ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

‘নষ্ট খাবার চলবে না’ স্লোগান দিয়ে তালা

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে হলের খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ, তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে, হলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৪ মে) বেলা ৩টায় হলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে হল প্রভোস্টের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

এসময় তারা ‘নষ্ট খাবার চলবে না, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘শেখ রাসেল হল ছাত্রসমাজ এক হও’, ‘লড়াই করো’ ‘ডাইনিং ম্যানেজার পরিবর্তন করো করতে হবে’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগে হলের খাবারের মান নিয়ে ডাইনিং ম্যানেজার ও হলের প্রভোস্টকে একাধিকবার অভিযোগ করেন তারা। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাসবাণী শুনিয়ে গেছে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ আসেনি। হলের ডাইনিং ম্যানেজার অধিক লাভের উদ্দেশে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করছেন। এর পিছনে প্রশাসনের মদদ থাকতে পারে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন জানান, ‘দিনে দিনে হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান এতই খারাপ যে বাধ্য হয়ে অন্য হলে খাবার খেতে যেতে হয়। অন্য হলেও একই দশা। ভাতে পোকা, কালো চাল, মাছের টুকরা এতটাই ছোট করা হয় যে, তা গিলে ফেলা যায়, মাছ আছে তা ঝোল নাই। যখনই ডাইনিং ম্যানেজারকে এ বিষয় নিয়ে বলতে যাই তখন তিনি লোকসানের কারণ দেখান।’

আরেক শিক্ষার্থী এস এম সুইট বলেন, ‘আমরা হলের প্রভোস্ট কে এ বিষয়ে আবগত করেছি। তিনি আমাদের সাথে আগামীকাল (সোমবার) দুপুরে বসবেন বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যাবস্থা না নিলে আগামীকালই আমরা পদক্ষেপ নিব।’

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এটি বহুমুখী সমস্যার সামগ্রিক ফল। বর্তমানে ডাইনিংগুলোতে যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই অপর্যাপ্ত। আবার ভর্তুকি বাড়ানোর পরেও দেখা যায় ডাইনিংয়ে মান বৃদ্ধি পায় না। তবে আমরা চেষ্টা করবো মান যেন বজায় থাকে। তাছাড়া ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ না হওয়ায় হল প্রশাসনের টাকায় তাদের রাখা হয় ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও ভর্তুকি কমেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার থেকে তিন মাসের ভর্তুকি এখনো এসে পৌঁছেনি। খাবারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা শীঘ্রই বসবো। আমরা চেষ্টা করবো মান বাচাতে। ফান্ড থেকে ভর্তুকি বাড়িয়ে হলেও মান বৃদ্ধি ও গ্রহনযোগ্য সমাধানে আসব।

ইবিহো/এসএস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

‘নষ্ট খাবার চলবে না’ স্লোগান দিয়ে তালা

ফরহাদ খাদেম

ইবিতে হলের খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ, তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে, হলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৪ মে) বেলা ৩টায় হলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে হল প্রভোস্টের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

এসময় তারা ‘নষ্ট খাবার চলবে না, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘শেখ রাসেল হল ছাত্রসমাজ এক হও’, ‘লড়াই করো’ ‘ডাইনিং ম্যানেজার পরিবর্তন করো করতে হবে’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগে হলের খাবারের মান নিয়ে ডাইনিং ম্যানেজার ও হলের প্রভোস্টকে একাধিকবার অভিযোগ করেন তারা। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাসবাণী শুনিয়ে গেছে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ আসেনি। হলের ডাইনিং ম্যানেজার অধিক লাভের উদ্দেশে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করছেন। এর পিছনে প্রশাসনের মদদ থাকতে পারে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন জানান, ‘দিনে দিনে হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান এতই খারাপ যে বাধ্য হয়ে অন্য হলে খাবার খেতে যেতে হয়। অন্য হলেও একই দশা। ভাতে পোকা, কালো চাল, মাছের টুকরা এতটাই ছোট করা হয় যে, তা গিলে ফেলা যায়, মাছ আছে তা ঝোল নাই। যখনই ডাইনিং ম্যানেজারকে এ বিষয় নিয়ে বলতে যাই তখন তিনি লোকসানের কারণ দেখান।’

আরেক শিক্ষার্থী এস এম সুইট বলেন, ‘আমরা হলের প্রভোস্ট কে এ বিষয়ে আবগত করেছি। তিনি আমাদের সাথে আগামীকাল (সোমবার) দুপুরে বসবেন বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যাবস্থা না নিলে আগামীকালই আমরা পদক্ষেপ নিব।’

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এটি বহুমুখী সমস্যার সামগ্রিক ফল। বর্তমানে ডাইনিংগুলোতে যে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই অপর্যাপ্ত। আবার ভর্তুকি বাড়ানোর পরেও দেখা যায় ডাইনিংয়ে মান বৃদ্ধি পায় না। তবে আমরা চেষ্টা করবো মান যেন বজায় থাকে। তাছাড়া ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ না হওয়ায় হল প্রশাসনের টাকায় তাদের রাখা হয় ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও ভর্তুকি কমেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার থেকে তিন মাসের ভর্তুকি এখনো এসে পৌঁছেনি। খাবারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা শীঘ্রই বসবো। আমরা চেষ্টা করবো মান বাচাতে। ফান্ড থেকে ভর্তুকি বাড়িয়ে হলেও মান বৃদ্ধি ও গ্রহনযোগ্য সমাধানে আসব।

ইবিহো/এসএস