চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ

শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে উন্নতমানের লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ল্যাব, প্রশস্ত স্টাডিরুম এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী। প্রতি বছর ১১ কোটি টাকার বেশি বৃত্তি দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান

দেশ রূপান্তর : করোনা-পরবর্তী সময়ে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাই?

অধ্যাপক শহিদুল হাসান : এই বিশ্ববিদ্যালয় করোনা-পরবর্তী স্বাভাবিক অবস্থার কাছাকাছি ফিরে আসতে পেরেছে বলে মনে করি। আমরা সরাসরি ক্লাসরুমে পাঠদান করছি। যদিও সাবধানতা অবলম্বন করছি। ছাত্রছাত্রীরা মাস্ক পরে ইউনিভার্সিটিতে আসে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবার হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মন দিয়ে পড়ালেখা করার মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর : আপনার প্রতিষ্ঠানে কোন বিভাগগুলো শিক্ষার্থীরা বেশি পছন্দ করেন এবং কেন?

শহিদুল হাসান : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি স্নাতক ও ১৪টি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম রয়েছে। শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা আগের মতোই আছে। তবে ইদানীং তুলনামূলকভাবে কম্পিউটার সায়েন্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বাড়ার প্রবণতা  লক্ষ করা যাচ্ছে। হয়তো সময়ের প্রয়োজন এবং কর্মক্ষেত্রের চাহিদার জন্য এমনটা হয়ে থাকতে পারে।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি বা অন্যান্য সুবিধা নিয়ে যদি কিছু বলতেন?

শহিদুল হাসান : আমরা প্রতি বছর ১১ কোটি টাকার বেশি বৃত্তি দিয়ে থাকি। উল্লেখযোগ্য বৃত্তিগুলো হলো মেরিট স্কলারশিপ, মেধা লালন ফান্ড, ফ্রিডম ফাইটার স্কলারশিপ ইত্যাদি। মেরিট স্কলারশিপে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা দিয়ে এই বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। আর মেধা লালন ফান্ডে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি তাদের জীবনযাপনের খরচও বহন করে।

দেশ রূপান্তর : একজন শিক্ষার্থী কেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে আসবেন?

শহিদুল হাসান : আমাদের রয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস। রয়েছে পার্মান্যান্ট সনদ। একই সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসে রয়েছে ৩৪ ফুট উঁচু নান্দনিক শহীদ মিনার। রয়েছে সুন্দর অডিটোরিয়াম, উন্নত মানের লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, উন্নতমানের ল্যাব, প্রশস্ত স্টাডিরুম এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী। আর সবচেয়ে বড় যেটা, সেটা হলো, মানসম্পন্ন শিক্ষা। এ ছাড়া আমাদের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্যরা শিক্ষার সুযোগ ও মানোন্নয়নে উপদেশ দেন। করোনা মহামারীর শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সবার জন্য ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করেছেন।  প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ দিয়েছেন।

দেশ রূপান্তর : দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

শহিদুল হাসান : আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি, এম এস করছে। গুগল, ইনটেল, মাইক্রোসফটের মতো নাম করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করছে। দেশেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলকারখানায়  চাকরি করছে।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই?

শহিদুল হাসান : আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গোল্ড মেডেল,  ইউজিসি বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য জার্নালগুলোতে নিয়মিতভাবে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আর্টিকেল ছাপা হয়। আমরা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি, যা দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখছে। একই সঙ্গে আমরা সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। আশা করছি এর মাধ্যমে ভালো মানের উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব হবে। এভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকলে, সেটা জানতে চাই।

শহিদুল হাসান : চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। সে জন্য আমরা কারিকুলাম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমরা আগামীতে গবেষণা খাতে আরও বেশি ব্যয় করব। ক্যাম্পাস আরও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। ইনভেশন সেন্টার এবং সেন্টার ফর রিনিউয়াল এনার্জি প্রতিষ্ঠার কথা ভাবা হচ্ছে। সামাজিক ও আর্থিক উন্নতির ক্ষেত্রে আরও অবদান যেন রাখা যায়, সে জন্য করণীয় উদ্যোগগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির বিষয়ে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ

শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে উন্নতমানের লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ল্যাব, প্রশস্ত স্টাডিরুম এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী। প্রতি বছর ১১ কোটি টাকার বেশি বৃত্তি দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান

দেশ রূপান্তর : করোনা-পরবর্তী সময়ে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাই?

অধ্যাপক শহিদুল হাসান : এই বিশ্ববিদ্যালয় করোনা-পরবর্তী স্বাভাবিক অবস্থার কাছাকাছি ফিরে আসতে পেরেছে বলে মনে করি। আমরা সরাসরি ক্লাসরুমে পাঠদান করছি। যদিও সাবধানতা অবলম্বন করছি। ছাত্রছাত্রীরা মাস্ক পরে ইউনিভার্সিটিতে আসে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবার হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মন দিয়ে পড়ালেখা করার মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর : আপনার প্রতিষ্ঠানে কোন বিভাগগুলো শিক্ষার্থীরা বেশি পছন্দ করেন এবং কেন?

শহিদুল হাসান : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি স্নাতক ও ১৪টি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম রয়েছে। শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা আগের মতোই আছে। তবে ইদানীং তুলনামূলকভাবে কম্পিউটার সায়েন্স ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বাড়ার প্রবণতা  লক্ষ করা যাচ্ছে। হয়তো সময়ের প্রয়োজন এবং কর্মক্ষেত্রের চাহিদার জন্য এমনটা হয়ে থাকতে পারে।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি বা অন্যান্য সুবিধা নিয়ে যদি কিছু বলতেন?

শহিদুল হাসান : আমরা প্রতি বছর ১১ কোটি টাকার বেশি বৃত্তি দিয়ে থাকি। উল্লেখযোগ্য বৃত্তিগুলো হলো মেরিট স্কলারশিপ, মেধা লালন ফান্ড, ফ্রিডম ফাইটার স্কলারশিপ ইত্যাদি। মেরিট স্কলারশিপে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা দিয়ে এই বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। আর মেধা লালন ফান্ডে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি তাদের জীবনযাপনের খরচও বহন করে।

দেশ রূপান্তর : একজন শিক্ষার্থী কেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে আসবেন?

শহিদুল হাসান : আমাদের রয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস। রয়েছে পার্মান্যান্ট সনদ। একই সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসে রয়েছে ৩৪ ফুট উঁচু নান্দনিক শহীদ মিনার। রয়েছে সুন্দর অডিটোরিয়াম, উন্নত মানের লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, উন্নতমানের ল্যাব, প্রশস্ত স্টাডিরুম এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী। আর সবচেয়ে বড় যেটা, সেটা হলো, মানসম্পন্ন শিক্ষা। এ ছাড়া আমাদের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্যরা শিক্ষার সুযোগ ও মানোন্নয়নে উপদেশ দেন। করোনা মহামারীর শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সবার জন্য ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করেছেন।  প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে ল্যাপটপ দিয়েছেন।

দেশ রূপান্তর : দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কেমন?

শহিদুল হাসান : আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি, এম এস করছে। গুগল, ইনটেল, মাইক্রোসফটের মতো নাম করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করছে। দেশেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলকারখানায়  চাকরি করছে।

দেশ রূপান্তর : আপনাদের অর্জন সম্বন্ধে জানতে চাই?

শহিদুল হাসান : আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস গোল্ড মেডেল,  ইউজিসি বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য জার্নালগুলোতে নিয়মিতভাবে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আর্টিকেল ছাপা হয়। আমরা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি, যা দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখছে। একই সঙ্গে আমরা সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। আশা করছি এর মাধ্যমে ভালো মানের উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব হবে। এভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

দেশ রূপান্তর : আগামীতে আপনাদের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকলে, সেটা জানতে চাই।

শহিদুল হাসান : চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। সে জন্য আমরা কারিকুলাম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমরা আগামীতে গবেষণা খাতে আরও বেশি ব্যয় করব। ক্যাম্পাস আরও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। ইনভেশন সেন্টার এবং সেন্টার ফর রিনিউয়াল এনার্জি প্রতিষ্ঠার কথা ভাবা হচ্ছে। সামাজিক ও আর্থিক উন্নতির ক্ষেত্রে আরও অবদান যেন রাখা যায়, সে জন্য করণীয় উদ্যোগগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির বিষয়ে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।