চুয়েটে স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড সম্পন্ন

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ গতকাল শুক্রবার ১৩তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৬টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৪০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

এতে প্রথম স্থান অর্জন করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সায়েম। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোমিনুল ইসলাম এবং মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ বিন মোস্তফা।

এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাল্টিপারপাস ভবনের মিলনায়তনে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ই-ম্যাথ-এর গবেষক কাজী মো. আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণিত অলিম্পয়াডের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ও সহকারী অধ্যাপক পারভীন আকতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “গণিতের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক জটিল বিষয়ের ব্যাখ্যা জানার সুযোগ হয়। গণিতের যথার্থ ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিক ও উন্নত সভ্যতা পেয়েছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে বিজ্ঞান ও গণিতে উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের অভিযাত্রা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সম্মৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে যে অগ্রযাত্রা চলছে, সেখানে আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে। এ জন্য ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গভীর দেশপ্রেম ধারণ করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। চিন্তা-চেতনায় সৎ ও মানবিক হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ও শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে এবং এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় চুয়েটের গণিত বিভাগের আয়োজনে এ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এবারের গণিত অলিম্পিয়াডের স্পন্সর হিসেবে ছিলো বিএসআরএম, বার্জার পেইন্ট, ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।

এ অলিম্পিয়াডের সেরা ১০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় প্রতিযোগিতায় এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নেবেন।

এমবিএইচ/এসএস

চুয়েটে স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড সম্পন্ন

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ গতকাল শুক্রবার ১৩তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৬টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৪০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

এতে প্রথম স্থান অর্জন করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সায়েম। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোমিনুল ইসলাম এবং মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ বিন মোস্তফা।

এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাল্টিপারপাস ভবনের মিলনায়তনে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ই-ম্যাথ-এর গবেষক কাজী মো. আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণিত অলিম্পয়াডের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ও সহকারী অধ্যাপক পারভীন আকতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “গণিতের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক জটিল বিষয়ের ব্যাখ্যা জানার সুযোগ হয়। গণিতের যথার্থ ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা আধুনিক ও উন্নত সভ্যতা পেয়েছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে বিজ্ঞান ও গণিতে উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের অভিযাত্রা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সম্মৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে যে অগ্রযাত্রা চলছে, সেখানে আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে। এ জন্য ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গভীর দেশপ্রেম ধারণ করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। চিন্তা-চেতনায় সৎ ও মানবিক হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ও শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে এবং এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় চুয়েটের গণিত বিভাগের আয়োজনে এ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এবারের গণিত অলিম্পিয়াডের স্পন্সর হিসেবে ছিলো বিএসআরএম, বার্জার পেইন্ট, ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।

এ অলিম্পিয়াডের সেরা ১০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় প্রতিযোগিতায় এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নেবেন।

এমবিএইচ/এসএস