জাবিতে অছাত্ররা ‘আয়েশি’ কক্ষে, ছাত্ররা গণরুমে

আরিফুজ্জামান উজ্জল, জাবি সংবাদদাতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নবনির্মিত আবাসিক হলগুলো চালু করা সাপেক্ষে পুরাতন হলগুলোতে গণরুম না রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে নানা জটিলতায় নতুন হলগুলো উদ্বোধন করতে পারেনি তারা। ফলে কয়েক দফায় প্রথম বর্ষের (৫১তম ব্যাচ) ক্লাস শুরুর সময়সূচি পিছিয়ে সম্প্রতি ক্লাস শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য একটি করে হল চালু করা হয়েছে। তবু অব্যবস্থাপনা ও অছাত্রদের দাপটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গণরুমেই ঠাঁই মিলেছে। তবে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত সবগুলো হল চালু হলে গণরুম সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবীন শিক্ষার্থীরা হলের কমন রুম, ডাইনিং রুম, রিডিং রুম, সংসদ রুম, নামাজের কক্ষ ও সাইবার রুম প্রভৃতি স্থানে গাদাগাদি করে থাকছেন। সেখানে এক জনের জায়গায় কম করে হলেও তিন থেকে চার জন শিক্ষার্থীকে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গণরুম ছেড়ে ‘মিনি গণরুমে’ উঠেছেন। সেখানে তারা দুই জনের রুমে ছয় থেকে আট জন এবং চার জনের রুমে ১৪ থেকে ১৬ জন থাকছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হলগুলো ৪৩ ও ৪৪তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। আবার ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ৪২ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরাও হলে থাকছেন। অন্যদিকে নবনির্মিত দুটি হল চালু করা হলেও সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। সেখানে আবেদনের ভিত্তিতে পুরাতন হলের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে পুরাতন হলের ফাঁকা আসনগুলো ‘মিনি গণরুমে’ থাকা তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা দখল করছেন। ফলে গণরুমে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা উঠছেন ‘মিনি গণরুমে’। সব মিলে অছাত্ররা হলে অবস্থান করায় এবং অব্যবস্থাপনায় নবীন শিক্ষার্থীদের গণরুমে থাকতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, নতুন হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওঠানো হয়নি। তবে শিগিগরই নবনির্মিত অন্য চারটি হল চালু করে আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ওঠানো হবে। সেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া হল থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার জন্য সব হলের প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বের করতে পারলে এবং নতুন হলগুলো চালু হলে গণরুমের সংকট নিরসন হবে। এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এর আগে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত সবগুলো হল চালু হলে আবাসনের সংকট কমে যাবে এবং গণরুম সাংস্কৃতি উঠে যাবে।’

জাবিতে অছাত্ররা ‘আয়েশি’ কক্ষে, ছাত্ররা গণরুমে

আরিফুজ্জামান উজ্জল, জাবি সংবাদদাতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নবনির্মিত আবাসিক হলগুলো চালু করা সাপেক্ষে পুরাতন হলগুলোতে গণরুম না রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে নানা জটিলতায় নতুন হলগুলো উদ্বোধন করতে পারেনি তারা। ফলে কয়েক দফায় প্রথম বর্ষের (৫১তম ব্যাচ) ক্লাস শুরুর সময়সূচি পিছিয়ে সম্প্রতি ক্লাস শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য একটি করে হল চালু করা হয়েছে। তবু অব্যবস্থাপনা ও অছাত্রদের দাপটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গণরুমেই ঠাঁই মিলেছে। তবে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত সবগুলো হল চালু হলে গণরুম সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবীন শিক্ষার্থীরা হলের কমন রুম, ডাইনিং রুম, রিডিং রুম, সংসদ রুম, নামাজের কক্ষ ও সাইবার রুম প্রভৃতি স্থানে গাদাগাদি করে থাকছেন। সেখানে এক জনের জায়গায় কম করে হলেও তিন থেকে চার জন শিক্ষার্থীকে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গণরুম ছেড়ে ‘মিনি গণরুমে’ উঠেছেন। সেখানে তারা দুই জনের রুমে ছয় থেকে আট জন এবং চার জনের রুমে ১৪ থেকে ১৬ জন থাকছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হলগুলো ৪৩ ও ৪৪তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। আবার ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ৪২ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরাও হলে থাকছেন। অন্যদিকে নবনির্মিত দুটি হল চালু করা হলেও সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। সেখানে আবেদনের ভিত্তিতে পুরাতন হলের শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে পুরাতন হলের ফাঁকা আসনগুলো ‘মিনি গণরুমে’ থাকা তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা দখল করছেন। ফলে গণরুমে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা উঠছেন ‘মিনি গণরুমে’। সব মিলে অছাত্ররা হলে অবস্থান করায় এবং অব্যবস্থাপনায় নবীন শিক্ষার্থীদের গণরুমে থাকতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, নতুন হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওঠানো হয়নি। তবে শিগিগরই নবনির্মিত অন্য চারটি হল চালু করে আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ওঠানো হবে। সেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া হল থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার জন্য সব হলের প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বের করতে পারলে এবং নতুন হলগুলো চালু হলে গণরুমের সংকট নিরসন হবে। এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এর আগে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত সবগুলো হল চালু হলে আবাসনের সংকট কমে যাবে এবং গণরুম সাংস্কৃতি উঠে যাবে।’