জন্মের পর থেকেই শিখতে শুরু করি : প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার
আসিফ পিনন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘খোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র’ তকমা দিলেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার। গতকাল রোববার নগরীর টাইগারপাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের তিনি এ উপাধি দেন।
ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমরা শিখতে শুরু করি। মা আমাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, তারপর বাড়িতে শিখি। বাড়ির লোকেরা আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন। তারপর সমাবর্তন আসে। সমাবর্তনের পর থেকে আমরা খোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে যাই। যেখানে পাঠ্যবই নেই, রেফারেন্স বই নেই; আছে এক বিশাল ক্লাসঘর আর অজস্র পরীক্ষা। আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মতো জীবনের সব কঠিন পরীক্ষায় তোমরা সহজেই সফল হবে।’
এর আগে সকাল ১০টায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনের। এতে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ১০৯ গ্র্যাজুয়েট। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্বর্ণপদক এবং তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৮ গ্র্যাজুয়েট ও ১৩ পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে দেওয়া হয়েছে ডিন অ্যাওয়ার্ড।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা শুধু সনদ নেওয়ার প্রতিযোগিতা নয় বা কর্মজীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আমরা যা অর্জন করি, সেটা হচ্ছে আমাদের মনোজাগতিক ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন এবং নৈতিকতার পরিবর্তন। দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষে এ শিক্ষা আমাদের না এলে, ধরে নিতে হবে শিক্ষাটা আসলে বৃথা ছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

জন্মের পর থেকেই শিখতে শুরু করি : প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার
আসিফ পিনন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘খোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র’ তকমা দিলেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার। গতকাল রোববার নগরীর টাইগারপাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের তিনি এ উপাধি দেন।
ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই আমরা শিখতে শুরু করি। মা আমাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, তারপর বাড়িতে শিখি। বাড়ির লোকেরা আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন। তারপর সমাবর্তন আসে। সমাবর্তনের পর থেকে আমরা খোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে যাই। যেখানে পাঠ্যবই নেই, রেফারেন্স বই নেই; আছে এক বিশাল ক্লাসঘর আর অজস্র পরীক্ষা। আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মতো জীবনের সব কঠিন পরীক্ষায় তোমরা সহজেই সফল হবে।’
এর আগে সকাল ১০টায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তনের। এতে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ১০৯ গ্র্যাজুয়েট। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্বর্ণপদক এবং তিন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও তিন পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৮ গ্র্যাজুয়েট ও ১৩ পোস্টগ্র্যাজুয়েটকে দেওয়া হয়েছে ডিন অ্যাওয়ার্ড।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা শুধু সনদ নেওয়ার প্রতিযোগিতা নয় বা কর্মজীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আমরা যা অর্জন করি, সেটা হচ্ছে আমাদের মনোজাগতিক ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন এবং নৈতিকতার পরিবর্তন। দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষে এ শিক্ষা আমাদের না এলে, ধরে নিতে হবে শিক্ষাটা আসলে বৃথা ছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।