ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল
চরফ্যাশনে ২০ শিক্ষকের এমপিওভুক্তির চেষ্টায় আদালতে মামলা
চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ২০ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করে বিপাকে পড়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন (ফিরোজ)। সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৬ই জুলাই ঘোষিত এমপিও’র তালিকায় স্থান পান ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি। এমপিও’র আদেশের পর মাদ্রাসার সুপার প্রতিষ্ঠাকালীন ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল স্বাক্ষর নিজ হাতে দিয়ে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করেন। পদবঞ্চিতরা এ খবর পেয়ে ভোলা জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা ৩টি আমলে নিয়ে সিআইডি ভোলাকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করলে সিআইডি ভোলা তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেন। স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল হক ও মোস্তফা কামালের। সুপার কর্তৃক কতিপয় নিকটাত্মীয়কে নিয়োগ দিতে গিয়ে ও বিপুল পরিমাণ উৎকোচ গ্রহণপূর্বক এ জাতীয় জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। সুপারসহ গোলাম মাওলা ও সুপারের মেয়ের সনদ নিয়েও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০০৮ সালে চরফ্যাসন উপজেলার কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, তার কর্মকালীন সময়ে এ মাদ্রাসার কোনে নিয়োগের কার্যক্রম হয়নি। তিনি তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি অবহিত হয়ে মহা-পরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছেন।তবে সুপার রুহুল আমিন (ফিরোজ) বলেন, মাদ্রাসার সভাপতির নির্দেশে মাদ্রাসাটির কিছু পুরাতন শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। ইউএনও’র স্বাক্ষর জালসহ পত্রিকা সৃজন ও ডিজি’র প্রতিনিধির পত্র সৃজনের বিষয়টি এড়িয়ে যান। মামলার বাদী সফিউল্যাহ জানান, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে কর্মরত আছেন, অথচ এখন তাদেরকে বাদ দিয়ে সুপারের মেয়ে ও ভাগিনাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার জমিদাতা ও অপর মামলার বাদী নুরুল ইসলাম জানান, এ জাল-জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছি। উক্ত মামলার কপি জেলা শিক্ষা অফিসারকে দিয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে কোনো এমপিও’র আবেদন প্রেরণ না করার নির্দেশ প্রদান করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পত্র প্রদান করেছেন। চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক এমপিওভুক্তির আবেদনকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে মর্মে ৩টি মামলা হওয়ায় উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল
চরফ্যাশনে ২০ শিক্ষকের এমপিওভুক্তির চেষ্টায় আদালতে মামলা
চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ২০ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করে বিপাকে পড়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন (ফিরোজ)। সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৬ই জুলাই ঘোষিত এমপিও’র তালিকায় স্থান পান ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি। এমপিও’র আদেশের পর মাদ্রাসার সুপার প্রতিষ্ঠাকালীন ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল স্বাক্ষর নিজ হাতে দিয়ে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্তির আবেদন প্রেরণ করেন। পদবঞ্চিতরা এ খবর পেয়ে ভোলা জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা ৩টি আমলে নিয়ে সিআইডি ভোলাকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করলে সিআইডি ভোলা তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেন। স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল হক ও মোস্তফা কামালের। সুপার কর্তৃক কতিপয় নিকটাত্মীয়কে নিয়োগ দিতে গিয়ে ও বিপুল পরিমাণ উৎকোচ গ্রহণপূর্বক এ জাতীয় জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। সুপারসহ গোলাম মাওলা ও সুপারের মেয়ের সনদ নিয়েও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০০৮ সালে চরফ্যাসন উপজেলার কর্মরত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, তার কর্মকালীন সময়ে এ মাদ্রাসার কোনে নিয়োগের কার্যক্রম হয়নি। তিনি তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি অবহিত হয়ে মহা-পরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছেন।তবে সুপার রুহুল আমিন (ফিরোজ) বলেন, মাদ্রাসার সভাপতির নির্দেশে মাদ্রাসাটির কিছু পুরাতন শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। ইউএনও’র স্বাক্ষর জালসহ পত্রিকা সৃজন ও ডিজি’র প্রতিনিধির পত্র সৃজনের বিষয়টি এড়িয়ে যান। মামলার বাদী সফিউল্যাহ জানান, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে কর্মরত আছেন, অথচ এখন তাদেরকে বাদ দিয়ে সুপারের মেয়ে ও ভাগিনাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার জমিদাতা ও অপর মামলার বাদী নুরুল ইসলাম জানান, এ জাল-জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছি। উক্ত মামলার কপি জেলা শিক্ষা অফিসারকে দিয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে কোনো এমপিও’র আবেদন প্রেরণ না করার নির্দেশ প্রদান করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পত্র প্রদান করেছেন। চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক এমপিওভুক্তির আবেদনকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে মর্মে ৩টি মামলা হওয়ায় উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।