নিখোঁজের তিন দিন পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ মিলল শীতলক্ষ্যায়

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

স্বজনদের আহাজারি, ইনসেটে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ছবি: দৈনিক বাংলা

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ ছিল না। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকা থেকে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত ফারদিন নূর পরশ বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার থানার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক কাজী নুর উদ্দিন রানার ছেলে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায়।

নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নৌপুলিশের টিম বনানী ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত পরশের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা জানান, শুক্রবার দুপুরে বুয়েটে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন পরশ। রাতে বুয়েটের হলে থেকে পরদিন পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ পরশ।

নুর উদ্দিন রানা বলেন, পরশ নিখোঁজ হওয়ার পর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেছিলাম। আজ (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে আমরা খবর পাই, পরশের লাশ পাওয়া গেছে। তারপরই থানায় আসি। আমার ছেলের নারায়ণগঞ্জ আসার কোনো কারণ নেই। আমার ধারণা, তাকে হত্যা করে ফেলে গেছে।

নিহত পরশের চাচা আবু ইউসুফ জানান, ঘটনার দিন বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ইস্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এক বন্ধুর সঙ্গে ধানমন্ডিতে ঘোরাঘুরি করেন পরশ। পরে তারা নীলক্ষেত যান। রামপুরা বনশ্রী এলাকায় ওই বন্ধুকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার পর থেকেই পরশের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, সুরতাহালে পরশের মরদেহে থাকা পোশাকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্লুটুথ হেডফোন পাওয়া গেছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি আসলে হত্যা কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর।

মিনা মাহমুদা আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা হত্যা মামলা করবেন। মামলার পর তদন্তে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিখোঁজের তিন দিন পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ মিলল শীতলক্ষ্যায়

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

স্বজনদের আহাজারি, ইনসেটে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ছবি: দৈনিক বাংলা

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ ছিল না। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকা থেকে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত ফারদিন নূর পরশ বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার থানার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক কাজী নুর উদ্দিন রানার ছেলে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায়।

নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নৌপুলিশের টিম বনানী ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত পরশের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা জানান, শুক্রবার দুপুরে বুয়েটে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন পরশ। রাতে বুয়েটের হলে থেকে পরদিন পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ পরশ।

নুর উদ্দিন রানা বলেন, পরশ নিখোঁজ হওয়ার পর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করেছিলাম। আজ (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে আমরা খবর পাই, পরশের লাশ পাওয়া গেছে। তারপরই থানায় আসি। আমার ছেলের নারায়ণগঞ্জ আসার কোনো কারণ নেই। আমার ধারণা, তাকে হত্যা করে ফেলে গেছে।

নিহত পরশের চাচা আবু ইউসুফ জানান, ঘটনার দিন বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ইস্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এক বন্ধুর সঙ্গে ধানমন্ডিতে ঘোরাঘুরি করেন পরশ। পরে তারা নীলক্ষেত যান। রামপুরা বনশ্রী এলাকায় ওই বন্ধুকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার পর থেকেই পরশের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, সুরতাহালে পরশের মরদেহে থাকা পোশাকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্লুটুথ হেডফোন পাওয়া গেছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি আসলে হত্যা কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর।

মিনা মাহমুদা আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা হত্যা মামলা করবেন। মামলার পর তদন্তে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।