নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: বিমান কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না

বিমানের এমডির কক্ষ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত। উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ১২টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল ২১ অক্টোবর। কিন্তু পরীক্ষার আগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পাশাপাশি পরীক্ষা বাতিল ও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সাধারণত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র তৈরি, প্রিন্টিং ও পরীক্ষা আয়োজনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে থাকে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রশ্ন হলো, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কি এটাই প্রমাণ করে না যে, কমিটির সদস্যরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন?

এখানে অনেক চাকরি প্রত্যাশীর কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ছিল, যা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। অতএব, দায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

উদ্বেগজনক হলো, গ্রেফতারকৃতরা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতকে জানিয়েছেন, আগেও তারা বিভিন্ন সময় একইভাবে প্রশ্নফাঁসসহ বিমানের নিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিসিএস থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, এমনকি স্কুল পর্যায়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে ওঠা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

ভাবলে অবাক হতে হয়, আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেক আজ কোন স্তরে নেমে গেছে-প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও যুক্ত হচ্ছে। বস্তুত প্রশ্নফাঁসের মচ্ছব দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিই এক আজব দেশে বাস করছি আমরা, যেখানে পরীক্ষা মানেই হলো এর প্রশ্নফাঁস হওয়া।

প্রশ্নফাঁসের মতো একটি দুষ্কর্ম বছরের পর বছর ধরে সংঘটিত হলেও বক্তৃতা-বিবৃতি ছাড়া কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে আর কোনো দায় আছে বলে মনে হয় না। এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে বেকারত্বের যন্ত্রণায় দগ্ধ হতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যেমন তামাশা করা হচ্ছে, তেমনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা ধ্বংসের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশে প্রশ্নফাঁসের আর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, এ ব্যাপারে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ তৎপর হবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: বিমান কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না

বিমানের এমডির কক্ষ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত। উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ১২টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল ২১ অক্টোবর। কিন্তু পরীক্ষার আগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পাশাপাশি পরীক্ষা বাতিল ও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সাধারণত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র তৈরি, প্রিন্টিং ও পরীক্ষা আয়োজনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে থাকে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রশ্ন হলো, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কি এটাই প্রমাণ করে না যে, কমিটির সদস্যরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন?

এখানে অনেক চাকরি প্রত্যাশীর কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ছিল, যা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। অতএব, দায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

উদ্বেগজনক হলো, গ্রেফতারকৃতরা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতকে জানিয়েছেন, আগেও তারা বিভিন্ন সময় একইভাবে প্রশ্নফাঁসসহ বিমানের নিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিসিএস থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, এমনকি স্কুল পর্যায়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে ওঠা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

ভাবলে অবাক হতে হয়, আমাদের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেক আজ কোন স্তরে নেমে গেছে-প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও যুক্ত হচ্ছে। বস্তুত প্রশ্নফাঁসের মচ্ছব দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিই এক আজব দেশে বাস করছি আমরা, যেখানে পরীক্ষা মানেই হলো এর প্রশ্নফাঁস হওয়া।

প্রশ্নফাঁসের মতো একটি দুষ্কর্ম বছরের পর বছর ধরে সংঘটিত হলেও বক্তৃতা-বিবৃতি ছাড়া কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে আর কোনো দায় আছে বলে মনে হয় না। এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে বেকারত্বের যন্ত্রণায় দগ্ধ হতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যেমন তামাশা করা হচ্ছে, তেমনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা ধ্বংসের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশে প্রশ্নফাঁসের আর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, এ ব্যাপারে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ তৎপর হবে, এটাই প্রত্যাশা।