কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন অধ্যাপক!
প্রতিবাদে সোমবার কর্মবিরতিতে ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, ভোগান্তিতে চিকিৎসক ও রোগীরা * পরিচালকের দাবি, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে, ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক * ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি মীমাংসা হয়নি, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপককে অপসারণে সময় দিয়েছেন তারা

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ কুমেক হাসপাতাল।
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপক ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে সবার সামনে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী মাসে ওই ভুক্তভোগীর ইন্টার্নশিপ শেষ হবে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। দিন পনেরো আগে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ওই সহকারী অধ্যাপকের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে পাঠানো একজন রোগীকে কুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি না করে সার্জারি বিভাগে পাঠানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এমন কাণ্ড করেছেন। তবে ওই সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরতে বলেননি এবং পা ধরতে দেননি।
এ ঘটনায় মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান খোকনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে চিঠি দেয় কুমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসককে অপসারণ না করায় সোমবার হাসপাতালে যাননি কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক। এতে সোমবার দিনভর রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের। ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরাও।
এর আগে রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিনের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি মানা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। যদিও সোমবার রাতে পরিচালক দাবি করেন, এরই মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেবেন তারা। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি, বিষয়টির এখনো মীমাংসা হয়নি। সহকারী অধ্যাপককে অপসারণে সময় দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক অভিযোগ করে জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে ওই সহকারী অধ্যাপকের চেম্বার থেকে পাঠানো রোগী ডায়াবেটিক ফুটে আক্রান্ত ছিলেন। এ ধরনের রোগীদের সাধারণত সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়। এ জন্য ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীকে সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠান। দুঃখজনক বিষয় হলো, রোগীকে সার্জারি বিভাগে কেন পাঠানো হলো- এ অভিযোগ তুলে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে পরদিন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অফিসে ডেকে নেন। সেখানে অন্যান্য অধ্যাপক, সিএ, রেজিস্ট্রার, ট্রেইনি ডাক্তারদের সামনে ইন্টার্নকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলেও তাকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করা হয়।
তারা বলেন, আগামী মাসে মেয়েটির ইন্টার্নশিপ শেষ হবে। এ ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি অন্যায় করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। কয়েক দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ জন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং ওই চিকিৎসককে এই মেডিক্যাল কলেজ থেকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভোগী ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক।
তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ভিন্ন কথা বলেছেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান খোকন। তার দাবি, তিনি ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেননি এবং পা ধরতেও দেননি। ওই রোগীকে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ভর্তি লিখে দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠান। ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি না নিয়ে চিকিৎসা লিখে দেন। নিয়ম অনুযায়ী রোগীকে ভর্তি করার কথা। রোগী এ বিষয়টি তাকে বললে পরদিন তিনি মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে বিষয়টি জানান। এরপর ওই ওয়ার্ডের ইউনিট প্রধানকে ডেকে পাঠান বিভাগীয় প্রধান। ইউনিট প্রধান জানান, ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক এই কাজটি করেছেন। এরপর বিভাগীয় প্রধান ইন্টার্ন চিকিৎসককে তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তবে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসককে তার পা ধরতে দেননি।
তবে এ বিষয়ে জানতে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সোমবার রাতে এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, সোমবার দুপুরে আমাদের হলরুমে ঘটনাটি সমাধানের জন্য বৈঠক বসে। এতে বিএমএ কুমিল্লার নেতারা, অভিযুক্ত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ আরো অনেকেই অংশ নেন। পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। এরপর বৈঠকে অংশ নেওয়া সবাই বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এতে সন্তুষ্ট হয়ে বিষয়টি ভালোভাবে মেনে নিয়েছেন। তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেবেন।
রবিবার পরিচালককে চিঠি দেওয়ার পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি হৃদয় রঞ্জন নাথ। তবে ওই বৈঠকের পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসক সোমবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বিষয়টি সাময়িক সময়ের জন্য মেনে নিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসককে অপসারণ না করা হলে আমরা পরবর্তী সময়ে অন্য কর্মসূচি দেব। এক সপ্তাহ সময় দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা কাজে যোগ দেব। আর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক স্যরি বলেছেন, এটা কোনো সমাধান হতে পারে না।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন অধ্যাপক!
প্রতিবাদে সোমবার কর্মবিরতিতে ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, ভোগান্তিতে চিকিৎসক ও রোগীরা * পরিচালকের দাবি, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে, ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক * ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি মীমাংসা হয়নি, অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপককে অপসারণে সময় দিয়েছেন তারা

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ কুমেক হাসপাতাল।
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপক ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে সবার সামনে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী মাসে ওই ভুক্তভোগীর ইন্টার্নশিপ শেষ হবে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। দিন পনেরো আগে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ওই সহকারী অধ্যাপকের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে পাঠানো একজন রোগীকে কুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি না করে সার্জারি বিভাগে পাঠানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এমন কাণ্ড করেছেন। তবে ওই সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরতে বলেননি এবং পা ধরতে দেননি।
এ ঘটনায় মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান খোকনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে চিঠি দেয় কুমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসককে অপসারণ না করায় সোমবার হাসপাতালে যাননি কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক। এতে সোমবার দিনভর রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের। ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরাও।
এর আগে রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিনের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি মানা না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। যদিও সোমবার রাতে পরিচালক দাবি করেন, এরই মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেবেন তারা। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি, বিষয়টির এখনো মীমাংসা হয়নি। সহকারী অধ্যাপককে অপসারণে সময় দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক অভিযোগ করে জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে ওই সহকারী অধ্যাপকের চেম্বার থেকে পাঠানো রোগী ডায়াবেটিক ফুটে আক্রান্ত ছিলেন। এ ধরনের রোগীদের সাধারণত সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়। এ জন্য ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীকে সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠান। দুঃখজনক বিষয় হলো, রোগীকে সার্জারি বিভাগে কেন পাঠানো হলো- এ অভিযোগ তুলে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে পরদিন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অফিসে ডেকে নেন। সেখানে অন্যান্য অধ্যাপক, সিএ, রেজিস্ট্রার, ট্রেইনি ডাক্তারদের সামনে ইন্টার্নকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলেও তাকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করা হয়।
তারা বলেন, আগামী মাসে মেয়েটির ইন্টার্নশিপ শেষ হবে। এ ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি অন্যায় করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। কয়েক দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ জন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং ওই চিকিৎসককে এই মেডিক্যাল কলেজ থেকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভোগী ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক।
তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ভিন্ন কথা বলেছেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান খোকন। তার দাবি, তিনি ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেননি এবং পা ধরতেও দেননি। ওই রোগীকে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ভর্তি লিখে দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠান। ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি না নিয়ে চিকিৎসা লিখে দেন। নিয়ম অনুযায়ী রোগীকে ভর্তি করার কথা। রোগী এ বিষয়টি তাকে বললে পরদিন তিনি মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে বিষয়টি জানান। এরপর ওই ওয়ার্ডের ইউনিট প্রধানকে ডেকে পাঠান বিভাগীয় প্রধান। ইউনিট প্রধান জানান, ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক এই কাজটি করেছেন। এরপর বিভাগীয় প্রধান ইন্টার্ন চিকিৎসককে তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তবে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসককে তার পা ধরতে দেননি।
তবে এ বিষয়ে জানতে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সোমবার রাতে এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, সোমবার দুপুরে আমাদের হলরুমে ঘটনাটি সমাধানের জন্য বৈঠক বসে। এতে বিএমএ কুমিল্লার নেতারা, অভিযুক্ত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ আরো অনেকেই অংশ নেন। পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। এরপর বৈঠকে অংশ নেওয়া সবাই বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এতে সন্তুষ্ট হয়ে বিষয়টি ভালোভাবে মেনে নিয়েছেন। তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেবেন।
রবিবার পরিচালককে চিঠি দেওয়ার পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি হৃদয় রঞ্জন নাথ। তবে ওই বৈঠকের পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসক সোমবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বিষয়টি সাময়িক সময়ের জন্য মেনে নিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসককে অপসারণ না করা হলে আমরা পরবর্তী সময়ে অন্য কর্মসূচি দেব। এক সপ্তাহ সময় দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা কাজে যোগ দেব। আর অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক স্যরি বলেছেন, এটা কোনো সমাধান হতে পারে না।