসি বাস আসবে। সামনের বাজেটে ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অল্পদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য মানিকগঞ্জ চন্দ্রা রুটে দুটি গাড়ি দিতে পারব। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা উভয় বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের রিসার্চের মান বৃদ্ধির জন্য ডীন কমিটি গঠন করে ফান্ডসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাগ বিহীন ব্যতিক্রম করে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের আহবান করেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিলো এইবছর অনেক বড় করে আয়োজন করবো কিন্তু আমাদের অভিভাবক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত ১১ এপ্রিল আমাদের ছেড়ে চলে যান। এমন একটা শোকাবহ সময় আমাদের ট্রাস্ট্রির নির্দেশনা মত আমরা আয়োজন করেছি যদিও চাইলে আমরা বড় করে আয়োজন করতে পারতাম। ডা. জাফরউল্লাহ স্যারের অনেক স্বপ্ন ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা স্যারের স্বপ্নগুলো পূরণ করবো। অনেক দিনের প্রতিশ্রুতি আমাদের ছেলেমেয়েদের হোস্টেল তৈরি করা! সেটার কাজও চলছে আমরা আগে মেয়েদের হোস্টেল তৈরি করবো পরে ছেলেদের। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর করোনার পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংকটপূর্ণ সময় পার করে সেখান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ক্যান্টিন নিয়ে যে সমস্যা তা কাটিয়ে উঠার জন্য আমরা চেষ্টা করছি একটি পূর্ণাঙ্গ সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে হবে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ জুলাই ১৯৯৮ সালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ৫টি অনুষদ ও ১৭টি বিভাগে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

ইবিহো/এসএস