নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে “বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ গত ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে “বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের অতিথি বক্তা ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক আবদুর রব খান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম।

অধিবেশনের সভাপতি অধ্যাপক রিজওয়ানুল ইসলাম তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আমরা সকলেই আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত, কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানি না যে প্রক্রিয়াটি বাস্তবে কীভাবে কাজ করে। অতঃপর প্রধান অতিথি উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন এবং বলেন- পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং ব্যবহারিক প্রক্রিয়া প্রায়শই বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন সুরক্ষা করা অতি প্রয়োজনীয় এবং আইনের শাসন সুরক্ষার লক্ষ্যে কিভাবে আমরা আইন প্রণয়ন করতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

আইন কি এবং আইনের উৎস কি কি এ বিষয়ে আলোকপাত করে ব্যারিস্টার পাটোয়ারী তার বক্তব্য শুরু করেন। এর পর তিনি বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেন। সরকারি বিল ও বেসরকারি সদস্য বিল। বেসরকারি সদস্য বিলগুলো সংসদের বেসরকারি সদস্যদের (যারা ক্যাবিনেট মেম্বার নন) দ্বারা খসড়া করা হয় এবং স্পিকারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন কিভাবে মন্ত্রণালয়গুলো একটি সরকারি বিলের খসড়া তৈরি করে এবং আইন প্রণয়ন করে।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, একটি খসড়া বিল মন্ত্রিসভার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাওয়া উচিত কারণ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত একটি খসড়াতে কমিটি ব্যাপক পরিবর্তন আনতে অনাগ্রহী থাকে। অন্যান্য কিছু দেশের মতো, বাংলাদেশেও ডেলিগেটেড বা অর্পিত আইন প্রণয়নের বিষয়ে একটি সংসদীয় কমিটি থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী, সিলেক্ট কমিটি বা জনমতের জন্য বিল না পাঠানোর সংসদীয় প্রথার সমালোচনা করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যের মতে, আমাদের দেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া সরকারের নির্বাহী বিভাগকে কেন্দ্র করে। একটি শক্তিশালী সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে একটি অন্যায্য বা অজনপ্রিয় আইন প্রণয়ন করা থেকে বিরত রাখার কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা বাংলাদেশ নেই বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি মতামত দেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সুযোগ আস্থা প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলিতে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। সরকারি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য আমাদের সংবিধান সংস্কার করা উচিত, কারণ দেশের পরিস্থিতি এবং চাহিদা ১৯৭২ সালের মত নয়। ব্যারিস্টার পাটোয়ারীর বক্তব্য শেষে একটি প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আইন বিভাগের টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস সায়েরে নাজাবী সায়েম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে “বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ গত ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে “বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের অতিথি বক্তা ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক আবদুর রব খান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম।

অধিবেশনের সভাপতি অধ্যাপক রিজওয়ানুল ইসলাম তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আমরা সকলেই আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত, কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানি না যে প্রক্রিয়াটি বাস্তবে কীভাবে কাজ করে। অতঃপর প্রধান অতিথি উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন এবং বলেন- পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং ব্যবহারিক প্রক্রিয়া প্রায়শই বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন সুরক্ষা করা অতি প্রয়োজনীয় এবং আইনের শাসন সুরক্ষার লক্ষ্যে কিভাবে আমরা আইন প্রণয়ন করতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

আইন কি এবং আইনের উৎস কি কি এ বিষয়ে আলোকপাত করে ব্যারিস্টার পাটোয়ারী তার বক্তব্য শুরু করেন। এর পর তিনি বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেন। সরকারি বিল ও বেসরকারি সদস্য বিল। বেসরকারি সদস্য বিলগুলো সংসদের বেসরকারি সদস্যদের (যারা ক্যাবিনেট মেম্বার নন) দ্বারা খসড়া করা হয় এবং স্পিকারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন কিভাবে মন্ত্রণালয়গুলো একটি সরকারি বিলের খসড়া তৈরি করে এবং আইন প্রণয়ন করে।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, একটি খসড়া বিল মন্ত্রিসভার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাওয়া উচিত কারণ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত একটি খসড়াতে কমিটি ব্যাপক পরিবর্তন আনতে অনাগ্রহী থাকে। অন্যান্য কিছু দেশের মতো, বাংলাদেশেও ডেলিগেটেড বা অর্পিত আইন প্রণয়নের বিষয়ে একটি সংসদীয় কমিটি থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী, সিলেক্ট কমিটি বা জনমতের জন্য বিল না পাঠানোর সংসদীয় প্রথার সমালোচনা করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যের মতে, আমাদের দেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া সরকারের নির্বাহী বিভাগকে কেন্দ্র করে। একটি শক্তিশালী সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে একটি অন্যায্য বা অজনপ্রিয় আইন প্রণয়ন করা থেকে বিরত রাখার কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা বাংলাদেশ নেই বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।

ব্যারিস্টার পাটোয়ারী আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি মতামত দেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সুযোগ আস্থা প্রস্তাবের মতো বিষয়গুলিতে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। সরকারি ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য আমাদের সংবিধান সংস্কার করা উচিত, কারণ দেশের পরিস্থিতি এবং চাহিদা ১৯৭২ সালের মত নয়। ব্যারিস্টার পাটোয়ারীর বক্তব্য শেষে একটি প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আইন বিভাগের টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস সায়েরে নাজাবী সায়েম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।