প্রাধ্যক্ষের দুঃখ প্রকাশ

ঢাবি হলে রাতভর শিক্ষার্থীর ওপর মানসিক নির্যাতন

ঢাবি প্রতিনিধি

বাম ছাত্র সংগঠনের বই থাকায় শিক্ষার্থীকে রাতভর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সামির সাদিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০১৮-১৯ বর্ষের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন সাদিক।

অভিযোগপত্রে সাদিক উল্লেখ করেন, সোমবার রাত ১টায় আহমদুল্লাহ আশরাফ (১৭-১৮ সেশন) ও রেজভী হাসান (১৭-১৮ সেশন) আমার রুমে (২২৩) আমার বইপত্র, ফোন সার্চ করা শুরু করে এবং আমার কাছে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রস্তাব, ছাত্র ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য বই পেয়ে তারা আমাকে সারা রাত ধরে মানসিক নির্যাতন করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। এমনকি তারা আমার বাবা-মাকে ফোন দিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে বলে অন্যথায় তারা আমাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন, যা আমার বাবা-মাকেও সারা রাত দুশ্চিন্তার মধ্যে রাখে। তারা এমতাবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় এসেছেন। তারা আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, আমি নিজেও আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে সামির সাদিক যুগান্তরকে বলেন, প্রাধ্যক্ষ স্যার আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন। আর বিচারের বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি।

সামিরের বাবা এমতাসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত পৌনে ১টার দিকে আহম্মদ উল্লাহ পরিচয় দিয়ে আমাকে কল করেছে। তারা বলেছে, আপনার ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন করে। তার কাছে বই পাওয়া গেছে। হলের রাজনৈতিক বড় ভাইরা জানতে পারলে তাকে মেরে পুলিশে দেবে। দ্রুত ক্যাম্পাসে এসে তাকে নিয়ে যান।’

অভিযুক্ত দুজন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আহম্মদ উল্লাহ এবং পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক রিজভী। সামির তাদের রুমমেট। অভিযুক্ত আহমদুল্লাহ আশরাফকে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছি। তার বাবা-মার কাছেও এ ঘটনার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

প্রাধ্যক্ষের দুঃখ প্রকাশ

ঢাবি হলে রাতভর শিক্ষার্থীর ওপর মানসিক নির্যাতন

ঢাবি প্রতিনিধি

বাম ছাত্র সংগঠনের বই থাকায় শিক্ষার্থীকে রাতভর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সামির সাদিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০১৮-১৯ বর্ষের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন সাদিক।

অভিযোগপত্রে সাদিক উল্লেখ করেন, সোমবার রাত ১টায় আহমদুল্লাহ আশরাফ (১৭-১৮ সেশন) ও রেজভী হাসান (১৭-১৮ সেশন) আমার রুমে (২২৩) আমার বইপত্র, ফোন সার্চ করা শুরু করে এবং আমার কাছে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রস্তাব, ছাত্র ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য বই পেয়ে তারা আমাকে সারা রাত ধরে মানসিক নির্যাতন করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। এমনকি তারা আমার বাবা-মাকে ফোন দিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে বলে অন্যথায় তারা আমাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন, যা আমার বাবা-মাকেও সারা রাত দুশ্চিন্তার মধ্যে রাখে। তারা এমতাবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় এসেছেন। তারা আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, আমি নিজেও আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে সামির সাদিক যুগান্তরকে বলেন, প্রাধ্যক্ষ স্যার আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন। আর বিচারের বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি।

সামিরের বাবা এমতাসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত পৌনে ১টার দিকে আহম্মদ উল্লাহ পরিচয় দিয়ে আমাকে কল করেছে। তারা বলেছে, আপনার ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন করে। তার কাছে বই পাওয়া গেছে। হলের রাজনৈতিক বড় ভাইরা জানতে পারলে তাকে মেরে পুলিশে দেবে। দ্রুত ক্যাম্পাসে এসে তাকে নিয়ে যান।’

অভিযুক্ত দুজন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আহম্মদ উল্লাহ এবং পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক রিজভী। সামির তাদের রুমমেট। অভিযুক্ত আহমদুল্লাহ আশরাফকে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছি। তার বাবা-মার কাছেও এ ঘটনার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছি।