ঢাবির মুহসীন হলে শিক্ষার্থীকে মেরে হলছাড়া, তদন্ত কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে শিক্ষার্থীকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনায় তিন জন আবাসিক শিক্ষককে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। দশ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার হলের ৫৬২ নম্বর কক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহান সাইফুলকে মেরে কক্ষ থেকে বের করে দেয় হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেনের অনুসারীরা। সাইফুল হল প্রশাসন থেকে সেদিনই সিট বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এ সময় হলের দুজন আবাসিক শিক্ষক এলে কক্ষের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা দরজা না খুলে প্রায় এক ঘণ্টা শিক্ষকদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেন। পরে তারা বের হলে কক্ষটি তালাবদ্ধ করে দেন শিক্ষকেরা। বর্তমানে কক্ষটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাইফুল হল প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

 

জানা যায়, হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন হলের রুমগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা ইচ্ছেমতো নিজেদের কর্মীদের সিট বরাদ্দ দেন অথবা নামিয়ে দেন। তবে ৫৬২ নম্বর কক্ষ তাদের কারো নিয়ন্ত্রণে ছিল না। দুই পক্ষই এটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যে তাদের অজ্ঞাতে হল প্রশাসন সিট বরাদ্দ দেওয়ায় তারা শিক্ষার্থীকে বের করে দেন। এ ঘটনায় হল প্রশাসনকে তৎপর দেখা গিয়েছে। প্রাধ্যক্ষ ড. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে হলের শিক্ষার্থীদের তিনি বার্তা দিতে চান, অনিয়ম করে হলে থাকার সুযোগ নেই। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা তিনি নেবেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক আইনুল ইসলাম, ইমাউল হক সরকার টিটু ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক হারুনুর রশিদ।

ঢাবির মুহসীন হলে শিক্ষার্থীকে মেরে হলছাড়া, তদন্ত কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে শিক্ষার্থীকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনায় তিন জন আবাসিক শিক্ষককে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। দশ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার হলের ৫৬২ নম্বর কক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহান সাইফুলকে মেরে কক্ষ থেকে বের করে দেয় হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেনের অনুসারীরা। সাইফুল হল প্রশাসন থেকে সেদিনই সিট বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এ সময় হলের দুজন আবাসিক শিক্ষক এলে কক্ষের ভেতরে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা দরজা না খুলে প্রায় এক ঘণ্টা শিক্ষকদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেন। পরে তারা বের হলে কক্ষটি তালাবদ্ধ করে দেন শিক্ষকেরা। বর্তমানে কক্ষটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাইফুল হল প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

 

জানা যায়, হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন হলের রুমগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা ইচ্ছেমতো নিজেদের কর্মীদের সিট বরাদ্দ দেন অথবা নামিয়ে দেন। তবে ৫৬২ নম্বর কক্ষ তাদের কারো নিয়ন্ত্রণে ছিল না। দুই পক্ষই এটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যে তাদের অজ্ঞাতে হল প্রশাসন সিট বরাদ্দ দেওয়ায় তারা শিক্ষার্থীকে বের করে দেন। এ ঘটনায় হল প্রশাসনকে তৎপর দেখা গিয়েছে। প্রাধ্যক্ষ ড. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে হলের শিক্ষার্থীদের তিনি বার্তা দিতে চান, অনিয়ম করে হলে থাকার সুযোগ নেই। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা তিনি নেবেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন হলের আবাসিক শিক্ষক আইনুল ইসলাম, ইমাউল হক সরকার টিটু ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক হারুনুর রশিদ।