নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হবে: উপাচার্য

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য তাদের সুবিধার্থে আইসিটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি বলেন, আমরা বিভাগগুলোতে এমনকিছু বিষয় যুক্ত করার কথা ভাবছি যেগুলো যুক্ত হলে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারবে। ত্রিশাল থেকে যেন একজন শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত হতে পারে সে ব্যবস্থা ধীরে ধীরে করা হবে। এখানকার আইটি সেকশনকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে একটা ইন্সটিটিউটের কথা প্রশাসন ভাবছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে সে ইন্সটিটিউট আমরা স্থাপন করতে পারবো। আইসিটির মধ্যদিয়ে এখানকার প্রত্যেকটি ছেলে মেয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।

রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে চাকরি মেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব দিনব্যাপী এই চাকরি মেলাটি আয়োজন করেন যাতে ঢাকাসহ দেশের প্রায় ২৫টি স্বনামধন্য কোম্পানি অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সামজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় অনুষদের নিচে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান।

অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা এমন একটি সময়ের অপেক্ষায় আছি যে, বাংলাদেশে যদি চাকরির খরাও পরে কখনো তারপরেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করে বের হবে তাদের কখনো চাকরির অভাব হবে না। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এটি হচ্ছে আমাদের মটো। একইসঙ্গে স্মার্ট ক্যাম্পাস আমরা করবো। এটি আমাদের লক্ষ্য। চারিদিকে বনায়ন শুরু হয়েছে। আমরা বনায়ন করে ক্যাম্পসকে একটি নন্দনকানন হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, স্মার্টনেস একটা টোটাল কনসেপ্ট। ছাত্রছাত্রীদের সজাগ থাকতে হবে। তাদের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। স্কিল যদি ডেভেলপ করা যায় তাহলে তারা কিন্তু স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। আর সেজন্য প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার হাত নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। চাকরি মেলা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান মাননীয় উপাচার্য।

স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের সভাপতি মো. লুৎফুল নাসিফ বলেন, আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড কাজগুলো করে থাকি। আমরা শিক্ষার্থীদের সফ্ট স্কিল শেখানোর কাজ করি। এবার আমরা ব্যতিক্রমধর্মী চাকরি মেলা আয়োজন করেছি। যা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, এই চাকরি মেলার করার উদ্দেশ্য হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে ইন্টারেকশনের সুযোগ তৈরি করা। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের সিভিগুলো চেক করাতে পারে। সিভিতে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করাতে পারে। আমরা এরকম কাজ ভবিষ্যতে আরো করতে চাই।বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতা চাই।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।

ইবিহো/এসএস

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হবে: উপাচার্য

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য তাদের সুবিধার্থে আইসিটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

তিনি বলেন, আমরা বিভাগগুলোতে এমনকিছু বিষয় যুক্ত করার কথা ভাবছি যেগুলো যুক্ত হলে পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারবে। ত্রিশাল থেকে যেন একজন শিক্ষার্থী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত হতে পারে সে ব্যবস্থা ধীরে ধীরে করা হবে। এখানকার আইটি সেকশনকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে একটা ইন্সটিটিউটের কথা প্রশাসন ভাবছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে সে ইন্সটিটিউট আমরা স্থাপন করতে পারবো। আইসিটির মধ্যদিয়ে এখানকার প্রত্যেকটি ছেলে মেয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।

রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে চাকরি মেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব দিনব্যাপী এই চাকরি মেলাটি আয়োজন করেন যাতে ঢাকাসহ দেশের প্রায় ২৫টি স্বনামধন্য কোম্পানি অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সামজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় অনুষদের নিচে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান।

অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা এমন একটি সময়ের অপেক্ষায় আছি যে, বাংলাদেশে যদি চাকরির খরাও পরে কখনো তারপরেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করে বের হবে তাদের কখনো চাকরির অভাব হবে না। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এটি হচ্ছে আমাদের মটো। একইসঙ্গে স্মার্ট ক্যাম্পাস আমরা করবো। এটি আমাদের লক্ষ্য। চারিদিকে বনায়ন শুরু হয়েছে। আমরা বনায়ন করে ক্যাম্পসকে একটি নন্দনকানন হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, স্মার্টনেস একটা টোটাল কনসেপ্ট। ছাত্রছাত্রীদের সজাগ থাকতে হবে। তাদের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। স্কিল যদি ডেভেলপ করা যায় তাহলে তারা কিন্তু স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে দাঁড়াতে পারবে। আর সেজন্য প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার হাত নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। চাকরি মেলা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান মাননীয় উপাচার্য।

স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের সভাপতি মো. লুৎফুল নাসিফ বলেন, আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড কাজগুলো করে থাকি। আমরা শিক্ষার্থীদের সফ্ট স্কিল শেখানোর কাজ করি। এবার আমরা ব্যতিক্রমধর্মী চাকরি মেলা আয়োজন করেছি। যা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, এই চাকরি মেলার করার উদ্দেশ্য হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে ইন্টারেকশনের সুযোগ তৈরি করা। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের সিভিগুলো চেক করাতে পারে। সিভিতে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করাতে পারে। আমরা এরকম কাজ ভবিষ্যতে আরো করতে চাই।বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতা চাই।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা।

ইবিহো/এসএস