ঢাবি হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন

শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে গভীর রাতে ফোন করে সন্তানকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়; অন্যথায় মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ যেন ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে সংঘটিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

তবে সেদিনের নৃশংস ঘটনায় বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের করুণ মৃত্যু হলেও এক্ষেত্রে সেরকম কিছু ঘটেনি। এটি আমাদের সাময়িক স্বস্তি দিলেও আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে দেশের শিক্ষাঙ্গন তথা জাতির জন্য মোটেই মঙ্গলজনক নয় বলে মনে করি আমরা। বস্তুত ছাত্রলীগ নামধারীদের এমন অসহিষ্ণু মনোভাব ও উদ্ধত আচরণের কারণে দেশের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দেশের শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির চর্চা অব্যাহত থাকায় পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ তো বিঘ্নিত হচ্ছেই; উপরন্তু শিক্ষার্থী খুন-জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অবিলম্বে এর অবসান হওয়া দরকার। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো-শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সৃষ্টির পাশাপাশি তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন নিয়মিত ছাত্র, মেধাবী, যোগ্য, দক্ষ ও জনপ্রিয় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। অন্যদিকে দুষ্কর্ম সংঘটনকারীদের কেবল সংগঠন থেকে বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থাও থাকা উচিত।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির যে কোনো সংকট ও ক্রান্তিকালে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণকারী সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগ একসময় অনন্য মর্যাদা ও জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিল। অথচ বর্তমানে কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপ সংগঠনটির ললাটে এঁকে দিচ্ছে কলঙ্কচিহ্ন, যা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াটাও ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি বড় কারণ।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া দরকার। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ ছাত্র সংগঠনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বও কম নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, এটাই প্রত্যাশা।

ঢাবি হলে শিক্ষার্থী নির্যাতন

শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে গভীর রাতে ফোন করে সন্তানকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়; অন্যথায় মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ যেন ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে সংঘটিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

তবে সেদিনের নৃশংস ঘটনায় বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের করুণ মৃত্যু হলেও এক্ষেত্রে সেরকম কিছু ঘটেনি। এটি আমাদের সাময়িক স্বস্তি দিলেও আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে দেশের শিক্ষাঙ্গন তথা জাতির জন্য মোটেই মঙ্গলজনক নয় বলে মনে করি আমরা। বস্তুত ছাত্রলীগ নামধারীদের এমন অসহিষ্ণু মনোভাব ও উদ্ধত আচরণের কারণে দেশের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দেশের শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির চর্চা অব্যাহত থাকায় পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ তো বিঘ্নিত হচ্ছেই; উপরন্তু শিক্ষার্থী খুন-জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অবিলম্বে এর অবসান হওয়া দরকার। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো-শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সৃষ্টির পাশাপাশি তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন নিয়মিত ছাত্র, মেধাবী, যোগ্য, দক্ষ ও জনপ্রিয় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। অন্যদিকে দুষ্কর্ম সংঘটনকারীদের কেবল সংগঠন থেকে বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থাও থাকা উচিত।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির যে কোনো সংকট ও ক্রান্তিকালে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণকারী সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগ একসময় অনন্য মর্যাদা ও জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিল। অথচ বর্তমানে কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপ সংগঠনটির ললাটে এঁকে দিচ্ছে কলঙ্কচিহ্ন, যা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াটাও ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি বড় কারণ।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া দরকার। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ ছাত্র সংগঠনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বও কম নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, এটাই প্রত্যাশা।