ডিয়ার জুনিয়রস, নিজেকে গুছিয়ে নাও এখন থেকেই
যোবায়ের ইবনে আলী
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু হওয়া নবীনদের জীবন গড়ার সময়ে তাদেরকে জানা উচিত কি কি করা যাবে আর কি কি না। এই সময়টাতে নিজের জীবনকে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব নিজেরই কাঁধে এসে পড়ে। প্রথম বর্ষ থেকেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে হয়, গতিপথ নির্ধারণ করতে হয়। নবীন জুনিয়রদের জন্য গাইডলাইন হিসেবে আজকের আয়োজনে পরামর্শ নিয়ে হাজির হয়েছেন কয়েকজন সিনিয়র। গ্রন্থনা করেছেন হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যোবায়ের ইবনে আলী।
সুন্দর এবং কণ্টকাকীর্ণ সময়ে স্বাগত
জীবনের এই সুন্দর এবং কণ্টকাকীর্ণ সময়ে তোমাদের স্বাগত জানাই। অধ্যয়নজীবনের অনেকটা সময় পার করেছো। সময়টা যেমন তোমার স্বপ্নের ক্যাম্পাসে উপভোগ করার তেমনি নিজেকে সামনের জীবনে দেশ ও জাতির জন্য উপযুক্ত করে তোলারও বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে তোমাদেরকে নিজের পড়াশুনার বিষয়ে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। ভুল বন্ধু নির্বাচন না করার অনুরোধ থাকল।একজন প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্র হিসেবে তোমাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে যে, তোমার ফিল্ডের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখলে তোমার অ্যাকাডেমিক ও প্রফেশনাল লাইফ সহজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বন্ধু নির্বাচন থেকে শুরু করে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এ নিজের গুণাবলি বিকাশ করার বিস্তর সুযোগ পাবে। অনেক সময় প্রত্যাশিত রেজাল্ট না হলে মন খারাপ করা যাবেনা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আগাতে হবে। মনে রাখবে, ভুল একবার হয়, পরবর্তীতে একই ভুল অপরাধ।
আশরাফুল মুনির শাকিল, ইইই বিভাগ,
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহসিকতা অর্জন করতে হবে
প্রিয় জুনিয়রগন , তোমরা যারা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছো, সবে মাত্র টিনেজ লাইফ থেকে অ্যাডাল্ট লাইফে পদার্পণ করেছো। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টায় দাঁড়িয়ে আছো তোমরা। এই সময়টাতে তুমি যা ভাববে তাই হয়ে উঠতে পারবে এটা যেমন সত্যি, আবার কাজে না লাগাতে পারলে অনেক কিছু হারিয়ে যাবে জীবন থেকে এটাও সমভাবে সত্যি। এখন ধীরে ধীরে দায়িত্বের পরিব্যাপ্তি হবে, নিতে হবে পরিবার, সমাজ এবং নিজের দায়িত্ব। অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণু হওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বা অনেক চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সাহসী হতে হবে। সর্বনাশা মাদকের কাছে নিজের সুন্দর জীবন বিলিয়ে দিয়ো না। সবচেয়ে বড় কথা নিজের পড়াশোনা ঠিক রেখো, দিনশেষে নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস এবং নিজের উপর তুষ্ট থাকা জরুরী। মনে রাখবে, তোমাদের তারুণ্যের যেন অপব্যবহার না হয়। পড়াশোনা বা জীবনে কখনো অন্যদের থেকে সামান্য পিছিয়ে গেলে বা একটু দেরী করে ফেললে কখনো যদি মনে হয় মন বা মানসিক স্বাস্থ্যের আরও যত্ন নেওয়া উচিত, বাবা, মা, শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু ছাড়াও সাইকিয়াট্রিস্ট/ মানসিক ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারো। কিছু মেডিক্যাল কলেজে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। তোমরা সবসময় সু স্বাগত।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ( ঢাকা)।
স্বাধীনতা কখনও একা আসেনা। কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়েই আসে৷ স্কুল-কলেজ জীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করার মধ্যদিয়ে জীবনের অনেকগুলো প্যারামিটার তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়৷ এখানে যেমন স্বাধীনতা আসে তেমনি নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত কার্যক্রমও আসতে শুরু করে৷ এই স্বাধীনতাকে আপনি আপনার পরবর্তী জীবনে কিভাবে ব্যবহার করবেন, সেটার গোড়াপত্তন ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই আপনি যেসব সহপাঠীকে বন্ধু বানাবেন এবং যেসব সিনিয়রদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করবেন, তাদের কার্যক্রমের প্রভাব আপনার পরবর্তী জীবনের উপর সবচেয়ে বেশি পড়বে ৷ সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষে বন্ধু এবং সিনিয়র নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে ৷ এই সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাদকে আসক্ত হয়ে পরে৷ নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নবীনদের পথ চলার উপদেশ রইলো৷ গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ইচ্ছা এবং চিন্তাশীলতার জগতটা বাঁচিয়ে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেগুলো সমন্বিত করে অধ্যয়নের পরামর্শও রইল তোমাদের জন্য।
জিওন আহমেদ, শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ,
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)।
লক্ষ্য নির্ধারণে সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা ও মননশীল হতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করা ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ । যত দ্রুত নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে তত মসৃণ হবে সামনের পথ চলা। বিশেষ সতর্কতা হচ্ছে, স্রোতে গা ভাসানো যাবে না।একইসঙ্গে বন্ধু বা সঙ্গ নির্বাচনে সাবধান হতে হবে । বড় ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে কারো দ্বারা ব্যবহার হওয়া যাবে না। নিজের ভালোটা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে । এই ধাপে কেউ যদি ভুল করে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে যাবে । সবচেয়ে বড় কথা, একাডেমিক পড়াশোনায় নিয়মিত থাকতে হবে।একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কিল অর্জনের দিকে মনোযোগ নিবেশ করতে হবে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
ডিয়ার জুনিয়রস, নিজেকে গুছিয়ে নাও এখন থেকেই
যোবায়ের ইবনে আলী
স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু হওয়া নবীনদের জীবন গড়ার সময়ে তাদেরকে জানা উচিত কি কি করা যাবে আর কি কি না। এই সময়টাতে নিজের জীবনকে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব নিজেরই কাঁধে এসে পড়ে। প্রথম বর্ষ থেকেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে হয়, গতিপথ নির্ধারণ করতে হয়। নবীন জুনিয়রদের জন্য গাইডলাইন হিসেবে আজকের আয়োজনে পরামর্শ নিয়ে হাজির হয়েছেন কয়েকজন সিনিয়র। গ্রন্থনা করেছেন হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যোবায়ের ইবনে আলী।
সুন্দর এবং কণ্টকাকীর্ণ সময়ে স্বাগত
জীবনের এই সুন্দর এবং কণ্টকাকীর্ণ সময়ে তোমাদের স্বাগত জানাই। অধ্যয়নজীবনের অনেকটা সময় পার করেছো। সময়টা যেমন তোমার স্বপ্নের ক্যাম্পাসে উপভোগ করার তেমনি নিজেকে সামনের জীবনে দেশ ও জাতির জন্য উপযুক্ত করে তোলারও বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে তোমাদেরকে নিজের পড়াশুনার বিষয়ে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। ভুল বন্ধু নির্বাচন না করার অনুরোধ থাকল।একজন প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্র হিসেবে তোমাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে যে, তোমার ফিল্ডের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখলে তোমার অ্যাকাডেমিক ও প্রফেশনাল লাইফ সহজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বন্ধু নির্বাচন থেকে শুরু করে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এ নিজের গুণাবলি বিকাশ করার বিস্তর সুযোগ পাবে। অনেক সময় প্রত্যাশিত রেজাল্ট না হলে মন খারাপ করা যাবেনা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আগাতে হবে। মনে রাখবে, ভুল একবার হয়, পরবর্তীতে একই ভুল অপরাধ।
আশরাফুল মুনির শাকিল, ইইই বিভাগ,
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহসিকতা অর্জন করতে হবে
প্রিয় জুনিয়রগন , তোমরা যারা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছো, সবে মাত্র টিনেজ লাইফ থেকে অ্যাডাল্ট লাইফে পদার্পণ করেছো। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টায় দাঁড়িয়ে আছো তোমরা। এই সময়টাতে তুমি যা ভাববে তাই হয়ে উঠতে পারবে এটা যেমন সত্যি, আবার কাজে না লাগাতে পারলে অনেক কিছু হারিয়ে যাবে জীবন থেকে এটাও সমভাবে সত্যি। এখন ধীরে ধীরে দায়িত্বের পরিব্যাপ্তি হবে, নিতে হবে পরিবার, সমাজ এবং নিজের দায়িত্ব। অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণু হওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বা অনেক চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সাহসী হতে হবে। সর্বনাশা মাদকের কাছে নিজের সুন্দর জীবন বিলিয়ে দিয়ো না। সবচেয়ে বড় কথা নিজের পড়াশোনা ঠিক রেখো, দিনশেষে নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস এবং নিজের উপর তুষ্ট থাকা জরুরী। মনে রাখবে, তোমাদের তারুণ্যের যেন অপব্যবহার না হয়। পড়াশোনা বা জীবনে কখনো অন্যদের থেকে সামান্য পিছিয়ে গেলে বা একটু দেরী করে ফেললে কখনো যদি মনে হয় মন বা মানসিক স্বাস্থ্যের আরও যত্ন নেওয়া উচিত, বাবা, মা, শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু ছাড়াও সাইকিয়াট্রিস্ট/ মানসিক ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারো। কিছু মেডিক্যাল কলেজে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। তোমরা সবসময় সু স্বাগত।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ( ঢাকা)।
স্বাধীনতা কখনও একা আসেনা। কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়েই আসে৷ স্কুল-কলেজ জীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করার মধ্যদিয়ে জীবনের অনেকগুলো প্যারামিটার তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়৷ এখানে যেমন স্বাধীনতা আসে তেমনি নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত কার্যক্রমও আসতে শুরু করে৷ এই স্বাধীনতাকে আপনি আপনার পরবর্তী জীবনে কিভাবে ব্যবহার করবেন, সেটার গোড়াপত্তন ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই আপনি যেসব সহপাঠীকে বন্ধু বানাবেন এবং যেসব সিনিয়রদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করবেন, তাদের কার্যক্রমের প্রভাব আপনার পরবর্তী জীবনের উপর সবচেয়ে বেশি পড়বে ৷ সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষে বন্ধু এবং সিনিয়র নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে ৷ এই সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাদকে আসক্ত হয়ে পরে৷ নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নবীনদের পথ চলার উপদেশ রইলো৷ গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ইচ্ছা এবং চিন্তাশীলতার জগতটা বাঁচিয়ে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেগুলো সমন্বিত করে অধ্যয়নের পরামর্শও রইল তোমাদের জন্য।
জিওন আহমেদ, শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ,
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)।
লক্ষ্য নির্ধারণে সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা ও মননশীল হতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করা ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ । যত দ্রুত নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবে তত মসৃণ হবে সামনের পথ চলা। বিশেষ সতর্কতা হচ্ছে, স্রোতে গা ভাসানো যাবে না।একইসঙ্গে বন্ধু বা সঙ্গ নির্বাচনে সাবধান হতে হবে । বড় ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে কারো দ্বারা ব্যবহার হওয়া যাবে না। নিজের ভালোটা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে । এই ধাপে কেউ যদি ভুল করে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অঙ্কুরেই নষ্ট হয়ে যাবে । সবচেয়ে বড় কথা, একাডেমিক পড়াশোনায় নিয়মিত থাকতে হবে।একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কিল অর্জনের দিকে মনোযোগ নিবেশ করতে হবে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে।