জাবিতে শিক্ষকের ছেলেকে নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি!

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইতিহাস বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের ছেলেকে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড আহ্বানের অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ওই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে নিজের মেয়াদ থাকাকালে এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। এখন নির্বাচিত ৪৬ প্রার্থী এবং বোর্ড সদস্যদের জানানো হয়েছে ওই পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা রবি ও সোমবার (১৩ ও ১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এক অধ্যাপকের ছেলেকে নিয়োগ দিতেই এই পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তৎকালীন প্রশাসন। বর্তমান প্রশাসনও ওই একই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া ২০২১ সালের ২ মে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাত কর্মকর্তার নিয়োগই এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই পরের বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ বোর্ড আহ্বান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে, এ পদে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বোর্ডের এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে (যিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন) বাদ রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রাশেদা বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এর মধ্যেই হঠাৎ করে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভা হবে বলে টেলিফোনে আমাকে জানানো হয়। আমি অসুস্থ থাকাবস্থায় কেন বোর্ড আহ্বান হলো? আর আগের নিয়োগগুলো শেষ না করেই কেন তড়িঘড়ি করে এই পদে নিয়োগের পাঁয়তারা হচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।’

ওই পদের জন্য লড়ছেন এমন কয়েকজন প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক অধ্যাপকের ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এমনই যদি হয়, তাহলে আমাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকার কী দরকার ছিল?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোষাধ্যক্ষকে জানিয়েই নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়েছে। আর এতে তিনি সম্মতিও দিয়েছিলেন।’ আর বিশেষ কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন উপ-উপাচার্য।

জাবিতে শিক্ষকের ছেলেকে নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি!

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইতিহাস বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের ছেলেকে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ড আহ্বানের অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ওই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তখন উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে নিজের মেয়াদ থাকাকালে এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। এখন নির্বাচিত ৪৬ প্রার্থী এবং বোর্ড সদস্যদের জানানো হয়েছে ওই পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা রবি ও সোমবার (১৩ ও ১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এক অধ্যাপকের ছেলেকে নিয়োগ দিতেই এই পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তৎকালীন প্রশাসন। বর্তমান প্রশাসনও ওই একই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া ২০২১ সালের ২ মে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সাত কর্মকর্তার নিয়োগই এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই পরের বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ বোর্ড আহ্বান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে, এ পদে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বোর্ডের এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে (যিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন) বাদ রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রাশেদা বলেন, ‘আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এর মধ্যেই হঠাৎ করে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সভা হবে বলে টেলিফোনে আমাকে জানানো হয়। আমি অসুস্থ থাকাবস্থায় কেন বোর্ড আহ্বান হলো? আর আগের নিয়োগগুলো শেষ না করেই কেন তড়িঘড়ি করে এই পদে নিয়োগের পাঁয়তারা হচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।’

ওই পদের জন্য লড়ছেন এমন কয়েকজন প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক অধ্যাপকের ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এমনই যদি হয়, তাহলে আমাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকার কী দরকার ছিল?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোষাধ্যক্ষকে জানিয়েই নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়েছে। আর এতে তিনি সম্মতিও দিয়েছিলেন।’ আর বিশেষ কাউকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন উপ-উপাচার্য।