বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সৃজনশীল ক্লাব

নিজেকে এগিয়ে রাখুন

শাহিনা নদী

ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলে প্রতিভার উন্মোচন হয়, জানার পরিধি বিস্তৃত হয় ছবিটি জাবি সায়েন্স ক্লাবের

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন মানেই ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন আর সিজিপিএ বাড়িয়ে নিতে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়টি আসলে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে এক্সপ্লোর করারও সময়? সেই সঙ্গে নতুন নতুন দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা অর্জনেরও গুরুত্বপূর্ণ সময় এটি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে প্রতিযোগিতা। চাকরির বাজার থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেদের দক্ষতার ছাপ রাখতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ থাকলে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা বড্ড পিছিয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রতিভা, চিন্তা-চেতনার উন্নয়ন, সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও যোগাযোগ স্থাপনে দক্ষ গুণাবলি বিকাশের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একজন শিক্ষার্থী যখন একাডেমিক পড়ার বাইরে গিয়ে সহশিক্ষামূলক কার্যের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তার চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে। সৃজনশীল প্রতিভার উন্মোচন হয়, জানার পরিধি বিস্তৃত হয় এবং সব থেকে বড় বিষয়টি হলো সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকা বিভিন্ন ক্লাবগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক এ ক্লাবগুলো একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে থাকা জড়তা ও সংকীর্ণতা দূর করে।
বিতর্ক ক্লাব
বিতর্ক ক্লাবে যুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থীর ভাষাগত আঞ্চলিকতা ও উচ্চারণে ভুলত্রুটি দূর হয় এবং পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে কথা বলার জড়তা দূর হয়। একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে যে কোনো জায়গায় নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের দক্ষতা অর্জন করে। টিম ওয়ার্ক করার সুবিধা অনুধাবন ও নেতৃত্বদানের গুণাবলির অধিকারী হতে বিতর্ক ক্লাব ভূমিকা রাখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট সোসাইটির সভাপতি শেখ আরমান বলেন, ‘বিতর্ক ক্লাব সবসময় বিতার্কিক তৈরিতে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সবাই যেন কথা বলতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের আগামীর নেতৃত্ব তৈরিতে বিতর্ক ক্লাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজ্ঞান ও গণিত ক্লাব
বিজ্ঞান ও গণিত ক্লাব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে কাজ করে। নতুন নতুন গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ করতে বিজ্ঞান ক্লাবগুলো খুবই কার্যকরী। যুক্তি-প্রমাণসাপেক্ষে লজিক্যালি চিন্তাধারার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী হতে অবশ্যই বিজ্ঞান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। রোবোটিকস, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্সের মতো সৃজনশীলতা চর্চায় বাংলাদেশের বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘গণিত বিজ্ঞানের প্রবেশদ্বার, বিজ্ঞানচর্চায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গণিত অপরিহার্য। কিন্তু গণিতের প্রতি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভীতি অনেক বেশি, শিক্ষার্থীদের এই ভয় দূর করে ভবিষ্যতে যারা এ দেশের নেতৃত্ব প্রদান করবে, সেসব শিক্ষার্থীর গণিতপ্রেম বাড়াতে ও বিজ্ঞানচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ গণিতবিদ তরুণ সমাজের মধ্য থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে সায়েন্স ক্লাব খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপরিহার্যতা আমরা দৃঢ়ভাবে অনুভব করি। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত হবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অনন্য জনশক্তি সায়েন্স ক্লাব উপহার দিতে পারবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
ইংরেজি ও সাহিত্য ক্লাব
আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষা স্বীকৃত। ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিযোগীদের থেকে সবকিছুতে এগিয়ে থাকে। ইংরেজির প্রতি ভীতি দূর করতে ইংরেজি ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীর ইংরেজির শুদ্ধ উচ্চারণ ও সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলা চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অন্যদিকে সাহিত্য মানেই মননশীল ব্যাপার। মানসিক বিকাশে সাহিত্য ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মনের খোরাক ও সাহিত্যসাধনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। যেসব শিক্ষার্থীর লেখালেখির প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য সাহিত্য ক্লাব সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
বিএএফ শাহীন কলেজ ইংরেজি ও সাহিত্য ক্লাবের সভাপতি ধ্রুব নীল বলেন, আগামী প্রজন্মের মধ্যকার সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাদের তাল মিলিয়ে চলতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মনোনিবেশ ও চর্চার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবছর দেশে বিভিন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের দক্ষতা গড়ে তুলতে ইংরেজি ক্লাব কাজ করছে।
ক্যারিয়ার ক্লাব
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার ক্লাব একজন শিক্ষার্থীকে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যেসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, ক্যারিয়ার ক্লাব সেসব শিক্ষার্থীর জন্য সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত করে।
সাংবাদিক সমিতি
বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণরাই পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। যেখানে বড় বড় সাংবাদিক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি থেকে অনেক তরুণ রিপোর্টার উঠে এসেছেন।
ছায়া জাতিসংঘ ক্লাব
জাতিসংঘের আদলে গড়ে ওঠা ছায়া জাতিসংঘ ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের বিশ্বে সংঘটিত সমসাময়িক সমস্যা, জলবায়ুর পরিবর্তন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংঘটিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করে, যা একজন শিক্ষার্থীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে নিজেকে মেলে ধরার অন্যতম দ্বার। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠা বিষয়ভিত্তিক, সাংস্কৃতিক ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করছে। তাই প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে থাকতে শিক্ষার্থীদের উচিত স্কুল কিংবা কলেজে থাকা অবস্থায়ই সহশিক্ষামূলক এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সৃজনশীল ক্লাব

নিজেকে এগিয়ে রাখুন

শাহিনা নদী

ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলে প্রতিভার উন্মোচন হয়, জানার পরিধি বিস্তৃত হয় ছবিটি জাবি সায়েন্স ক্লাবের

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন মানেই ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন আর সিজিপিএ বাড়িয়ে নিতে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়টি আসলে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে এক্সপ্লোর করারও সময়? সেই সঙ্গে নতুন নতুন দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা অর্জনেরও গুরুত্বপূর্ণ সময় এটি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে প্রতিযোগিতা। চাকরির বাজার থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেদের দক্ষতার ছাপ রাখতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ থাকলে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা বড্ড পিছিয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রতিভা, চিন্তা-চেতনার উন্নয়ন, সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও যোগাযোগ স্থাপনে দক্ষ গুণাবলি বিকাশের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একজন শিক্ষার্থী যখন একাডেমিক পড়ার বাইরে গিয়ে সহশিক্ষামূলক কার্যের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তার চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে। সৃজনশীল প্রতিভার উন্মোচন হয়, জানার পরিধি বিস্তৃত হয় এবং সব থেকে বড় বিষয়টি হলো সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকা বিভিন্ন ক্লাবগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক এ ক্লাবগুলো একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে থাকা জড়তা ও সংকীর্ণতা দূর করে।
বিতর্ক ক্লাব
বিতর্ক ক্লাবে যুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থীর ভাষাগত আঞ্চলিকতা ও উচ্চারণে ভুলত্রুটি দূর হয় এবং পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে কথা বলার জড়তা দূর হয়। একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে যে কোনো জায়গায় নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের দক্ষতা অর্জন করে। টিম ওয়ার্ক করার সুবিধা অনুধাবন ও নেতৃত্বদানের গুণাবলির অধিকারী হতে বিতর্ক ক্লাব ভূমিকা রাখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট সোসাইটির সভাপতি শেখ আরমান বলেন, ‘বিতর্ক ক্লাব সবসময় বিতার্কিক তৈরিতে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সবাই যেন কথা বলতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের আগামীর নেতৃত্ব তৈরিতে বিতর্ক ক্লাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজ্ঞান ও গণিত ক্লাব
বিজ্ঞান ও গণিত ক্লাব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে কাজ করে। নতুন নতুন গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ করতে বিজ্ঞান ক্লাবগুলো খুবই কার্যকরী। যুক্তি-প্রমাণসাপেক্ষে লজিক্যালি চিন্তাধারার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী হতে অবশ্যই বিজ্ঞান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। রোবোটিকস, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্সের মতো সৃজনশীলতা চর্চায় বাংলাদেশের বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘গণিত বিজ্ঞানের প্রবেশদ্বার, বিজ্ঞানচর্চায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গণিত অপরিহার্য। কিন্তু গণিতের প্রতি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভীতি অনেক বেশি, শিক্ষার্থীদের এই ভয় দূর করে ভবিষ্যতে যারা এ দেশের নেতৃত্ব প্রদান করবে, সেসব শিক্ষার্থীর গণিতপ্রেম বাড়াতে ও বিজ্ঞানচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ গণিতবিদ তরুণ সমাজের মধ্য থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে সায়েন্স ক্লাব খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপরিহার্যতা আমরা দৃঢ়ভাবে অনুভব করি। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত হবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অনন্য জনশক্তি সায়েন্স ক্লাব উপহার দিতে পারবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
ইংরেজি ও সাহিত্য ক্লাব
আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষা স্বীকৃত। ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিযোগীদের থেকে সবকিছুতে এগিয়ে থাকে। ইংরেজির প্রতি ভীতি দূর করতে ইংরেজি ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীর ইংরেজির শুদ্ধ উচ্চারণ ও সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলা চর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অন্যদিকে সাহিত্য মানেই মননশীল ব্যাপার। মানসিক বিকাশে সাহিত্য ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মনের খোরাক ও সাহিত্যসাধনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। যেসব শিক্ষার্থীর লেখালেখির প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য সাহিত্য ক্লাব সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
বিএএফ শাহীন কলেজ ইংরেজি ও সাহিত্য ক্লাবের সভাপতি ধ্রুব নীল বলেন, আগামী প্রজন্মের মধ্যকার সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাদের তাল মিলিয়ে চলতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মনোনিবেশ ও চর্চার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবছর দেশে বিভিন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের দক্ষতা গড়ে তুলতে ইংরেজি ক্লাব কাজ করছে।
ক্যারিয়ার ক্লাব
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার ক্লাব একজন শিক্ষার্থীকে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যেসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, ক্যারিয়ার ক্লাব সেসব শিক্ষার্থীর জন্য সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত করে।
সাংবাদিক সমিতি
বর্তমানে বেশিরভাগ তরুণরাই পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। যেখানে বড় বড় সাংবাদিক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি থেকে অনেক তরুণ রিপোর্টার উঠে এসেছেন।
ছায়া জাতিসংঘ ক্লাব
জাতিসংঘের আদলে গড়ে ওঠা ছায়া জাতিসংঘ ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের বিশ্বে সংঘটিত সমসাময়িক সমস্যা, জলবায়ুর পরিবর্তন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংঘটিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করে, যা একজন শিক্ষার্থীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে নিজেকে মেলে ধরার অন্যতম দ্বার। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠা বিষয়ভিত্তিক, সাংস্কৃতিক ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করছে। তাই প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে থাকতে শিক্ষার্থীদের উচিত স্কুল কিংবা কলেজে থাকা অবস্থায়ই সহশিক্ষামূলক এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়া।