জিপিএ-৫ গ্রেডিং সিস্টেমকে ভয়ংকর বললেন জাফর ইকবাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করছেন এক প্রতিযোগী। ছবি : সংগৃহীত

এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে জিপিএ-৫ গ্রেডিং সিস্টেমকে ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত পঞ্চম বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২২-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান। আলোচনা পর্ব শেষে পঞ্চম রোবট অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী।এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা পড়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা থেকেও শিখবে। শুধু মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখলে তা অল্প সময়ের মধ্যেই ভুলে যাবে। এতে শিক্ষা-অভিজ্ঞতা কোনো কাজে আসবে না। নতুন পাঠ্যক্রমে এসব ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। পরীক্ষার মানসিক চাপ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই।’

জাফর ইকবাল বলেন, ‘একটা সময় কেউ জিপিএ-৫ পেয়েছে বললে- বলতাম, বাহ্, ‘কী চমৎকার! তারপর আস্তে আস্তে দেখতে লাগলাম জিপিএ-৫ পাওয়াটা আসলে খুবই ভয়ংকর ব্যাপার। যখন দেখি যে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন বাচ্চাটাকে বকে ও গালাগাল করে বা কেউ আত্মহত্যা করেছে তখন খুব খারাপ লাগে। তোমরা এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবা না। তোমরা তোমাদের দেড় কেজি ওজনের মস্তিষ্কটাকে বাঁচিয়ে রাখো। ব্যস, আর কিছু লাগবে না।’

জিপিএ-৫ গ্রেডিং সিস্টেমকে ভয়ংকর বললেন জাফর ইকবাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করছেন এক প্রতিযোগী। ছবি : সংগৃহীত

এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে জিপিএ-৫ গ্রেডিং সিস্টেমকে ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত পঞ্চম বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২২-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান। আলোচনা পর্ব শেষে পঞ্চম রোবট অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী।এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা পড়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা থেকেও শিখবে। শুধু মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখলে তা অল্প সময়ের মধ্যেই ভুলে যাবে। এতে শিক্ষা-অভিজ্ঞতা কোনো কাজে আসবে না। নতুন পাঠ্যক্রমে এসব ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। পরীক্ষার মানসিক চাপ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই।’

জাফর ইকবাল বলেন, ‘একটা সময় কেউ জিপিএ-৫ পেয়েছে বললে- বলতাম, বাহ্, ‘কী চমৎকার! তারপর আস্তে আস্তে দেখতে লাগলাম জিপিএ-৫ পাওয়াটা আসলে খুবই ভয়ংকর ব্যাপার। যখন দেখি যে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন বাচ্চাটাকে বকে ও গালাগাল করে বা কেউ আত্মহত্যা করেছে তখন খুব খারাপ লাগে। তোমরা এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবা না। তোমরা তোমাদের দেড় কেজি ওজনের মস্তিষ্কটাকে বাঁচিয়ে রাখো। ব্যস, আর কিছু লাগবে না।’