গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-আড্ডার মধ্য দিয়ে ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

আনন্দ, আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হতে শুরু করেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। পুরোনো বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ, পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া, হাসি-ঠাট্টায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যেন ফিরে গেছেন পুরোনো সেই ক্যাম্পাস জীবনে।

ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর এভাবে আর আড্ডা দেওয়া হয়নি। কাজের ব্যস্ততায় দেখা হয়নি অনেকের সঙ্গে। তবুও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ঠিক আগের মতোই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আড্ডার আসর বসিয়েছেন। আড্ডায় যুক্ত আছেন তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের মানুষজনও। পুরোনো কোনো বন্ধুকে দেখলেই জড়িয়ে ধরছেন আবার অনেকেই মুঠোফোনে সেলফি তুলে স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পুনর্মিলনীতে শেকড়ের টানে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন সব শিক্ষার্থীরা।

পুনর্মিলনীর মূল কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের বেলুুন ও কবুতর উড়ানোর মাধ্যমে। পরে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহবান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও প্ল্যান্ট অপারেশনের প্রধান ড. সৈয়দ এএম মুস্তাফিজ বিল্লাহ। তিনি সবাইকে বই পড়ার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ করতে বলেন। জীবনে মানবিক থাকাটা অনেক মূল্যবান উল্লেখ করে সবাইকে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে, জীবন পরিবর্তন করার উপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান। এবারের পুনর্মিলনীতে সপরিবারে প্রায় আট শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা থেকে ‘সহজিয়া’ ব্যান্ডের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি বিভাগের এই প্রথমবারের মতো পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এমবিএইচ/এসএস

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-আড্ডার মধ্য দিয়ে ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী

মোজাহিদুল ইসলাম নিরব

আনন্দ, আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির হতে শুরু করেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। পুরোনো বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ, পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া, হাসি-ঠাট্টায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যেন ফিরে গেছেন পুরোনো সেই ক্যাম্পাস জীবনে।

ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর এভাবে আর আড্ডা দেওয়া হয়নি। কাজের ব্যস্ততায় দেখা হয়নি অনেকের সঙ্গে। তবুও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ঠিক আগের মতোই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আড্ডার আসর বসিয়েছেন। আড্ডায় যুক্ত আছেন তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের মানুষজনও। পুরোনো কোনো বন্ধুকে দেখলেই জড়িয়ে ধরছেন আবার অনেকেই মুঠোফোনে সেলফি তুলে স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পুনর্মিলনীতে শেকড়ের টানে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন সব শিক্ষার্থীরা।

পুনর্মিলনীর মূল কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের বেলুুন ও কবুতর উড়ানোর মাধ্যমে। পরে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহবান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও প্ল্যান্ট অপারেশনের প্রধান ড. সৈয়দ এএম মুস্তাফিজ বিল্লাহ। তিনি সবাইকে বই পড়ার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ করতে বলেন। জীবনে মানবিক থাকাটা অনেক মূল্যবান উল্লেখ করে সবাইকে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে, জীবন পরিবর্তন করার উপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান। এবারের পুনর্মিলনীতে সপরিবারে প্রায় আট শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা থেকে ‘সহজিয়া’ ব্যান্ডের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি বিভাগের এই প্রথমবারের মতো পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এমবিএইচ/এসএস