জাহাঙ্গীরনগরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ১১ ছাত্র বহিষ্কার

জাবি প্রতিনিধি
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ছা্ত্রলীগের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে ১১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা প্রত্যেকেই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র মো. আসাদুল হককে ৬ মাস বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে ৬ মাসের অস্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান সেজান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের রায়হান হাবীব, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, অর্থনীতি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মির্জা শাহনূর উল হক জিয়ান, দর্শন বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মীর হাসিবুল হাসান রিশাদ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মুনতাসির আহম্মেদ তাহরীম, রসায়ন বিভাগে ৪৮ ব্যাচের জাহিদ নজরুল, বাংলা বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের ইমরান বশর, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮ ব্যাচের জায়েদ-বিন-মেহেদী এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ ব্যাচের এ এস নাফিস হোসেন।

জানা যায়, বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী বলে পরিচিত।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ মোতাবেক ঘটনার মূল অভিযুক্ত মো. আসাদুল হককে ৬ মাসের বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে সহায়তা করার অপরাধে আরও ১০ জনকে ৬ মাসের বহিষ্কার ও ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ আগস্ট বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের গেস্টরুমে ডেকে একটি অনলাইন পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন হোসাইন রুবেলকে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরে অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ওই রাতে ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে আট ছাত্রলীগ কর্মীকে সংগঠনের কার্যক্রমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

জাহাঙ্গীরনগরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ১১ ছাত্র বহিষ্কার

জাবি প্রতিনিধি
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ছা্ত্রলীগের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে ১১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা প্রত্যেকেই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।

আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র মো. আসাদুল হককে ৬ মাস বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে ৬ মাসের অস্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান সেজান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের রায়হান হাবীব, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, অর্থনীতি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মির্জা শাহনূর উল হক জিয়ান, দর্শন বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মীর হাসিবুল হাসান রিশাদ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের মুনতাসির আহম্মেদ তাহরীম, রসায়ন বিভাগে ৪৮ ব্যাচের জাহিদ নজরুল, বাংলা বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের ইমরান বশর, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮ ব্যাচের জায়েদ-বিন-মেহেদী এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ ব্যাচের এ এস নাফিস হোসেন।

জানা যায়, বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী বলে পরিচিত।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ মোতাবেক ঘটনার মূল অভিযুক্ত মো. আসাদুল হককে ৬ মাসের বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে সহায়তা করার অপরাধে আরও ১০ জনকে ৬ মাসের বহিষ্কার ও ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ আগস্ট বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের গেস্টরুমে ডেকে একটি অনলাইন পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন হোসাইন রুবেলকে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরে অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ওই রাতে ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে আট ছাত্রলীগ কর্মীকে সংগঠনের কার্যক্রমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।