জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি শর্টকোর্স নিয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

কালবেলা প্রতিবেদক

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে ১৯টি শর্টকোর্স প্রবর্তন নিয়ে ওয়ার্কশপ হয়েছে।ছবি : কালবেলা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতাভিত্তিক ১৯টি শর্টকোর্স প্রবর্তন নিয়ে ‘স্কিল বেইজড শর্ট কোর্সেস অ্যান্ড কারিকুলাম’ শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এই ওয়ার্কশপ হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রথিতযশা যেসব শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন; তাদের সবার সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। এ কারণেই আমরা দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পিজিডি ও শর্টকোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স এবং ডিগ্রি পর্যায়ে পিজিডি ও শর্টকোর্স চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে পিজিডি কোর্সের সিলেবাস অনুমোদন হয়েছে। আগামী মার্চ মাস থেকে এই কোর্সের কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয় বিশেষজ্ঞরা এ কোর্সগুলো প্রণয়ন করেছেন। ১৯টি শর্টকোর্স আমরা প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। এর মধ্য থেকে দুই-একটি বাধ্যতামূলক করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। তারা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ হবে। যেমনটি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে করেছি।’

ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ১৯টি শর্টকোর্স চালুর যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দক্ষতাভিত্তিক এই শর্টকোর্সগুলো করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যেমন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে, তেমনি দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে। এসব নতুন উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি ছিলেন—বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারসহ অনেকে। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন।

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রম বড় অর্জন, বাস্তবায়ন প্রধান চ্যালেঞ্জ

দক্ষতাভিত্তিক ১৯ শর্টকোর্সগুলো হলো

ডেটা এনালিস্ট, আর্কাইভ ও রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন, কাস্টমার সার্ভিস স্পেশালিস্ট, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, পারফরমিং আর্টস অ্যান্ড ড্রামা, অন্ট্রোপ্রেনারশিপ, গ্রাফিক ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানিমেশন, ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, সোলার পাওয়ার টেকনোলজি, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লু ইকোনমি, মেন্টাল হেল্থ ফার্স্ট এইড, কনটেন্ট রাইটিং এবং স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। এই কোর্সগুলো অনার্স ও ডিগ্রি পর্যায়ে থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী এই কোর্সগুলো করতে পারবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি শর্টকোর্স নিয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

কালবেলা প্রতিবেদক

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে ১৯টি শর্টকোর্স প্রবর্তন নিয়ে ওয়ার্কশপ হয়েছে।ছবি : কালবেলা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতাভিত্তিক ১৯টি শর্টকোর্স প্রবর্তন নিয়ে ‘স্কিল বেইজড শর্ট কোর্সেস অ্যান্ড কারিকুলাম’ শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ হয়েছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এই ওয়ার্কশপ হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রথিতযশা যেসব শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন; তাদের সবার সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। এ কারণেই আমরা দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পিজিডি ও শর্টকোর্স চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স এবং ডিগ্রি পর্যায়ে পিজিডি ও শর্টকোর্স চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে পিজিডি কোর্সের সিলেবাস অনুমোদন হয়েছে। আগামী মার্চ মাস থেকে এই কোর্সের কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয় বিশেষজ্ঞরা এ কোর্সগুলো প্রণয়ন করেছেন। ১৯টি শর্টকোর্স আমরা প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। এর মধ্য থেকে দুই-একটি বাধ্যতামূলক করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। তারা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ হবে। যেমনটি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে করেছি।’

ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ১৯টি শর্টকোর্স চালুর যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দক্ষতাভিত্তিক এই শর্টকোর্সগুলো করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যেমন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে, তেমনি দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে। এসব নতুন উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি ছিলেন—বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারসহ অনেকে। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন।

আরও পড়ুন

নতুন শিক্ষাক্রম বড় অর্জন, বাস্তবায়ন প্রধান চ্যালেঞ্জ

দক্ষতাভিত্তিক ১৯ শর্টকোর্সগুলো হলো

ডেটা এনালিস্ট, আর্কাইভ ও রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন, কাস্টমার সার্ভিস স্পেশালিস্ট, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, পারফরমিং আর্টস অ্যান্ড ড্রামা, অন্ট্রোপ্রেনারশিপ, গ্রাফিক ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানিমেশন, ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, সোলার পাওয়ার টেকনোলজি, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লু ইকোনমি, মেন্টাল হেল্থ ফার্স্ট এইড, কনটেন্ট রাইটিং এবং স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। এই কোর্সগুলো অনার্স ও ডিগ্রি পর্যায়ে থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী এই কোর্সগুলো করতে পারবে।