ডিআইইউ’র ছাত্রাবাসে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, পুলিশ হেফাজতে ৩ জন

কাওছার আলী

আধিপত্য বিস্তার জেরে এবং সিনিয়রকে ‘তুমি’ বলে সম্মোধন করায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউতে) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এতে সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইনজামামুল হক মুহিদ (২২), বিএম সাকিব হোসেন (২২) ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান (২২) গুরুতর আহত হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন তাদের অকথ্য গালিগালাজের পর লাঠি সোটা এবং রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ পরে জাতীয় জরুরী সেবায় কল করা হলে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যরা এসে তিনজনকে ‘পুলিশ হেফাজতে’ নেয়।

জানা গেছে, গভীর রাতে ১নং ছাত্রাবাসের সিএসসি ও ফার্মেসী বিভাগের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে৷ পরবর্তীতে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম (২১) ইংরেজি বিভাগের জোবায়ের (২২) সহ তার সহযোগী মুরসালিন কে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভিকটিম ইনজামামুল হক মুহিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে তারা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে, এবং নতুনদের নিজ কক্ষে ডেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। আমার থেকে জুনিয়র হওয়াতে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করায় আমাকে ও আমার সহপাঠিদের উপর হামলা চালিয়েছে। পরে আত্মরক্ষায় ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে পাঠানো হয় বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছি।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন বলেন, ভিকটিম হসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখনো ডাক্তারদের তত্বাবধানে রয়েছে৷ ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ আটককৃতরা ওসি স্যারের কাছে রয়েছে। তাদের অভিভাবক আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আবু তারেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এখন থানায় অবস্থান করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমবিএইচ/এসএস

ডিআইইউ’র ছাত্রাবাসে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, পুলিশ হেফাজতে ৩ জন

কাওছার আলী

আধিপত্য বিস্তার জেরে এবং সিনিয়রকে ‘তুমি’ বলে সম্মোধন করায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউতে) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এতে সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইনজামামুল হক মুহিদ (২২), বিএম সাকিব হোসেন (২২) ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান (২২) গুরুতর আহত হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন তাদের অকথ্য গালিগালাজের পর লাঠি সোটা এবং রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ পরে জাতীয় জরুরী সেবায় কল করা হলে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যরা এসে তিনজনকে ‘পুলিশ হেফাজতে’ নেয়।

জানা গেছে, গভীর রাতে ১নং ছাত্রাবাসের সিএসসি ও ফার্মেসী বিভাগের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে৷ পরবর্তীতে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম (২১) ইংরেজি বিভাগের জোবায়ের (২২) সহ তার সহযোগী মুরসালিন কে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভিকটিম ইনজামামুল হক মুহিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জেরে তারা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে, এবং নতুনদের নিজ কক্ষে ডেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। আমার থেকে জুনিয়র হওয়াতে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করায় আমাকে ও আমার সহপাঠিদের উপর হামলা চালিয়েছে। পরে আত্মরক্ষায় ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে পাঠানো হয় বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছি।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন বলেন, ভিকটিম হসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখনো ডাক্তারদের তত্বাবধানে রয়েছে৷ ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ আটককৃতরা ওসি স্যারের কাছে রয়েছে। তাদের অভিভাবক আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আবু তারেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এখন থানায় অবস্থান করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমবিএইচ/এসএস