জাবিতে ৪ মাস ধরে উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য

জাবি সংবাদদাতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রায় চার মাস ধরে নেই উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)। দীর্ঘদিন পার হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে উপ-উপাচার্যের সব কাজ এখন উপাচার্যকে একাই সামাল দিতে হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে ধীরগতির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে, গত ২ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী তাকে উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর অধ্যাদেশের ১১(১) ধারা অনুযায়ী প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্যের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।

এদিকে প্রায় চার মাস পার হলেও শূন্য হওয়া উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ছাড়াই সিনেট, সিন্ডিকেট, ফাইন্যান্স কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলসহ গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকেরা বলেন, উপ-উপাচার্য পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে গতিশীলতা আনতে উপ-উপাচার্য প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কাজের ভারসাম্যও থাকে। তাই নতুন উপ-উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

জানা যায়, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনজনের নাম পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক বশির আহমেদ ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ইত্তেফাককে বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদ শূন্য রয়েছে। ফলে আমারও অনেক কাজের চাপ সামলাতে হয়। তবে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেমে নেই। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করেছি।

ইত্তেফাক/এআই

জাবিতে ৪ মাস ধরে উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য

জাবি সংবাদদাতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রায় চার মাস ধরে নেই উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)। দীর্ঘদিন পার হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে উপ-উপাচার্যের সব কাজ এখন উপাচার্যকে একাই সামাল দিতে হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে ধীরগতির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে, গত ২ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী তাকে উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর অধ্যাদেশের ১১(১) ধারা অনুযায়ী প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্যের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।

এদিকে প্রায় চার মাস পার হলেও শূন্য হওয়া উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ছাড়াই সিনেট, সিন্ডিকেট, ফাইন্যান্স কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলসহ গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকেরা বলেন, উপ-উপাচার্য পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে গতিশীলতা আনতে উপ-উপাচার্য প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কাজের ভারসাম্যও থাকে। তাই নতুন উপ-উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

জানা যায়, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনজনের নাম পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন- অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক বশির আহমেদ ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ইত্তেফাককে বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদ শূন্য রয়েছে। ফলে আমারও অনেক কাজের চাপ সামলাতে হয়। তবে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেমে নেই। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করেছি।

ইত্তেফাক/এআই