জবিতে দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও আগাম সতর্কবার্তা নিয়ে সেমিনার

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, এমপি।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আয়োজনে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, এমপি বলেন, “আগাম সতর্কবার্তা যথাযথভাবে প্রদানের মাধ্যমে দুযোর্গকালীন ক্ষয়-ক্ষতির হার অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হয়। বর্তমান সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দুর্যোগ মোকাবেলা করছে- যা সারা বিশ্বে প্রশংসার দাবিদার।”

তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতিসংঘে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য একটি সংস্থা গঠনের আহ্বান জানান। তারই ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস অফস ফর ডিজাস্টার রিডাকশন (ইউএনডিআরআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে রেডক্রস স্থাপন করেন এবং সেখানে সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি)-এর আওতায় প্রায় বিশ হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ প্রদান করেন। যারা উপকুলীয় অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগকালীন নানা কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

তিনি আর ও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জাতির পিতার এই কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যেখানে শুধু পুরুষ নয়, অনেক মহিলারাও কাজ করছে এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সরকারের কার্যক্রম পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে ঘূর্ণিঝড় বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলে মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “দুর্যোগসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের নেতৃত্ব স্থান হতে তৃণমূল পর্যন্ত সকলের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এ সকল বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের সভা-সেমিনার আয়োজন করা দরকার।”

সেমিনারের মঞ্চে অতিথি ও শিক্ষার্থীর।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ কিউ এম মাহবুব।

মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহেদুর রশীদ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস

জবিতে দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও আগাম সতর্কবার্তা নিয়ে সেমিনার

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, এমপি।

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আয়োজনে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, এমপি বলেন, “আগাম সতর্কবার্তা যথাযথভাবে প্রদানের মাধ্যমে দুযোর্গকালীন ক্ষয়-ক্ষতির হার অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হয়। বর্তমান সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দুর্যোগ মোকাবেলা করছে- যা সারা বিশ্বে প্রশংসার দাবিদার।”

তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতিসংঘে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য একটি সংস্থা গঠনের আহ্বান জানান। তারই ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস অফস ফর ডিজাস্টার রিডাকশন (ইউএনডিআরআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে রেডক্রস স্থাপন করেন এবং সেখানে সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি)-এর আওতায় প্রায় বিশ হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ প্রদান করেন। যারা উপকুলীয় অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগকালীন নানা কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

তিনি আর ও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জাতির পিতার এই কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার ভলেন্টিয়ার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যেখানে শুধু পুরুষ নয়, অনেক মহিলারাও কাজ করছে এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সরকারের কার্যক্রম পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে ঘূর্ণিঝড় বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলে মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “দুর্যোগসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের নেতৃত্ব স্থান হতে তৃণমূল পর্যন্ত সকলের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এ সকল বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের সভা-সেমিনার আয়োজন করা দরকার।”

সেমিনারের মঞ্চে অতিথি ও শিক্ষার্থীর।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘বাংলাদেশে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমনে আগাম সতর্কবার্তা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ কিউ এম মাহবুব।

মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহেদুর রশীদ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমবিএইচ/এসএস