ঢাবির নতুন নীতিমালা

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরিচ্যুতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে নীতিমালা প্রবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চৌর্যবৃত্তি বা প্লেজারিজম প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিকে জরিমানা সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সংশোধনে ব্যর্থ হলে সামঞ্জস্যের চার লেভেল অনুযায়ী জরিমানা, পদাবনতি ও ডিগ্রি বাতিল- এমনকি চাকরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণার নামে চৌর্যবৃত্তির একাধিক ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করা হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সংশ্নিষ্ট অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কিংবা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে যে কোনো ব্যক্তি লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। নীতিমালায় এসবের পাশাপাশি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি রোধে ১১টি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর মধ্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত তথ্যের সামঞ্জস্যকে রাখা হয়েছে লেভেল জিরোতে। তবে এ ক্ষেত্রে একই সূত্র থেকে কোনোভাবেই ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের সামঞ্জস্য কোনো ধরনের শাস্তির আওতায় থাকবে না। তবে একই সূত্র থেকে যদি ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা লেভেল-১ এর আওতায় পড়বে। অন্যের লেখার সঙ্গে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মিলও এই লেভেলে রাখা হয়েছে। এর প্রমাণ মিললে সংশ্নিষ্ট ডিগ্রি বা ক্রেডিট ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে ওই সময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তিকে প্রথম ধাপে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপেও ব্যর্থ হলে ডিগ্রি বা কোর্স বাতিল বা প্রত্যাহারের বিধান রাখা হয়েছে।

লেভেল-১ এ দায়ী ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্নিষ্ট কেউ এবং নকল ডিগ্রির ভিত্তিতে নিয়োগ, পদোন্নতি বা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকলে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা সাপেক্ষে ৬ মাসের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। সংশোধনে ব্যর্থ হলে দায়ী ব্যক্তি পূর্ববর্তী ধাপে পদাবনতি ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি বন্ধের শাস্তির মুখে পড়বেন।

গবেষণায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য লেভেল-২ এর আওতায় পড়বে। ৬১ শতাংশের ওপর সামঞ্জস্যকে উচ্চ ধাপ বা লেভেল-৩ এ রাখা হয়েছে। এই দুটি ধাপে শাস্তি আরও বাড়বে। কোনো অভিযুক্ত লেভেল-৩ পর্যায়ের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাঁর চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।

ঢাবির নতুন নীতিমালা

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরিচ্যুতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে নীতিমালা প্রবর্তন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চৌর্যবৃত্তি বা প্লেজারিজম প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিকে জরিমানা সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সংশোধনে ব্যর্থ হলে সামঞ্জস্যের চার লেভেল অনুযায়ী জরিমানা, পদাবনতি ও ডিগ্রি বাতিল- এমনকি চাকরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণার নামে চৌর্যবৃত্তির একাধিক ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করা হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সংশ্নিষ্ট অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কিংবা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে যে কোনো ব্যক্তি লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। নীতিমালায় এসবের পাশাপাশি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি রোধে ১১টি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর মধ্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত তথ্যের সামঞ্জস্যকে রাখা হয়েছে লেভেল জিরোতে। তবে এ ক্ষেত্রে একই সূত্র থেকে কোনোভাবেই ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের সামঞ্জস্য কোনো ধরনের শাস্তির আওতায় থাকবে না। তবে একই সূত্র থেকে যদি ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা লেভেল-১ এর আওতায় পড়বে। অন্যের লেখার সঙ্গে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মিলও এই লেভেলে রাখা হয়েছে। এর প্রমাণ মিললে সংশ্নিষ্ট ডিগ্রি বা ক্রেডিট ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে ওই সময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তিকে প্রথম ধাপে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপেও ব্যর্থ হলে ডিগ্রি বা কোর্স বাতিল বা প্রত্যাহারের বিধান রাখা হয়েছে।

লেভেল-১ এ দায়ী ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্নিষ্ট কেউ এবং নকল ডিগ্রির ভিত্তিতে নিয়োগ, পদোন্নতি বা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকলে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা সাপেক্ষে ৬ মাসের মধ্যে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। সংশোধনে ব্যর্থ হলে দায়ী ব্যক্তি পূর্ববর্তী ধাপে পদাবনতি ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি বন্ধের শাস্তির মুখে পড়বেন।

গবেষণায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য লেভেল-২ এর আওতায় পড়বে। ৬১ শতাংশের ওপর সামঞ্জস্যকে উচ্চ ধাপ বা লেভেল-৩ এ রাখা হয়েছে। এই দুটি ধাপে শাস্তি আরও বাড়বে। কোনো অভিযুক্ত লেভেল-৩ পর্যায়ের অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাঁর চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।