টিস্যু কালচারের মাধ্যমে রাবি শিক্ষকের উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন

রাবি প্রতিনিধি

টিস্যু কালচার পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক একত্রে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছেন। টিস্যু কালচার পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কলা গাছ হবে রোগমুক্ত, উৎপাদন বাড়বে এবং কলার স্বাদও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সহযোগী হিসেবে আছেন, একই বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম-২। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন  ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে ওই দুই শিক্ষকের সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, নতুন উদ্ভাবিত এই কলার নামকরণ করা হয়নি। রঙিলা সাগর, নীল সাগর, গ্রান্ড-নাইন, সবরী ও অগ্নিশ^র এই পাঁচ জাতের কলার টিস্যু কালচারের মাধ্যমে মানের চারা উৎপাদন করেছেন তারা। এর ফলে সাধারণ কলার চারার তুলনায় এই গাছে উৎপাদন বাড়বে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, কলার ফুল থেকে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নতজাতের কলার চারা উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর ফলে কলার চারা হবে রোগমুক্ত ও সতেজ। কলায় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগে আক্রমন করে। আর এসব রোগ মাতৃগাছ থেকে ছড়ায়। ফলে কলার চারায় মাতৃগাছ থেকে ছড়ানোর ব্যাধির ফলে ওই চারা থেকে পর্যাপ্ত কলার উৎপাদন পাওয়া যায় না। কলার স্বাদ, পুষ্টিগুণ কম থাকে। কলার ভেতরেও শক্ত দানা তৈরি হয়। টিস্যু কালচারের ফলে কলার চারা হবে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণমুক্ত। তাই সাধারণ কলার চেয়ে এর উৎপাদন বাড়বে, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় কলা ফেঁটে যায়। কলা না পাকার পরও লাল হয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু টিস্যু কালচার ব্যবহার করা চারার গাছে ধরা কলা ফাঁটবে না, লালও হবে না। ইতোমধ্যে এই জাতের কলার চারা বাজারজাত করতে শুরু করেছেন বলেও জানান এই অধ্যাপক।

এদিকে, মঙ্গলবার প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এই কলা চাষ সম্প্রসারণের জন্য চাষিদের মধ্যে এর চারা বিতরণ করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদেও ডিন অধ্যাপক শাহেদ জামান। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এসময় উপাচার্য বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমূল উদ্ভাবন প্রয়োজন। রাবির কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন। আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

টিস্যু কালচারের মাধ্যমে রাবি শিক্ষকের উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন

রাবি প্রতিনিধি

টিস্যু কালচার পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক একত্রে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছেন। টিস্যু কালচার পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কলা গাছ হবে রোগমুক্ত, উৎপাদন বাড়বে এবং কলার স্বাদও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সহযোগী হিসেবে আছেন, একই বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম-২। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন  ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে ওই দুই শিক্ষকের সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, নতুন উদ্ভাবিত এই কলার নামকরণ করা হয়নি। রঙিলা সাগর, নীল সাগর, গ্রান্ড-নাইন, সবরী ও অগ্নিশ^র এই পাঁচ জাতের কলার টিস্যু কালচারের মাধ্যমে মানের চারা উৎপাদন করেছেন তারা। এর ফলে সাধারণ কলার চারার তুলনায় এই গাছে উৎপাদন বাড়বে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, কলার ফুল থেকে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নতজাতের কলার চারা উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর ফলে কলার চারা হবে রোগমুক্ত ও সতেজ। কলায় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগে আক্রমন করে। আর এসব রোগ মাতৃগাছ থেকে ছড়ায়। ফলে কলার চারায় মাতৃগাছ থেকে ছড়ানোর ব্যাধির ফলে ওই চারা থেকে পর্যাপ্ত কলার উৎপাদন পাওয়া যায় না। কলার স্বাদ, পুষ্টিগুণ কম থাকে। কলার ভেতরেও শক্ত দানা তৈরি হয়। টিস্যু কালচারের ফলে কলার চারা হবে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণমুক্ত। তাই সাধারণ কলার চেয়ে এর উৎপাদন বাড়বে, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় কলা ফেঁটে যায়। কলা না পাকার পরও লাল হয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু টিস্যু কালচার ব্যবহার করা চারার গাছে ধরা কলা ফাঁটবে না, লালও হবে না। ইতোমধ্যে এই জাতের কলার চারা বাজারজাত করতে শুরু করেছেন বলেও জানান এই অধ্যাপক।

এদিকে, মঙ্গলবার প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এই কলা চাষ সম্প্রসারণের জন্য চাষিদের মধ্যে এর চারা বিতরণ করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদেও ডিন অধ্যাপক শাহেদ জামান। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এসময় উপাচার্য বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমূল উদ্ভাবন প্রয়োজন। রাবির কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন। আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।