ঢাবির নাটমন্ডলে মহুয়া পালার মঞ্চায়ন

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে মঞ্চস্থ ‘মহুয়া পালা’র দৃশ্য

নাটক নিয়েই চলছে তাদের পড়াশোনা। সেই সুবাদে তারা সকলেই নাট্যকলার শিক্ষার্থী। অধ্যয়নের সমান্তরালে এবার তারা সরব হলো সরাসরি নাট্যমঞ্চে। আর নাট্য মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে আশ্রয় নিয়েছে লোকজ সংস্কৃতিনির্ভর পালাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে মঞ্চে এসেছে মহুয়া নামের পালা। গত শুক্রবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পালার মঞ্চায়ন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ শিল্পের কাছে সমাদৃত হওয়া পালাটির তৃতীয় প্রদর্শনী হলো রবিবার। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় চলবে এই প্রদর্শনী। মৈমনসিংহ গীতিকা আশ্রিত দ্বিজ কানাইয়ের রচনা থেকে নির্মিত হয়েছে মহুয়া পালা। থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ পালাটির নির্দেশনা দিয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক এবং মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা রহমত আলী।
প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক রহমত আলী বলেন, মহুয়া পালা প্রযোজনাটি গীত-নৃত্য-বাদ্য সহযোগে আমাদের দেশজ পরিবেশনাশৈলী অনুসৃত এক নব্য সৃষ্টিকর্ম। আখ্যাননির্ভর এই পালাগানের প্রধান অংশই গান। নিছক সংগীতের প্রতি অনুরাগ নয় বরং হাজার বছরের চর্চিত, ঐতিহ্যবাহী শেকড়সন্ধানী এই অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশনাশৈলীর সঙ্গে নাগরিক জীবনের সংযোগ ঘটানো ও বিদ্যায়তনিক স্তরে শিক্ষার্থীদের এই রীতির পরিচয় করিয়ে দেওয়া এই প্রযোজনার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য। তা ছাড়া  নির্দেশক হিসেবে গীতিনাট্য আমাকে সর্বদা প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। পূর্বে আমার নির্দেশিত খাকসারনামা, তাসের  দেশ, স্বদেশী নকশা প্রযোজনাসমূহ ছিল সংগীতাশ্রয়ী। পালাটির সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে, পূর্ণচন্দ্র ভট্টাচার্য এবং ক্ষিতীশচন্দ্র মৌলিক। রচয়িতা হিসেবে দ্বিজকানাইয়ের নাম পাওয়া যায়। আর রসের দিক  থেকে এটি রোমান্টিক-ট্র্যাজেডি ঘরানার দৃশ্যকাব্য।
পালাটিতে অভিনয় করছেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ১৮ শিক্ষার্থী। তারা হলেন অনন্যা  দে, বর্ণালী ঘোষ বর্ণ, ফৌজিয়া আফরিন তিলু, জাহেদ আল ফুয়াদ, মারিয়া সুলতানা, মো. ফরহাদ হোসেন ফাহিম, হাবিবুর রহমান কাঞ্চন, মো. মেজবাহুল ইসলাম জিম, মুনিরা মাহজাবিন, মুসাব্বির হুসাইন রিফাত, নীহারিকা নীরা, শান্তা আক্তার, শেখ রাহাতুল ইসলাম, শেখ মুমতারিণ অথৈ, তাহসিন নুর মিত্রিতা, টুম্পা রানী দাস ও উম্মে হানী।

ঢাবির নাটমন্ডলে মহুয়া পালার মঞ্চায়ন

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে মঞ্চস্থ ‘মহুয়া পালা’র দৃশ্য

নাটক নিয়েই চলছে তাদের পড়াশোনা। সেই সুবাদে তারা সকলেই নাট্যকলার শিক্ষার্থী। অধ্যয়নের সমান্তরালে এবার তারা সরব হলো সরাসরি নাট্যমঞ্চে। আর নাট্য মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে আশ্রয় নিয়েছে লোকজ সংস্কৃতিনির্ভর পালাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে মঞ্চে এসেছে মহুয়া নামের পালা। গত শুক্রবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পালার মঞ্চায়ন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ শিল্পের কাছে সমাদৃত হওয়া পালাটির তৃতীয় প্রদর্শনী হলো রবিবার। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় চলবে এই প্রদর্শনী। মৈমনসিংহ গীতিকা আশ্রিত দ্বিজ কানাইয়ের রচনা থেকে নির্মিত হয়েছে মহুয়া পালা। থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ পালাটির নির্দেশনা দিয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক এবং মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা রহমত আলী।
প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক রহমত আলী বলেন, মহুয়া পালা প্রযোজনাটি গীত-নৃত্য-বাদ্য সহযোগে আমাদের দেশজ পরিবেশনাশৈলী অনুসৃত এক নব্য সৃষ্টিকর্ম। আখ্যাননির্ভর এই পালাগানের প্রধান অংশই গান। নিছক সংগীতের প্রতি অনুরাগ নয় বরং হাজার বছরের চর্চিত, ঐতিহ্যবাহী শেকড়সন্ধানী এই অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশনাশৈলীর সঙ্গে নাগরিক জীবনের সংযোগ ঘটানো ও বিদ্যায়তনিক স্তরে শিক্ষার্থীদের এই রীতির পরিচয় করিয়ে দেওয়া এই প্রযোজনার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য। তা ছাড়া  নির্দেশক হিসেবে গীতিনাট্য আমাকে সর্বদা প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। পূর্বে আমার নির্দেশিত খাকসারনামা, তাসের  দেশ, স্বদেশী নকশা প্রযোজনাসমূহ ছিল সংগীতাশ্রয়ী। পালাটির সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে, পূর্ণচন্দ্র ভট্টাচার্য এবং ক্ষিতীশচন্দ্র মৌলিক। রচয়িতা হিসেবে দ্বিজকানাইয়ের নাম পাওয়া যায়। আর রসের দিক  থেকে এটি রোমান্টিক-ট্র্যাজেডি ঘরানার দৃশ্যকাব্য।
পালাটিতে অভিনয় করছেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ১৮ শিক্ষার্থী। তারা হলেন অনন্যা  দে, বর্ণালী ঘোষ বর্ণ, ফৌজিয়া আফরিন তিলু, জাহেদ আল ফুয়াদ, মারিয়া সুলতানা, মো. ফরহাদ হোসেন ফাহিম, হাবিবুর রহমান কাঞ্চন, মো. মেজবাহুল ইসলাম জিম, মুনিরা মাহজাবিন, মুসাব্বির হুসাইন রিফাত, নীহারিকা নীরা, শান্তা আক্তার, শেখ রাহাতুল ইসলাম, শেখ মুমতারিণ অথৈ, তাহসিন নুর মিত্রিতা, টুম্পা রানী দাস ও উম্মে হানী।